দৌলতপুরে ওয়াপদা’র জমিতে অবৈধভাবে বাড়ী নির্মাণের মহোৎসব - কুষ্টিয়া জিলাইভ | truth alone triumphs

দৌলতপুরে ওয়াপদা’র জমিতে অবৈধভাবে বাড়ী নির্মাণের মহোৎসব

লেখক: প্রতিবেদক ঢাকা
প্রকাশ: মার্চ ১৩, ২০২৪

দৌলতপুর প্রতিনিধি ॥ কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) উদাসীনতাই ওয়াপদা বাধের জায়গা অবৈধ ভাবে দখল করে প্রভাবশালীরা একের পর এক বিল্ডিং তৈরীর মহোৎসবে মেতেছে। এই ঘটনায় এলাকায় ওয়াবদার জায়গা দখল কে কেন্দ্র করে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। দির্ঘদিন ধরে অবৈধ ভাবে প্রভাবশালী দখলদারদের বিরুদ্ধে কুষ্টিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) কোন চোখে পড়ার মতো পদক্ষেপ নেয়া হয়নি বলছেন এলাকাবাসী। এঘনায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের নিরাবতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। এলাকাবাসী অভিযোগ করে বলেন রাইটা মহিষকুন্ডি বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাধের উপজেলার মরিচা ইউনিয়নের বৈরাগীর-চর গ্রামের দেড় কিলোমিটার ও ফিলিপনগর ইউনিয়নের পূর্ব মন্ডলপাড়া থেকে ইসলাম পুর পর্যন্ত পদ্মা নদীর ভয়াবহ ভাঙ্গনো প্রায় ৫ কিলোমিটার নদীর গর্ভে বিলীন হয়ে যায়। এদিকে ইসলাম পুর কামার পাড়া থেকে সদর ঘাট হয়ে প্রাগপুর ইউনিয়নের ইসলাম নগর বাধের বাজার পর্যন্ত রক্ষিত থাকে। নদীতে বিলীন হওয়া অনেক ভুমি হীন মানুষ বাধের পাশ্ববর্তী জায়গায় আশ্রয় নিয়ে দির্ঘ্যদিন যাবত বসবাস করে আসছে। পরবর্তিতে তারা অন্য কোথাও না গিয়ে অবৈধ ভাবে ওই জায়গায় পাকা বাড়ী আবার কেউ আর, সিসি কলম ও ভীমদিয়ে তিন চার তলা পর্যন্ত বিল্ডিং ঘর তৈরী করেছে। তাদের দেখা দেখি স্থানীয় প্রভাবশালীরা তাদের সাথে পাল্লা দিয়ে জায়গা দখল করে বিল্ডিংঘর তৈরী করছে, কেউ আবার নিচে গোডাউন উপরে বিলডিং করে বসবাস করছেন।  সরজমিনে গিয়ে দেখা গেছে বাধের বাজারে মৃত আমির সর্দারের দুই ছেলে নহির সর্দার ও বশির সর্দার কলম তুলে মার্কেট করে ভাড়া দিয়েছে, ফজর আলী দেওয়ানের ছেলে মনিরুল ইসলাম কলম দিয়ে নিচে চার টা গোডাউন উপরে বাড়ীর কাজ শুরু করেছে। ইসলামিক ফাউন্ডেশনে চাকরী করা অব: শিক্ষক মিজানুর রহমান চার রুমের বিল্ডিং বাড়ি তৈরী করছে, রফিকুল ইসলাম ২২ টি কলম দিয়ে বাড়ির কাজ চালিয়ে যাচ্ছে, পাশ্ববর্তী বুলবুল আহমেদ পাকা বাড়ি, সদর ঘাটে ৪/৫ টা পাকা দোকান ঘর নির্মাণ করেছে, বাহিরমাদী টলটলি পাড়ায় কালাম সর্দার কলম তুলে নিচে দোকান উপরে বাড়ি তৈরীর কাজ করে যাচ্ছে।  এভাবে ওয়াবদা বাধের জায়গা অবৈধ ভাবে প্রভাবশালীদের দখলে চলে গেলে বাধ বলে আর কিছু থাকবে না বলছেন স্থানীয়রা।  এব্যাপারে কুষ্টিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের (এসডিও) রোকনজ্জামানের সাথে মুটো ফোনে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন সরজমিন তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।