দৌলতপুরে পাঁচ বছরেও উদ্বোধন হয়নি আধুনিক অডিটোরিয়াম - কুষ্টিয়া জিলাইভ | truth alone triumphs

দৌলতপুরে পাঁচ বছরেও উদ্বোধন হয়নি আধুনিক অডিটোরিয়াম

লেখক: প্রতিবেদক ঢাকা
প্রকাশ: নভেম্বর ২১, ২০২৩
দৌলতপুরে পাঁচ বছরেও উদ্বোধন হয়নি আধুনিক অডিটোরিয়াম

কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে উদ্বোধন না হওয়ায় নষ্ট হচ্ছে একটি আধুনিক মানের অডিটোরিয়াম কাম মাল্টিপারপাস ভবন। উপজেলা প্রকৌশলীর অবহেলা কিংবা ব্যর্থতায় হুমকিতে দৌলতপুরের মানুষের জন্য ব্যাপক প্রয়োজনীয় ভবনটি। ৮ লাখের বেশি মানুষের দৌলতপুরে এমনিতেই মিলনায়তন সঙ্কট।

দৌলতপুরে পাঁচ বছরেও উদ্বোধন হয়নি আধুনিক অডিটোরিয়াম

দৌলতপুরে পাঁচ বছরেও উদ্বোধন হয়নি আধুনিক অডিটোরিয়াম

দৌলতপুরে পাঁচ বছরেও উদ্বোধন হয়নি আধুনিক অডিটোরিয়াম

খোদ উপজেলা পরিষদ চত্বরের দুটি ছোট মিলনায়তনের একটি ভঙ্গুর পরিত্যক্ত, অন্যটি অপর্যাপ্ত এবং আধুনিক নয়। এরই মধ্যে ২০১৮ সালের জুন মাসে শুরু হয় সরকারি প্রায় ৭ কোটি টাকা ব্যয়ে ৫ শো আসনের আধুনিক অডিটোরিয়াম কাম মাল্টিপারপাস ভবন নির্মাণ কাজ। যা শেষ হওয়ার কথা ছিলো ২০১৯ সালের জুন মাসে। কিন্তু, গেলো পাঁচ বছরেও ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে কাজ করিয়ে উদ্বোধনের জন্য হস্তান্তর করেনি দৌলতপুর উপজেলা প্রকৌশলীর কার্যালয়।

২০২২ এর নভেম্বর থেকে প্রকৌশলী রাকিব হোসেন দায়িত্বে থাকলেও এক বছরে তালা খোলেননি তিনি, এমন বক্তব্য তার নিজের। রাকিব হোসেন বলেন, ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান কাজ শেষ করতে পারেনি আমাদের এখনও কিছু কাজ বাকি আছে, সংশোধন আছে। উদ্বোধনের সিদ্ধান্ত নেয়নি উপজেলা প্রশাসন এবং উপজেলা পরিষদ। কবে কাজ শেষ হয়ে উদ্বোধন হতে পারে সেটিও নিশ্চিত বলতে পারেননি তিনি। ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান শামীম এন্টারপ্রাইজের সত্বাধিকার শামীমকে হস্তান্তরের বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি শুরুতে জানান হস্তান্তর করে দিয়েছেন, ব্যস্ত আছি পরে কথা বলছি জানিয়েও পরবর্তীতে ফোন ধরেননি তিনি।

দৌলতপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: ওবায়দুল্লাহ বলেন, অডিটোরিয়ামটি উপজেলা প্রকৌশল বিভাগ আমাদের কাছে হস্তান্তর করলেই আমরা উদ্বোধন ও বাকি কার্যক্রম শুরু করবো, তারা এখনও হস্তান্তর করেনি।

সরেজমিনে দেখা যায়, ভবনটি তৈরি এবং শব্দ যন্ত্র, চেয়ার, মঞ্চ সুসজ্জিত। কাঠের কাজে স্যাঁতাপড়া দাগ, ভবনের ভিতরে ব্যবহার করা সোফা ও চেয়ারের চামড়ার কাভারে ছত্রাক জমতে শুরু করেছে। ইতোমধ্যেই নষ্ট হতে শুরু করেছে রঙও। প্রস্তুত ভবনটির বাইরে দক্ষিণ গেইটের দিকের অংশ এখনও অসম্পন্ন রয়েছে। উপজেলার কলেজপাড়া এলাকার জুয়েল বলেন, বিল্ডিংয়ের সব রেডি, কাজকাম শুরু না হওয়ায় পড়ে থেকে সব নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।

স্বরুপপুর এলাকার যুবক সাকীব বলেন, ভিতরে ইলেকট্রনিক যন্ত্রপাতিও লাগানো হয়ে গেছে, অব্যবহৃত পড়ে থেকে সেগুলোও নষ্ট হয়ে যাওয়ার কথা। আসলেই কেন এতবড় সম্পদ নিয়ে অযত্ন অবহেলার টানাপোড়েন তা নিয়ে প্রশ্ন জনমনে।