দৌলতপুরে গ্রীষ্মকালীন তরমুজ চাষে ব্যপক সাফল্য - কুষ্টিয়া জিলাইভ | truth alone triumphs

দৌলতপুরে গ্রীষ্মকালীন তরমুজ চাষে ব্যপক সাফল্য

লেখক: প্রতিবেদক ঢাকা
প্রকাশ: জুন ২৮, ২০২৪

দৌলতপুর প্রতিনিধি ॥ কুষ্টিয়ায় গ্রীষ্মকালীন তরমুজ চাষ করে ব্যাপক সাফল্য পেয়েছেন কৃষকরা। কৃষি বিভাগের পরামর্শে ক্ষতিকর তামাক চাষ থেকে মুখ ফিরিয়ে আগামজাতের গ্রীষ্মকালীন তরমুজ চাষ করে অধিক লাভ হওয়ায় এখানকার কৃষকরা তরমুজ চাষে আগ্রহী হচ্ছেন।

এ ক্ষেত্রে প্রয়োজন পৃষ্ঠপোষকতা। কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, চলতি খরিপ-১ মৌসুমে কুষ্টিয়ায় সূর্যডিম, ব্লাকবেরী ও গোল্ডেন ক্লাউনসহ বিভিন্ন জাতের প্রায় ১০ হেক্টর জমিতে বিভিন্ন রংয়ের গ্রীষ্মকালীন তরমুজ চাষ হয়েছে।

এরমধ্যে দৌলতপুরে চাষ হয়েছে ২ হেক্টর জমিতে। এতে বেশ সাফল্য পেয়েছেন কৃষকরা। মাত্র দুইমাস সময়কালীন লাভজনক ফল তরমুজ চাষে প্রতি বিঘা জমিতে কৃষকদের খরচ হয়েছে ২৫ হাজার থেকে ৩০ হাজার টাকা। আর তা থেকে কৃষকদের আয় হচ্ছে প্রতি বিঘায় ৮০ হাজার টাকা থেকে ১ লাখ টাকা পর্যন্ত।

জিয়াউরুল ইসলাম নামে এক যুবক বিদেশ থেকে দেশে ফিরে বেকার বসে না থেকে তরমুজ চাষ করে এলাকায় সাড়া ফেলেছেন। একই অবস্থা সান্টু আলী নামে অপর এক কৃষকের। দৌলতপুরের গ্রীষ্মকালীন তরমুজ চাষী জিয়ারুল ইসলাম ও সান্টু আলী জানান, কৃষি বিভাগের পরামর্শে এ বছর গ্রীষ্মকালীন তরমুজ চাষ করে বেশ লাভবান হয়েছেন এবং আগামীতে গ্রীষ্মকালীন তরমুজ চাষ আরো বাড়াবেন বলে জানান তারা।

গ্রীষ্মকালীন রঙিন সুস্বাদু ও রসালো ফল হওয়ায় অনেকে ক্ষেত থেকে সাশ্রয়ী মূল্যে টাটকা তরমুজ ক্রয় করতে ছুটে যাচ্ছেন ক্ষেতে। আবার তাদের দেখে তরমুজ চাষে আগ্রহী হচ্ছেন অনেকে। বাড়ির আঙিনায় বা পতিত জমি ফেলে না রেখে স্বল্পকালীন সময়ের লাভজনক ও অর্থকরী ফল তরমুজ চাষ করে স্বাবলম্বী হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন দৌলতপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. ওবায়দুল্লাহ। গ্রীষ্মকালীন বিভিন্ন রংয়ের তরমুজ চাষ করে কৃষকরা লাভবান হওয়ায় অনেক কৃষক তরমুজ চাষে আগ্রহী হচ্ছেন। সেক্ষেত্রে কৃষি বিভাগও তাদের সার্বিক সহযোগিতা ও কারিগরি পরামর্শ দিচ্ছেন বলে জানিয়েছেন দৌলতপুর কৃষি কর্মকর্তা মো. নুরুল ইসলাম।