খোকসা প্রতিনিধি ॥ ভাড়াকৃত দোকানঘর জোরপূর্বক দখল করে নেয়ার প্রতিবাদে কুষ্টিয়ার খোকসা পৌরসভার সামনে নাগরিক সমাজ ও খোকসা পৌর যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক রাজিবুল ইসলাম রাজিবের নেতৃত্বে গতকাল মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) সকাল ১১ টার দিকে এ মানববন্ধন কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। সে সময় রাজীব বলেন, দীর্ঘ ১৭ বছর আগে পৌরসভার মাছ বাজারের টিনসেড ঘরের প্রথম দোকান ঘর টি। খোকসা হেলালপুর গ্রামের মৃত খুদা বকসের ছেলে মৃত খলিলুর রহমান আশকার কে খোকসা পৌরসভা থেকে স্ট্যাম্পে লিখিত ভাবে তৎকালীন মেয়র,আনোয়ার আহমেদ তাতারী খান দোকান ঘরটি তাকে বরাদ্দ দেন।
পরে বাজারের এক মাছ ব্যবসায়ী আলিম মিয়া রুনু কে মাসিক চুক্তিতে ভাড়া দিলে তিনি আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে আশকার কে আর ভাড়া প্রদান না করে তিনি জোরপূর্বক দোকান ঘরটি দখল করে নেন এবং ভাড়া চাইতে গেলে আমাদেরকে প্রান নাসের হুমকি প্রদান করেন।পরবর্তীতে ২০২৪ সালে আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পরে আমার নিজের দোকান ঘরটি নিজ দখলে নিই। দুই মাস পরবর্তীতে পৌর কর্তৃপক্ষ দোকান ঘরটি তাদের নিজ দায়িত্বে রাখেন এবং গত ২৮ অক্টোবর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও পৌর প্রশাসক রেশমা খাতুন দুপক্ষের সুনানি শেষে আলিম মিয়ারুনুকে আবার ওই দোকান ঘরটি বুঝিয়ে দেয়,
সেই প্রতিবাদে নাগরিক সমাজের উদ্যোগে এ মানববন্ধন করেন। সে সময় তিনি আর ও বলেন বর্তমান পৌর প্রশাসক রেশমা খাতুন, ঘুষ বাণিজ্যের কাছে বিক্রি হয়ে আবার রুনু কে দোকান ঘরটি দখলে দিয়েছে এ ঘটনার প্রতিবাদে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বরাবর তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থার দাবি জানান।এ বিষয়ে আলিম মিয়া রুনু জানান, রাজিব তার কাছে ৬০ হাজার টাকা সিকিউরিটি ও প্রতিমাসে ২ হাজার ৫ শত টাকা ভাড়া দাবী করেন এবং ওইদিনই বলপ্রয়োগ করে ২০ হাজার টাকা ও এক মাসের ভাড়া নিয়ে যায়। পরবর্তীতে বাকী টাকা দিতে না পারলে দোকান থেকে তার সমস্ত মালামাল ফেলে দিয়ে দোকান দখলে নেয় রাজিব। পৌর প্রশাসক রেশমা খাতুন জানান, পৌরসভার দোকান ঘর পৌরসভা কখনোই স্ট্যাম্পে লিখিত করে দেয়নি বা দিতে পারে না।উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইরুফা সুলতানা জানান, উদ্ধার কৃত শুনানি শেষে আমরা প্রকৃত ব্যবসায়ীকে ফেরত দেওয়া হয়েছে । মানববন্ধন কর্মসূচির বিষয়ে তিনি কিছু জানেননা। এ ধরনের কর্মকাণ্ড করলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
