ইবিতে হাজারো শিক্ষার্থীর ভীড়ে দেখা মিলল একজন ছোট্ট পরীক্ষার্থীকে - কুষ্টিয়া জিলাইভ | truth alone triumphs

ইবিতে হাজারো শিক্ষার্থীর ভীড়ে দেখা মিলল একজন ছোট্ট পরীক্ষার্থীকে

লেখক: প্রতিবেদক ঢাকা
প্রকাশ: মে ২০, ২০২৩
ইবিতে হাজারো শিক্ষার্থীর ভীড়ে দেখা মিলল একজন ছোট্ট পরীক্ষার্থীকে

ইবির অনুষদ হতে হাজার হাজার শিক্ষার্থীদের মাঝে দেখা মিলল একজন ছোট্ট পরীক্ষার্থীকে। দেখে মনে হবে ক্লাস টু কিংবা থ্রিতে পড়ে। এতো শিক্ষার্থীর ভিড়ে ছোট্ট বালকটিকে দেখে হকচকিয়ে গেলাম।

ইবিতে হাজারো শিক্ষার্থীর ভীড়ে দেখা মিলল একজন ছোট্ট পরীক্ষার্থীকে

ইবিতে হাজারো শিক্ষার্থীর ভীড়ে দেখা মিলল একজন ছোট্ট পরীক্ষার্থীকে

ইবিতে হাজারো শিক্ষার্থীর ভীড়ে দেখা মিলল একজন ছোট্ট পরীক্ষার্থীকে

পরীক্ষার্থীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেল- ভর্তি পরীক্ষা দিতে আসা হাজারও শিক্ষার্থীর মতো তারও স্বপ্ন বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি হওয়া। শারীরিক প্রতিবন্ধকতা পেরিয়ে ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করা ছেলেটির নাম নাহিদ হাসান। তিনি উচ্চতায় ৪ ফুট। তার সঙ্গে এসেছেন বাবা আরিফ মালিথা। তিনি একজন কৃষক। তিন ভাই বোনের মধ্য দ্বিতীয় নাহিদ। বাসা ঝিনাইদহ জেলার হরিণাকুন্ডু থানার ভেড়াখালি গ্রামে।

google news

গুগোল নিউজে আমাদের ফলো করুন

নাহিদ এসএসসি শেষ করেছেন ভেড়াখালি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও এইচএসসি জোড়াদহ কলেজ থেকে। তার এসএসসি ও এইচএসসি ফলাফল ছিল ৩.৩৩ ও ৪.০০। তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায়ও অংশগ্রহণ করবেন।

নাহিদের ইচ্ছা ম্যাজিস্ট্রেট হওয়ার। তার এই ইচ্ছাকে বাস্তবে রুপ দিতেই বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষা দিতে আসা। ছেলের এমন অদম্য ইচ্ছা শক্তি দেখে সবসময় অনুপ্রেরণা হয়ে পাশে থেকেছেন মা-বাবা। তাদের সহযোগিতার কারণে আজ তার এ পর্যন্ত আসা।

নাহিদ বলেন, শারিরীকভাবে প্রতিবন্ধকতা থাকলেও এ নিয়ে কখনও ছিল না হীনমন্যতা। বড় হওয়ার ইচ্ছে শক্তি থেকেই আজ এ পর্যন্ত আসা। বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার মাধ্যমেই আরও একধাপ এগিয়ে যাব। পরিবার, সমাজ, স্কুল কলেজের সব ক্ষেত্রে সহপাঠী, শিক্ষকরা আমায় সবসময় উৎসাহ দিয়েছেন। পড়াশোনার ক্ষেত্রে সাহায্য করেছেন।

নাহিদের বাবা বলেন, আমার ছেলের শারীরিক প্রতিবন্ধকতা থাকলেও আমি এবং আমার পরিবার ছেলের প্রতি কখনোই অযত্ন করিনি। ছোট থেকে আমার বড় ছেলের মতোই ওকে আদর যত্ন করে বড় করেছি। তার ইচ্ছে পড়াশোনা করে মানুষের মতো মানুষ হওয়ার। অন্য ছেলেদের যেভাবে পড়ালেখার কথা বলা লাগে, আমার ছেলেকে কখনও বলতে হয়নি। সে তার নিজ ইচ্ছে থেকেই পড়ালেখা করে। আমি আমার ছেলেকে নিয়ে গর্ববোধ করি। আমার ছেলে যেন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ে জীবনে সফল হতে পারে এই কামনা করি।

আরও পড়ুন: