খোকসায় দুই শাতাধিক পরিবারের সদস্যদের অবরুদ্ধ ও ৩ শতাধিক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করার অপচেষ্টা - কুষ্টিয়া জিলাইভ | truth alone triumphs

খোকসায় দুই শাতাধিক পরিবারের সদস্যদের অবরুদ্ধ ও ৩ শতাধিক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করার অপচেষ্টা

লেখক: প্রতিবেদক ঢাকা
প্রকাশ: এপ্রিল ৮, ২০২৩
খোকসায় দুই শাতাধিক পরিবারের সদস্যদের অবরুদ্ধ ও ৩ শতাধিক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করার অপচেষ্টা

রাজনৈতিক বিরোধের রোষানলে পড়ে খোকসায় দুই শতাধিক পরিবার ও তিন শতাধিক ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মালিকরা চরম বিপাকে পড়েছেন। এসব পরিবারকে অবরুদ্ধ ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করতে অপচেষ্টা চালাচ্ছেন একটি বিশেষ মহল। রাজনৈতিক একটি পক্ষের এমন চক্রান্তে চরম অনিশ্চিতের মধ্যে দিন কাটাচ্ছে এসব পরিবারের প্রায় ৬ শতাধিক সদস্য এবং ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের প্রায় ৩ হাজার কর্মকর্তা ও কর্মচারী। কয়েক হাজার মানুষের সমস্যার সমাধান করতে যেয়ে প্রতিপক্ষের রোষানলে পড়েছেন কুষ্টিয়া জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও কুষ্টিয়া জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সদর উদ্দিন খান। কয়েকদিন আগে তিনি বিকল্প রাস্তা তৈরীর উদ্যোগ নিলে উন্নয়ন বিরোধী সংঘবদ্ধ চক্র তা বাধাগ্রস্থ করার চেষ্টা করে এবং সদর উদ্দিন খানের বিরুদ্ধে নানা প্রকার অপকর্মে লিপ্ত হয়।

খোকসায় দুই শাতাধিক পরিবারের সদস্যদের অবরুদ্ধ ও ৩ শতাধিক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করার অপচেষ্টা

খোকসায় দুই শাতাধিক পরিবারের সদস্যদের অবরুদ্ধ ও ৩ শতাধিক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করার অপচেষ্টা

খোকসায় দুই শাতাধিক পরিবারের সদস্যদের অবরুদ্ধ ও ৩ শতাধিক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করার অপচেষ্টা

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, খোকসা উপজেলার শোমসপুর বাজারের উপর দিয়ে চলে গেছে খুলনা-গোয়ালন্দ রেললাইন এবং বাজারের সাথে খোকসা রেলওয়ে স্টেশন। খোকসা রেল স্টেশনের পশ্চিমে দিকে রেললাইন সংলগ্ন রয়েছে প্রায় দুশ শতাধিক পরিবারের বসতি এবং তিন শতাধিক দোকান ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। যার মধ্যে রয়েছে পাট ব্যবসায়ী এবং হাসকিং চাউল মিলসহ বড় বড় ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। এসব প্রতিষ্ঠানে প্রায় তিন হাজার কর্মকর্তা এবং কর্মচারি কাজ করছেন। রেললাইন সংলগ্ন রাস্তাটি এসব ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও বসত বাড়িতে যাতায়াতের জন্য ব্যবহার করে থাকে।

কিন্তু কিছু দিন আগে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ রাস্তাগুলো বন্ধের উদ্যোগ নেয় এবং রেল ক্রসিংয়ের পূর্ব পাশের রাস্তা ইতিমধ্যে বন্ধ করে দিয়েছে। স্থানীয় ব্যবসায়ী এবং বাসিন্দাদের অনুরোধে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ পশ্চিমের রাস্তাটি বন্ধ না করলেও এক মাসের সময় বেঁধে দিয়ে বিকল্প রাস্তার ব্যবস্থা করতে নির্দেশ দেন। এতে চরম দূঃচিন্তায় পড়েন ব্যবসায়ী পরিবারগুলো।

খোকসায় দুই শাতাধিক পরিবারের সদস্যদের অবরুদ্ধ ও ৩ শতাধিক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করার অপচেষ্টা

এ বিষয়ে স্থানীয়দের সাথে কথা হলে তারা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, রেলওয়ে রাস্তাটি বন্ধ করে দিলে আমাদের সমস্যার কোন সীমা থাকবে না। বাড়িতে কেউ অসুস্থ হয়ে পড়লেও তাদের হাসপাতালে নেওয়া সম্ভব হবে না। এছাড়াও রাস্তাটি বন্ধ হয়ে গেলে এবং বিকল্প কোন রাস্তা নির্মাণ করা না গেলে অগ্নিকান্ডের মত দূর্ঘটনা ঘটলে ফায়ার সার্ভিসের কর্মিরা তাদের গাড়ি নিয়ে ঢুকতে পারবে না। তাতে পরিনাম অত্যন্ত ভয়াবহ হবে ।

