ঝুঁকিপূর্ণ সেতু, বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা - কুষ্টিয়া জিলাইভ | truth alone triumphs

ঝুঁকিপূর্ণ সেতু, বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা

লেখক: প্রতিবেদক ঢাকা
প্রকাশ: এপ্রিল ২০, ২০২৪

ভেড়ামারা প্রতিনিধি ॥ ১৯৭১ সালে পানি উন্নয়ন বোর্ডের তত্ত্বাবধানে ডি ৫ কাটা খালের ওপর ৪০ মিটার দৈর্ঘ্যের সেতুটি নির্মিত হয় কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার খলিশাকুন্ডি ইউপির উত্তর পার্শ্বে। কাটা নদীর ওপর নির্মিত সেতুটির মাঝখানে ভেঙে গর্ত হয়ে গেছে। ফলে ঝুঁকি নিয়েই সেতুর ওপর দিয়ে চলাচল করছে যানবাহন। যেকোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। সেতুটির মাঝখানে গর্তের ওপর দিয়ে চলাচল করছে সাধারণ মানুষ। সেতুর ওপর দিয়ে যানবাহন চলাচল ঝুঁকিপূর্ণ জেনেও মালবাহী ট্রাক, বাস, স্যালো ইঞ্জিন চালিত ট্রলি, সিএনজিচালিত অটোরিকশা ও ব্যাটারিচালিত রিকশা চলাচল করছে। যানবাহন চলাচলের সময় যেকোনো মুহূর্তে সেতুটি ভেঙে ঘটতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সেতুটি দিয়ে খলিশাকুন্ডি ইউপির ১০ ওয়ার্ডের মানুষসহ প্রায় ১৫ গ্রামের ২০ হাজারের বেশি মানুষ চলাচল করে। সরেজমিন দেখা যায়, সেতুর মাঝ বরাবর বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। এলাকাবাসী দুর্ঘটনা এড়াতে ঐ গর্তের ওপর দিয়ে ট্রাক চলাচলের সময় কাঠ ব্যবহার করতে হচ্ছে। দীর্ঘদিন সেতুটি ভাঙা অবস্থায় থাকলেও সেটি মেরামতের উদ্যোগ নেয়নি কর্তৃপক্ষ। ফলে প্রায়ই ঘটে ছোটখাটো দুর্ঘটনা। সেতুটি ঝুঁকিপূর্ণ হলেও শুধু এক পাশে দেওয়া হয়েছে সতর্কতামূলক সাইনবোর্ড। স্যালো ইঞ্জিন চালিত ট্রলি চালক জহুরুল ইসলাম বলেন, সেতুটির ওপর দিয়ে চরম ঝুঁকি নিয়ে আমাদের যানবাহন চালাতে হচ্ছে। এক প্রকার বাধ্য হয়েই এ সেতুটি ব্যবহার করছি। সেতু ব্যবহার না করলে আমাদের কয়েক কিলোমিটার রাস্তা বেশি ঘুরতে হয়। সেতুটি খুব শিগগিরই মেরামত করা প্রয়োজন। স্থানীয় বাসিন্দা রাসেল হোসেন, কামরুল ইসলাম, আদালত মুন্সি জানান, সেতুটির বর্তমান অবস্থা এমন যানবাহন চলাচল মুশকিল। সেতুর মাঝের গর্তটি বেশ বড় হয়ে গেছে। কোনোরকম অসাবধানতায়  ঘটতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা। খলিশাকুন্ডি ইউপি চেয়ারম্যান জুলমৎ হোসেন বলেন, ভোরের আলো ফোটার সঙ্গে সঙ্গে ১৫-২০ গ্রামের মানুষের জমিতে উৎপাতি ফসল সবজি বোঝাই গাড়ি নিয়ে সেতুটির ওপর দিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে আসতে হয় কুষ্টিয়া জেলার সবচেয়ে বড় কাঁচা মালের আড়ৎ খলিশাকুন্ডি কাঁচাবাজারে। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। কুষ্টিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. রাশিদুর রহমান বলেন, ঐ সেতুর বিষয়টি সম্পর্কে আমরা অবগত আছি। সেতু নির্মাণের জন্য প্রয়োজনীয় বরাদ্দ চেয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। বরাদ্দ পেলে একই স্থানে নতুন করে সেতু নির্মাণ করা হবে।