নিজ সংবাদ ॥ গত বছরের ৫ই আগস্ট বৈষম্য বিরোধী ছাত্র জনতার আন্দোলনের মুখে দেশ ছাড়েন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শেখ হাসিনার দেশ ছাড়ার সংবাদ ছড়িয়ে পড়ার সাথে সাথে গাঁ ঢাকা দিতে শুরু করে ১৫ বছর দেশের ক্ষমতায় থাকা রাজনৈতিক দলটির ও দলের অঙ্গ সংগঠনের নেতা কর্মিরা। সারা দেশের মত কুষ্টিয়াও হয়ে পড়ে নেতা কর্মি শূণ্য। কুষ্টিয়া প্রভাবশালী বেশ কয়েকজন নেতা সরকার পতনের কয়েক দিনের মধ্যেই পাড়ি জমান পাশের দেশ ভারতে। যার মধ্যে রয়েছেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রী যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও কুষ্টিয়া সদরের সাবেক সাংসদ মাহবুবউল আলম হানিফ এবং মিরপুর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও কুষ্টিয়া-৩ আসনের সাবেক সাংসদ কামারুল আরেফিন।
তথ্যমতে, কুষ্টিয়া জেলা আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের অধিকাংশ নেতা কর্মিরা বর্তমানে দেশের রাজধানী শহর ঢাকায় আতœগোপনে রয়েছে। এদিকে জেলা পর্যায়ের নেতারা আতœগোপনে থাকলেও তৃণমূল পর্যায়ের নেতারা দলকে আবারও শক্তি যোগানোর চেষ্টা করছে। দলকে আবারও একতাবদ্ধ করার চেষ্টা করছেন আওয়ামী লীগের তৃণমূলের নেতা কর্মিরা। গত শুক্রবার (৩ জানুয়ারী) দিবাগত রাতে কুষ্টিয়া পৌরসভার জগতি এলকায় শহর যুবলীগের ব্যানারে প্রতিবাদী মিছিল করে দলটির নেতা কর্মিরা। যদিও হামলার ভয়ে সেই প্রতিবাদী মিছিলের স্থায়ীত্ব ছিলোনা বললেই চলে। সেই কে বা কাহারা ঐ মিছিল করেছে সেই সংক্রান্ত কোন তথ্য নেই কারো কাছে। এদিকে কুষ্টিয়া শহরের বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ দেওয়ালে জয় বাংলা স্লোগান লেখা দেখা গেছে।
বিশেষ করে কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসনের প্রধান ফটকের বামপাশে বেশ বড় করেই লেখা হয়েছে “ জয় বাংলা”। এছাড়া কুষ্টিয়া ডাক অফিসের দেওয়াল সহ শহর সমাজ সেবা কার্যালয়ের দেওয়ালে বেশ কয়েক জায়গায় “জয় বাংলা” স্লোগান লেখা দেখা যায়। ধারণা করা হচ্ছে শুক্রবার দিবাগত রাতের কোন এক সময়ে শহরের বিভিন্ন দেওয়ালে “জয় বাংলা” স্লোগান লেখা হযেছে। যদি সুনির্দিষ্ট তথ্য নেই কারো কাছে। এই বিষয়ে জানতে কুষ্টিয়া মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ শিহাবুর রহমান শিহাবের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, শহরের দেওয়ালে হয়তো জয় বাংলা স্লোগান লেখা থাকতে পারে তবে কোন মিছিল হয়নি।