শোমসপুর বাজারের ব্যবসায়িদের সাথে কথা হলে তারা জানান, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সামনে যদি গাড়ি না আসতে পারে তাহলে আমরা কিভাবে মালামাল নিয়ে আসবো। আর কিভাবেই তা প্রতিষ্ঠান থেকে বাইরে সরবরাহ করবো। রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ তাদের রাস্তাটি বন্ধ করে দেবে এই খবর শোনার পর বিষয়টি আমরা কুষ্টিয়া জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও কুষ্টিয়া জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা সদর উদ্দিন খানকে আমাদের সমস্যার কথা জানাই। তিনি আমাদের বিকল্প রাস্তার ব্যবস্থা করেবেন বলে আশ্বস্ত করেন। সেই সাথে তিনি আমাদেরকে জানান, রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের সাথে কোন সমঝোতা করতে না পারলে শোমসপুর বাজার সংলগ্ন ব্রীজের সাথে তার নিজের নেওয়া লিজকৃত জমি দিয়ে তিনি বিকল্প রাস্তার ব্যবস্থা করে দিবেন।

খোকসায় দুই শাতাধিক পরিবারের সদস্যদের অবরুদ্ধ ও ৩ শতাধিক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করার অপচেষ্টা

ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী এবং বাসিন্দারা আরো জানান, স্থানীয়দের অনুরোধে কয়েকদিন আগে আমরা কুষ্টিয়া জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও কুষ্টিয়া জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সদর উদ্দিন খান বিকল্প রাস্তা নিমার্ণের উদ্যোগ নিলে উন্নয়ন বিরোধী সংঘবদ্ধ চক্র তা বাধাগ্রস্থ করার চেষ্টা করেন এবং তার বিরুদ্ধে নানা প্রকার অপকর্মে লিপ্ত হয়। চক্রটি এতদিন তাদের স্বার্থসিদ্ধির জন্য আওয়ামীলীগের ছায়াতলে নিজেদের আগলে রেখেছিল। আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে তারা তাদের মুখোশ খুলতে শুরু করেছে। আওয়ামীলীগে ঘাঁপটি মেরে থাকা চক্রটি আওয়ামীগের উন্নয়নে কালিমা লেপন করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে। তারা আসলে আওয়ামীলীগের ছত্রছায়ায় থেকে নিজেদের উন্নয়ন নিয়ে ব্যস্ত। এলাকার মানুষের সুযোগ সুবিধা নিয়ে তারা কখনোই চিন্তা করে না ।

google news

গুগোল নিউজে আমাদের ফলো করুন

সরেজমিনে আরো দেখা যায়, শোমসপুর বাজারের প্রবেশ পথের একমাত্র ব্রীজটিরও বেহাল দশা। ব্রীজের একপাশের হ্যাঙ্গার বা নিরাপত্তা বেষ্টনীর পুরোটাই ভেঙ্গে গেছে। যার ফলে ব্রীজে চলাচলকারীরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাফেরা করছেন। মাঝে মধ্যেই তাঁদের দূর্ঘটনায় পড়তে হচ্ছে। এছাড়াও ব্রীজটি প্রয়োজনের তুলনায় অত্যন্ত সরু হাওয়ায় সাপ্তাহিক বাজারের দিনে এলাকাবাসীকে সীমাহীন দূর্ভোগের কবলে পড়তে হয়। এলজিইডি’র অবহেলার কারণে ব্রীজের সমস্যা সমাধানের কোন কুল কিনারা পাচ্ছেন না জনপ্রতিনিধিরাও।

খোকসায় দুই শাতাধিক পরিবারের সদস্যদের অবরুদ্ধ ও ৩ শতাধিক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করার অপচেষ্টা

হাসকিং চাউল মিলে কর্মরত কুলসুম জানান, আমরা গত ২২ বছর ধরে কাজ করছি। এই কাজের উপরেই আমার জীবন জীবিকা নির্ভর করে । এই কাজ করে দুইটা মেয়ে বিয়ে দিয়েছি, জমি কিনেছি, ঘর করেছি। এখন যদি রাস্তার সমস্যার কারণে মিল বন্ধ হয়ে যায় তাহলে আমাদের না খেয়ে মরা লাগবে।

