দৌলতপুর প্রতিনিধি ॥ কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলা পরিষদ ডাক বাংলোর কেয়ারটেকার আব্দুর রশিদ ও ইউএনও অফিসের কর্মচারী কামাল হোসেন স্থানীয় মাদক ব্যবসায়ী মিঠু (মিঠু চোর) সাথে মিলে চুরি করছে বলে অভিযোগ উঠেছে। সূত্র বলছে চুরি ও মাদক সেবনের জন্য গড়ে উঠেছে তাদের ৪-৫ জনের একটি বিশেষ দল। মূলত মাদকের টাকা সংগ্রহ করার জন্যই এই ধরনের চুরির ঘটনা বলছেন স্থানীয়রা। একাধিক সূত্রে জানাগেছে, উপজেলা পরিষদে পরিত্যক্ত সরকারী ভবনের জানালা দরজার কাঠ, রড, গ্রিল প্রায় প্রতি রাতে আব্দুর রশিদ, কামাল হোসেন মিঠু চোরসহ ৪-৫ জন সংগবদ্ধ হয়ে চুরি করছে মাদকের টাকা সংগ্রহের জন্য। গত ৮ মে রাত আনুমানিক সাড়ে এগারোটার দিকে উপজেলা পাট বীজ অফিসে আব্দুর রশিদ ও মাদক ব্যবসায়ী মিঠু চোরসহ ৪-৫ জন সংগবদ্ধ হয়ে হাতুর ও শাবল দিয়ে দরজা ভাঙ্গার সময় সব্দ হয়, সব্দ শুনে উপজেলা অডিটরিয়ামে কর্মরত নাইট গার্ড সহ স্থানীয় দোকান মালিক টের পেয়ে সেখানে গেলে আব্দুর রশিদ ও মিঠু চোরসহ তার লোকজন উপস্থিতি বুঝতে পেরে দৌড়ে ডাকবাংলোর ভিতরে পালিয়ে যায়। পরে নাইট গার্ড ও স্থানীয় দোকান মালিক ঐ রাতে ইউএনও’র বাসায় গেলে অনেক রাত হওয়ার কারনে ইউএনও’র বাসার নাইট গার্ড জাহিদ হোসেন ইউএনও স্যারকে জানিয়ে দেব বলে তাদের ফিরিয়ে দেয়। এর পর তারা উপজেলা বাজার কমিটির সভাপতি কাজিম উদ্দিনকে বিষটি অবগত করেন। স্থানীয় ব্যাবসায়ী ও নাইট গার্ডের সাথে প্রতিবেদকের বথা হলে তারা বলেন, ডাকবাংলোর কেয়ারটেকার রশিদ, ইউএনও অফিসের কর্মচারী কামাল ও স্থানীয় মাদক ব্যবসায়ী মিঠু চোরের যোগসাজোশে দির্ঘদিন ধরে পরিষদের ভিতর পরিত্যক্ত ভবন ও বিভিন্ন দোকান পাটে চুরি করে আসছে। মাদকের টাকা সংগ্রহের জন্যই এ চুরির ঘটনা ঘটছে বলছেন স্থানীয়রা। এর আগেও এক ফার্নিচারের দোকানের কারেন্টের বাল্ব চুরি করেছিলো ঐ রশিদ যা সিসি ক্যামেরায় ধরা পড়ে। দৌলতপুর সদর হাসপাতালের এক রুগির ৪ হাজার টাকা চুরি করে পালানোর সময় স্থানীয় লোক জন তাকে বেধড়ক মারধর করে টাকা ফিরিয়ে দেয় ঐ রুগিকে। এদিকে বি আর ডি বি অফিসের পরিত্যক্ত ভবনে রাতের আধারে জানালা দরজাসহ গ্রিল খুলে বিক্রয় করেছে রশিদ ও তার লোকজন। তারা আরো বলেন দোকানে ও সরকারী দপ্তরে রাতে জলা কারেন্টের বাল্বগুলো প্রায় হারিয়ে যায়। সরকারী চাকুরী করে এমন জঘন্য কাজ করছে তাদের আইনের আওতায় এনে কঠোর শাস্তির দাবী জানান তারা। এবিষয়ে উপজেলা বাজার ব্যাবসায়ী সমিতির সভাপতি কাজিম উদ্দিনের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, রশিদ ও কামাল মাঝে মধ্যে এমন চুরির ঘটনা ঘটাচ্ছে, একটি মাধ্যমে ইউএনও স্যারকে জানানো হয়েছে। আমরা তাদের বিচারের দাবী জানাচ্ছি। এবিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ওবায়দুল্লাহ’র সাথে কথা হলে তিনি বলেন, আমি বিষয়টা অবগত ছিলাম না, আমি বিয়টা দেখছি।
