ঢাকা অফিস ॥ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) সহায়ক কর্মচারী পরিষদের নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করা হয়েছে। পূর্ব ঘোষিত তারিখ হিসেবে আজ বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সভাপতি হচ্ছেন জুলাই আন্দোলনের বিরোধী ভূমিকায় থাকা আইসিটি সেলের সহায়ক কম্পিউটার অপারেটর অঞ্জন-উর-রহমান। নির্বাচন কমিশনার সূত্রে জানা গেছে, ১৩ পদের বিপরীতে ১ জন করে মনোনয়ন তোলায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হচ্ছেন তারা। তবে কোন আইনে বা কোন পদ্ধতিতে হচ্ছে তা নিশ্চিত করতে পারেনি কমিশনার। একাধিক কর্মচারীর সাথে কথা বলে জানা যায়, অন্যান্য নির্বাচন (শিক্ষক কর্মকর্তা) বন্ধ করে রেখেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
নিজেরা ভাগবাটোয়ারা করে পদ নিয়ে ম্যাকানিজম করা হয়েছে। ক্যাম্পাস সূত্রে জানা গেছে, গত বছরের জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সময় ৩ আগস্ট তৎকালীন উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মাহবুবর রহমানকে সভাপতি করে কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. আলমগীর হোসেন ভূঁইয়ার অফিস কক্ষে একটি মিটিং অনুষ্ঠিত হয়। ওই বৈঠকে প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহাদৎ হোসেন আজাদ, সহকারী প্রক্টর আমজাদ হোসেন, মিঠুন বৈরাগী, ইয়ামিন মাসুম, ছাত্র উপদেষ্টা ড. বাকি বিল্লাহ বিকুল, আইসিটি বিভাগের অধ্যাপক ড. পরেশ চন্দ্র বর্মণ, অধ্যাপক ড. তপন কুমার জোদ্দার, অধ্যাপক ড. মাহবুবুল আরফিনসহ ২০-২৫ জন শিক্ষক উপস্থিত ছিলেন। ওই সভায় আইসিটি সেলের সহায়ক কর্মচারী ইলিয়াস জোদ্দার, অঞ্জন-উর-রহমান, ইব্রাহীম হোসেন সোনাসহ কয়েকজন কর্মচারীও অংশ নেন। বৈঠক শেষে যেকোনো মূল্যে ছাত্র জনতার আন্দোলন প্রতিহত করার ঘোষণা দেওয়া হয়।
এদিকে গত ৯ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত সাধারণ সভায় আসন্ন ২০২৫-২৬ কার্যনির্বাহী পরিষদের নির্বাচনের তপসিল ঘোষণা করা হয়। এতে ১৩টি পদের বিপরীতে মনোনয়ন আহ্বান করা হয়। পরে ১৭ ডিসেম্বর মনোনয়ন যাচাই-বাছাই ও চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করা হয়। প্রতিটি পদে একজন প্রার্থী থাকায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সভাপতি হচ্ছেন অঞ্জন-উর-রহমান। নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক কর্মচারী জানান, অঞ্জন জুলাইয়ের সময় বিরোধিতাকারী ছিলেন। তাকে বিভিন্ন মিটিংয়ে দেখা গেছে, সে আন্দোলন নস্যাতে সহযোগিতাও করেছে। সে সভাপতি হলে জুলাই আন্দোলনের মর্যাদা ক্ষুণ্ণ হবে। তবে জুলাইবিরোধী তালিকায় নাম থাকার বিষয়টি নিয়ে জানতে যোগাযোগ করা হলে পাওয়া যায়নি কোনো উত্তর।
এবিষয়ে জানতে চাইলে নির্বাচন কমিশনার সহকারী রেজিস্ট্রার মো. কবির হোসেন বলেন, ‘আগামীকাল নির্বাচন হচ্ছে না। অন্য কেউ মনোনয়ন না তোলায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় দায়িত্ব পাচ্ছে। প্রতিদ্বন্দ্বী বেশি থাকলে তো যাছাই বাছাই করার সুযোগ থাকে।’ বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কনসার্নে নির্বাচনী আয়োজন হচ্ছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এগুলো সিম্পল বিষয়, ওইভাবে কর্তৃপক্ষের অনুমোদন লাগে না।’ এবিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ বলেন, ‘আমি নিজেও জানি না কারা কখন নির্বাচন আয়োজন করছে। শিক্ষক কর্মকর্তার নির্বাচন স্থগিত রাখার নির্দেশনা রয়েছে। প্রশাসনের কনসার্নের বাহিরে নির্বাচন করলে অনুমোদন দেওয়া হবে না।
