দৌলতপুর প্রতিনিধি ॥ কুষ্টিয়ার দৌলতপুর সীমান্তে বিজিবি ও বিএসএফের মধ্যে অনুষ্ঠিত পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ-এর কাছ থেকে বাংলাদেশি নাগরিক শান্ত (২৪)-এর মরদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে। গতকাল শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় কুষ্টিয়া ব্যাটালিয়ন (৪৭ বিজিবি)-এর তত্ত্বাবধানে সীমান্তের জামালপুর বিওপি সংলগ্ন সীমান্ত পিলার ১৫২/৭-এস এলাকায় কোম্পানি কমান্ডার পর্যায়ের পতাকা বৈঠক শেষে বিএসএফ, ভারতীয় পুলিশের মাধ্যমে বাংলাদেশ পুলিশের কাছে শান্তের মরদেহ আনুষ্ঠানিকভাবে হস্তান্তর করে। শান্ত দৌলতপুর উপজেলার রামকৃষ্ণপুর ইউনিয়নের মোহাম্মদপুর এলাকার শিপন আলীর ছেলে।
বিজিবির পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়। বিজিবি জানায়, গত ৫ ডিসেম্বর রাত আনুমানিক দেড়টার দিকে কুষ্টিয়া ব্যাটালিয়ন (৪৭ বিজিবি)-এর আওতাধীন আশ্রায়ন বিওপি সংলগ্ন সীমান্ত পিলার ১৫৪/৩-এস-এর কাছে ভারতের অভ্যন্তরে নিউ উদয়া ক্যাম্পের আওতায় ১০ থেকে ১২ জন বাংলাদেশি মাদক চোরাকারবারী ভারত থেকে মাদক আনার উদ্দেশ্যে প্রবেশের চেষ্টা করে। এ সময় বিএসএফ বাধা দিলে চোরাকারবারীরা বিএসএফ সদস্যদের ওপর গুলি চালায়। আত্মরক্ষার্থে বিএসএফ সদস্যরা পাল্টা গুলি চালালে শান্ত গুরুতর আহত হন।
পরে বিএসএফ শান্তকে আটক করে চিকিৎসার জন্য ভারতের করিমপুর রুরাল হাসপাতালে ভর্তি করে। তবে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওই দিন বিকেলে তার মৃত্যু হয়। ঘটনার পরপরই ৫ ডিসেম্বর কোম্পানি কমান্ডার পর্যায়ে এবং ৮ ডিসেম্বর বিজিবি ও বিএসএফের সেক্টর কমান্ডার পর্যায়ে পৃথক পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এসব বৈঠকে মরদেহ হস্তান্তরের বিষয়ে আলোচনা ও প্রয়োজনীয় সমন্বয় করা হয়। এরই ধারাবাহিকতায় গতকাল শনিবার বিকেলে জামালপুর বিওপি এলাকায় পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে শান্তের মরদেহ হস্তান্তর করে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী।
কুষ্টিয়া ব্যাটালিয়ন (৪৭ বিজিবি)-এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল রাশেদ কামাল রনি, এসইউপি, পিএসসি, জি বলেন, সীমান্ত নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বিজিবি দৃঢ় অবস্থানে রয়েছে। মাদক পাচারসহ সকল ধরনের অবৈধ কার্যক্রম প্রতিরোধে সীমান্ত এলাকায় গোয়েন্দা নজরদারি ও টহল আরও জোরদার করা হয়েছে। ভবিষ্যতেও এ ধরনের অপরাধ দমনে বিজিবির কঠোর অবস্থান অব্যাহত থাকবে।
মরদেহ হস্তান্তরের বিষয়ে দৌলতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আরিফুর রহমান বলেন, ভারতের অভ্যন্তরে সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের গুলিতে নিহত বাংলাদেশি যুবকের মরদেহ শনিবার রাত ৭টার দিকে হস্তান্তর করেছে ভারতীয় পুলিশ । পরে আমরা আমাদের আইনি পক্রিয়া শেষে নিহতের পরিবারের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করেছি ।
