দৌলতপুর প্রতিনিধি ॥ কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলা প্রাণী সম্পদ অধিদপ্তরের সহযোগিতাই (এলডিডিপি) ডেইরি উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় অত্যাধুনিক মেশিনারিজ ব্যবহার করে ভাগ্য বদলে গেছে মিলন হোসেন নামে এক যুবকের। মিলন হোসেন উপজেলার মরিচা ইউনিয়নের বালিরদিয়াড় ছাতারি পাড়া গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা চাঁদ আলী প্রামানিক এর ছেলে। বিভিন্ন সূত্রে জানাগেছে মিলন হোসেন পড়াশোনা শেষ করে বাপ দাদার পৈত্রিক ব্যবসা ছোট পরিসরে শুরু করেন।
গত বছর উপজেলা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের সহযোগিতায় আলভি এন্টার প্রাইজের নামে বিশ্ব ব্যাংকের অর্থায়নে মোটা অংকের টাকার অত্যাধুনিক মেশিনারিজ ক্রয় করে মিলন হোসেন। পরে প্রানি সম্পদ অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের সহযোগিতাই এই কারখানায় অত্যাধনিক মেশিন দারা তৈরি হচ্ছে নামি দামি মিষ্টি, মিষ্টির উপাদান সানা, ঘী, ক্রিম। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন প্রাণী সম্পদ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম। বর্তমানে এলাকার বিভিন্ন গোখামারীদের কাছ থেকে প্রতিদিন দুধ সংগ্রহ করে মেশিনে ভাঙ্গিয়ে সানা, ক্রিম, ঘী, দই সহ বিভিন্ন ধরনের মিষ্টি এখন ঢাকা, চিটাগং, কুমিল্লা সহ দেশের বিভিন্ন বড় বড় কোম্পানির নিকট বিক্রি করে আসছেন এবং চট্টগ্রামেও আরো একটি কারখানা তৈরি করেছেন।
মিলন হোসেন দুধ সংগ্রহ করা শ্রমীক সহ কারখানায় ১৫/২০ জন শ্রমীক কাজ করেন। বর্তমানে মিলন হোসেন চিটাগাংয়ে অবস্থান করেন সেখান থেকে এ ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ করে থাকেন। এ ব্যাপারে মিলনে হোসেনের সাথে কথা বললে তিনি বলেন বাপ দাদার পৈত্রিক ব্যবসা হিসেবে পড়াশোনা শেষ করে ছটো পরিসরে এ ব্যবসা শুরু করি। পরে প্রাণী সম্পদ অধিদপ্তরের সহযোগিতায় উন্নত মানের মেশিন ক্রয় করে ব্যবসা প্রসারিত করি। বর্তমানে আমার দুইটা কারখানা একটি দৌলতপুর ও আরেকটি চট্টগ্রাম।
