দৌলতপুরে ইসলামী ব্যাংক আল্লারদর্গা শাখায় ১০ ও ২০ টাকার নোট জমা নিতে অনীহা - কুষ্টিয়া জিলাইভ | truth alone triumphs

দৌলতপুরে ইসলামী ব্যাংক আল্লারদর্গা শাখায় ১০ ও ২০ টাকার নোট জমা নিতে অনীহা 

লেখক: প্রতিবেদক ঢাকা
প্রকাশ: নভেম্বর ১৬, ২০২৫

দৌলতপুর প্রতিনিধি ॥ কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে ইসলামী ব্যাংক আল্লারদর্গা শাখায় ১০ ও ২০ টাকার নোট জমা নিতে অনীহা প্রকাশ করার পাশাপাশি গ্রাহকদের সাথে ক্যাশিয়ারের অসৌজন্য মূলক আচরণের অভিযোগ উঠেছে। মো. সাইদুল আনাম বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিচালক বরাবর লিখিত অভিযোগে জানান, গত ১১নভেম্বর দুপুর সাড়ে ১২ টার সময় কুষ্টিয়া দৌলতপুর উপজেলার ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড  আল্লারদর্গা শাখায় আমার এক আত্মীয়র নামে ৫০ হাজার টাকা অনলাইনে পাঠানোর জন্য ব্যাংকের ক্যাশিয়ার তারজিল হোসেন লাভলুর নিকট জমা দেওয়া হয়।

জমাকৃত টাকার মধ্যে ৫০০ টাকার নোট ৭০টি, ১০০ টাকার নোট ১০০টি, ২০ টাকার নোট ২০০টি ও ১০ টাকার নোট ১০০টি মোট ৫০হাজার টাকা। এ সময় কর্তব্যরত ক্যাশিয়ার তারজিল হোসেন লাভলু আমাকে উদ্দেশ্য করে বলেন, এই ব্যাংকে ১০ টাকা এবং ২০ টাকার নোট জমা নেওয়া হয় না। কেন জমা নেওয়া হয় না? জানতে চাইলে তিনি বলেন, গ্রাহকরা খুচরা টাকা নিতে চাই না, তাই আমিও ১০ টাকা ও ২০ টাকার নোট জমা নিতে পারবো না। বাংলাদেশ ব্যাংক যেহেতু এই টাকার নোটগুলো ছাপিয়েছে তাহলে আপনি একজন ব্যাংকের কর্মকর্তা হিসেবে এই টাকাগুলো জমা নিবেন না কেন ?

ব্যাংকে ১০ ও ২০ টাকার নোট জমা নেওয়া যাবে না এমন কোন প্রজ্ঞাপন আছে কিনা? এমন প্রশ্ন করা হলে, তিনি টাকাগুলো গ্রহণ করে উত্তেজিত হয়ে ও অসৌজন্যমূলক আচরণ করে বলেন, তাহলে আপনি বাংলাদেশ ব্যাংকে গিয়ে ১০ ও ২০ টাকার নোটগুলো জমা দিয়ে আসেন। সেই সাথে ভবিষ্যতে ১০ ও ২০ টাকার নোট নিয়ে এই ব্যাংকের না আসার জন্য সতর্ক করে নির্দেশ দেন। এ সময় আমি নিজেকে একজন গণমাধ্যম কর্মী হিসেবে পরিচয় দিলে এবং বিষয়টি বাংলাদেশ ব্যাংকে অবগত করার কথা বললে, তিনি আরো উত্তেজিত হয়ে বলেন, আপনি যত পারেন আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ দেন।

তবুও আমি ১০ ও ২০ টাকার নোট নিব না। তার এমন অসৌজন্য মূলক আচরণে উপস্থিত ব্যাংকে আসা অন্যান্য গ্রাহকরা হতবাক হয়ে যান। জানা গেছে, গ্রাহকদের সাথে এই ক্যাশিয়ার প্রতিনিয়তই অসৌজন্য মূলক আচরণ করে থাকেন। বিষয়টি আমি তাৎক্ষণিকভাবে ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড আল্লারদর্গা শাখার ম্যানেজার কাজী আনিসুর রহমানকে মৌখিকভাবে জানালে, তিনি বলেন, ১০ ও ২০ টাকার নোট জমা নেওয়া যাবে না এ কথা একজন ক্যাশিয়ার বলতে পারেন না, বিষয়টা আমি পরে ক্যাশিয়ার কে বুঝিয়ে বলবো।

তবে তাৎক্ষণিক অভিযুক্ত ক্যাশিয়ারের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা না নিয়ে তিনি আমাকে বিদায় করে দেন। যেহেতু আমি বাংলাদেশের একজন সচেতন নাগরিক ব্যাংকে টাকা জমা দিতে গিয়েছিলাম, আমার সাথে ব্যাংকের ক্যাশিয়ার অসৌজন্য মূলক ও বাজে আচরণ করেছেন সেই সাথে একইভাবে বিভিন্ন গ্রাহকের সাথে অসৌজন্য মূলক আচরণ করে থাকেন তিনি। অভিযোগটি তদন্ত করে ব্যাংকের অভিযুক্ত ক্যাশিয়ার তারজিল হোসেন লাভলুর বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান তিনি।