হাসকিং চাউল মিলে কর্মরত শ্রমিক সেলিনা জানান, আমরা এখানে ১৫ থেকে ১৬ বছর ধরে কাজ করতেছি। এখানে সব মিলে প্রায় ৫শ এর উপরে শ্রমিক আছে। যদি এই রাস্তা বন্ধ করে দেয় এবং নতুন রাস্তা না হয় তাহলে মিল কারখানায় ধান আসবে না। মিলগুলো বন্ধ হয়ে যাবে। আমাদের না খেয়ে মরা লাগবে ।

হাসকিং চাউল কলের শ্রমিক মুজিবর রহমান মজনু জানান, আমি গত ১১ বছর এখানে কাজ করি। এই কাজের উপর নির্ভর করেই আমার পাঁচ ছেলে মেয়েসহ সংসার চলে। রাস্তার অভাবে মিল কারখানা বন্ধ হয়ে গেলে আমরা না খেয়ে মারা যাবো। রাস্তার সমস্যার সমাধান না হলে আমাদের কর্ম থাকবে না ।

খোকসায় দুই শাতাধিক পরিবারের সদস্যদের অবরুদ্ধ ও ৩ শতাধিক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করার অপচেষ্টা

স্থানীয় বাসিন্দা অনিমা বলেন, আমরা গরীব মানুষ, কাজ করে খাই। কাজ না করলে আমাদের সংসার চলে না। আমার বাবা স্টোক করে বিছানা পড়ে আছে অনেক দিন। রাস্তা না হলে তো আমাদের বিপদ। স্থানীয় বাসিন্দা তরুন জানান, আমার বয়স এখন ৩০ বছর। বুদ্ধির পর থেকে আমি ব্রীজের নিচে দিয়ে পানি যাওয়া দেখি নাই। ব্রীজের দুই পাশই আটকানো। ব্রীজটি প্রয়োজনের তুলনায় সরু হাওয়ায় এবং ব্রীজের একপাশের হ্যাঙ্গার পুরোটাই ভেঙ্গে যাওয়ায় পারাপারের সময় মানুষ সব সময়ই আতঙ্কে থাকে। এই ব্রীজে প্রায়ই দূর্ঘটনা ঘটে।

জানতে চাইলে শোমসপুর বাজারের এক প্রবীন ব্যবসায়ী জানান, এটা সদর উদ্দিন খানের একার সমস্যা না। এটা আমাদের বৃহত্তর এলাকার সকল জনগনের সমস্যা। এখানে সপ্তাহে দুইটা হাট বসে। হাটের দিন এখানে প্রচুর গাড়ি আসে। কিন্তু ব্রীজটা সংকীর্ণ হওয়ার কারণে যাতায়াতে খুব সমস্যা হয়। ব্রীজের নিচ দিয়ে পানি প্রবাহিত হয় না, তাই ব্রীজ ভেঙ্গে এখানে রাস্তা প্রসারিত করলে যানযট সৃষ্টি হবে না। আর সবচেয়ে বড় কথা এখানে রেলের যে জায়গা ছিলো তারা বেরিকেড দিয়ে আটকিয়ে দিচ্ছে। অথচ এখানে বেশ কয়েকটা ধানের চাতাল আছে, সেখানে অনেক শ্রমিক কাজ করে। এছাড়ও এখানে অনেক লোকের বসবাস। তাদের যাতায়াতের পথ বন্ধ হয়ে গেছে। আমাদের প্রাণের দাবি এদিক দিয়ে যদি রাস্তাটা হয়, তাহলে এখানকার শ্রমিকরা স্বাচ্ছন্দে যাতায়াত করতে পারবে এবং বাসিন্দাদের কোন সমস্যা থাকবে না। এখানে ব্রীজের কোন প্রয়োজন নেই । শোমসুপর ইউনিয়ন পরিষদের ৯ নং ওয়ার্ডের সদস্য আনোয়ারুল বলেন, শোমসপুর বাজারে আসার এই একটি মাত্র রাস্তা। রাস্তা চওড়া হলেও সেই তুলনায় ব্রীজটি অত্যন্ত সরু।

খোকসায় দুই শাতাধিক পরিবারের সদস্যদের অবরুদ্ধ ও ৩ শতাধিক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করার অপচেষ্টা

এছাড়াও রেলওয়ের রাস্তাটি বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেয়ায় সমস্যা আরো জটিল আকার ধারণ করেছে। একদিকে যেমন সরু ব্রীজের সমস্যা, ঠিক তেমনি অন্যদিকে প্রায় ৩শ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান এবং দুই শতাধিক পরিবারের রাস্তার সমস্যা। এ অবস্থায় ব্রীজটি ভেঙ্গে রাস্তা চওড়া করাসহ পাশ দিয়ে আর একটি রাস্তা করলে সব সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।

