দৌলতপুর প্রতিনিধি ॥ কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান নঈম উদ্দীন সেন্টু হত্যা মামলার আরো এক আসামি নাঈম হোসেনকে (২২) লক্ষীপুর সদর থেকে গ্রেপ্তার করেছে দৌলতপুর থানা পুলিশ। গত বুধবার দিবাগত রাত ৪ টার সময় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে গতকাল বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) সন্ধ্যায় লক্ষীপুর থেকে দৌলতপুরে নেওয়া হয় আসামিকে। নাঈম দৌলতপুর উপজেলা ফিলিপনগর এলাকার মহসিন সর্দারের ছেলে। আজ শুক্রবার সকালে তাকে কারাগারে পাঠানো হবে। এসময় আসামির রিমান্ড চাইবে পুলিশ। এ তথ্য গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দৌলতপুর থানার পরিদর্শক তারেকুল হক। এর আগে ১৪ অক্টোবর সোমবার রাতে পাবনার গোবিন্দপুর এলাকা থেকে মামলার প্রধান আসামি তরিকুল ইসলাম টুকুকে (৪৫) গ্রেপ্তার করে র্যাব।
নিহত সেন্টু ফিলিপনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ছিলেন। তিনি ওই এলাকার মৃত মতলেব সরকারের ছেলে। গেল ৩০ সেপ্টেম্বর বেলা সাড়ে ১১টার দিকে আধিপত্য বিস্তার ও পূর্ব শত্রুতার জেরে নিজ কার্যালয়ে দুর্বৃত্তদের এলোপাতাড়ি গুলিতে মৃত্যু হয় সেন্টুর। এ ঘটনায় ১ অক্টোবর নিহতের ছেলে আহসান হাবীব বাদী হয়ে দৌলতপুর থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। এতে টুকুকে হত্যাকাণ্ডের মূল পরিকল্পনাকারী ও প্রধান আসামি করে মামলায় ১০ জনের নাম উল্লেখসহ ৮ থেকে ১০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়। এ মামলার পলাতক আসামিরা হলেন, কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার ফিলিপনগর এলাকার সোহাগ হোসেন ওরফে গিট্টু (২২), রওশন (২৩), রাসেল (২৭), লালন (২৬), শামসের আলী গিট্টু (২৩), আল আমিন (২০), হিমেল (২৭) ও ইরাক (৩০)। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, এক সময় সেন্টু উপজেলা বিএনপির সহসভাপতি ছিলেন। পরে স্থানীয় আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য আ ক ম সরোয়ার জাহানের সঙ্গে তাঁর সখ্য গড়ে উঠে। পরে বিএনপির রাজনীতিতে তিনি নিষক্রীয় হয়ে যান।
