মোশারফ হোসেন ॥ আধ্যাত্মিক সাধক বাউল সম্রাট ফকির লালন শাহের ১৩৪ তম তিরোধান দিবস। এ উপলক্ষে কুষ্টিয়ার ছেঁউড়িয়া লালন আখড়াবাড়িতে তিনদিন ব্যাপী লালন মেলার আয়োজন করা হয়েছে। লালন মেলার আগে থেকেই ভক্ত-অনুসারীরা দূরদূরান্ত থেকে আসতে শুরু করেছেন। তিরোধান দিবস উপলক্ষে ট্রেন যাত্রীদের ঢল নেমেছে। যাত্রীদের অবস্থা এমন, যে কোনো মূল্যে ট্রেনে উঠতেই হবে। তাইতো জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ট্রেনের ছাদে উঠে যাচ্ছে সাঁইজির বারামখানায়। প্রতিদিন ঢাকা কুমলাপুর থেকে মেল ট্রেন ও রাজবাড়ী থেকে শাটল ট্রেনে হাজার – হাজার মানুষ আসছে লালন মেলায়।
গতকাল শুক্রবার (১৮ অক্টোবর) সন্ধ্যায় কুমারখালী শহরের রেলস্টেশন এলাকা ঘুরে এ দৃশ্য দেখা গেছে। জাহাঙ্গির নামের একজন যাত্রী বলেন, লালন সাঁইয়ের মাজারে আসার জন্য মই দিয়ে ট্রেনের ছাদে উঠেছি। ভাই আমার বাড়ি ঢাকা জেলায়। ঢাকা থেকে এসেছি আবার কালকে ট্রেনে করে চলে যাবো। কষ্ট হইলেও ট্রেনের ছাদে উঠে যাচ্ছি। যাত্রীরা জানান, ঢাকার রাস্তায় অনেক যানজট। বাসে গেলে অনেক সময় লাগে। ঝামেলাও অনেক পোহাতে হয়। তাই একটু কষ্ট করে হলেও ট্রেনে যাচ্ছি। অল্প সময়েই গন্তব্যে পৌঁছাতে পারবো। স্থানীয়রা বলেন, প্রতিদিন হাজার-হাজার মানুষ ঢাকা সহ বিভিন্ন জেলা থেকে ট্রেনে করে লালন সাঁইয়ের মাজারে যাচ্ছে।
অন্যান্য বছরে তুলনায় এবার মানুষ সমাগম বেশি। কুমারখালী রেল স্টেশন মাস্টার শরিফুল ইসলাম বলেন, ঢাকা কুমলাপুর থেকে মেল ট্রেন ও শাটল ট্রেনে লালন শাহ মাজারের উদ্দেশে অনেক মানুষ ট্রেনে ছাদে উঠে আসছে। এই বিষয়ে উর্দ্ধতন কর্মকর্তা অবগত আছেন। আমাদের কিছু করার নেই। এমন হাওয়ার কারণ হলো খুব কম টাকায় ট্রেনে যাতায়াত করা যায় এবং খুব সহজেই ঢাকা থেকে কুষ্টিয়া আসা যায়।