এই বিষয়ে জানতে চাইলে খোকসা পৌরসভার ১নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও প্যানেল মেয়র মনিরুজ্জামান টিপু জানান, রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ কর্তৃক রাস্তা আটকানোর বিষয়ে জানতে পেরে লোকজন আমার কাছে আসে। পরবর্তিতে বিষয়টা নিয়ে আমি জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা সদর উদ্দিন খানকে জানায়। তিনি সাথে সাথে তার নিজের লিজকৃত জায়গা দিয়ে রাস্তা করার জন্য বলেন। রাস্তা আসলেই কতটুকু প্রয়োজন জানতে চাইলে মনিরুজ্জামান টিপু জানান, (বৃহস্পতিবার) হাটের দিন ছিলো। ব্রীজ সরু হাওয়ার কারনে যানযট লেগেই থাকে। ব্রীজের উপর একটা ট্রাক উঠলেই ব্রীজ কাঁপে এবং পাশ দিয়ে আর ভ্যান উঠার জায়গা থাকে না। হাটের দিনে এখান দিয়ে ৬০ থেকে ৭০ হাজার লোক যাওয়াত করে। সরু ব্রীজের কারণে যানযট লেগেই থাকে। তাছাড়াও ব্রীজের দুই দিকেই পানি প্রবাহ বন্ধ। ঝুঁকিপূর্ণ ব্রীজটি মূলত পানি প্রবাহের কোন কাজেই আসে না।

এই বিষয়ে শোমসপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বদর উদ্দিন খান ফোন রিসিভ না করায় তার সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি ।

এ বিষয়ে খোকসা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রিপন বিশ্বাসের সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি জানান, রেল কর্তৃপক্ষ তাদের জায়গা উদ্ধার করছে। ব্যবসায়ী ও বাসিন্দারা অবরুদ্ধ এই বিষয়টি আমার জানা নেই ।

এই বিষয়ে খোকসা পৌরসভার মেয়র তারিকুল ইসলাম বলেন, শোমসপুর বাজারে আগের ব্রীজে কোন পানি প্রবাহ নেই। তাই জনস্বার্থে সরু ব্রীজ অপসারণ করে রাস্তা প্রশস্ত করাই উত্তম। যেহেতু রাস্তা বন্ধ করার উদ্যোগ নিয়েছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। তাই ব্যবসায়ী এবং অত্র এলাকার সাধারণ মানুষের দূর্ভোগ নিরসনে ব্রীজের পাশ দিয়ে একটি বাইপাস সড়ক নির্মাণ করার উদ্যোগ গ্রহন করলে এলাকার সাধারণ মানুষ ও ব্যবসায়ীরা উপকৃত হবে। এই বিষয়ে পৌরসভার পক্ষ থেকে ইতিমধ্যে আবেদন করা হয়েছে ।

জনদূর্ভোগের বিষয়টি জানতে কুষ্টিয়া-৪ (কুমারখালী-খোকসা)’র সংসদ সদস্য ব্যারিষ্টার সেলিম আলতাফ জর্জ মুঠোফোনে জানান, তাদেরকে একটি স্মারকলিপি দিতে হবে রেলের কাছে। ক্ষতিগ্রস্থরা যদি যথাযথ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে যায় তখন আমি কিছু বলতে পারি। এখন কিছু বলতে পারবো না ।

খোকসায় দুই শাতাধিক পরিবারের সদস্যদের অবরুদ্ধ ও ৩ শতাধিক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করার অপচেষ্টা

এই বিষয়ে কুষ্টিয়া জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও কুষ্টিয়া জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ¦ সদর উদ্দিন খান বলেন, রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ পূর্ব পাশের রাস্তা ইতিমধ্যে বন্ধ করে দিয়েছে। পশ্চিম পাশের রাস্তাও বন্ধ করতে চেয়েছিলো। কিন্তু জনগণের দাবীর মুখে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ একমাসের সময় দিয়েছে বিকল্প ব্যবস্থা করতে। ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী, বাসিন্দারাসহ স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা আমার কাছে তাদের সমস্যা জানাতে এসেছিলো। জনদূর্ভোগের কথা ভেবে আমি রাস্তার জন্য আমার নিজস্ব জায়গা দিয়েছি। কিন্তু একটি কুচক্রী মহল এলাকার উন্নয়ন চায় না। তারা এই কাজকে বাঁধাগ্রস্থ করছে। যেখানে প্রায় তিন শতাধিক ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠান এবং দুই শতাধিক পরিবারের প্রায় এক হাজার মানুষের সমস্যা, সেই বিষয় নিয়ে নোংড়া রাজনীতিতে মেতে উঠেছে বিশেষ একটি মহল। আশা করি দ্রুত এই সমস্যার সমাধান হবে ।

আরও পড়ুন: