রঞ্জুউর রহমান ॥ গতকাল রবিবার ২৯ সেপ্টেম্বর সকাল দশটা জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে জেলা প্রশাসন কুষ্টিয়া ও বাংলাদেশ শিশু একাডেমি এর আয়োজনে “প্রতিটি শিশুর অধিকার, রক্ষা আমাদের অংগীকার”এই প্রতিপাদ্যে বিশ্ব শিশু দিবস ও শিশু অধিকার সপ্তাহ’ ২০২৪ উদযাপন উপলক্ষ্যে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন,অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) এবং উন্নয়ন ও মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনা মোঃ মিজানুর রহমান এছাড়াও আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন,
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপস্) পলাশ কান্তি নাথ, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান, জেলা শিশু বিষয়ক কর্মকর্তা মোঃ মখলেছুর রহমান এবং জেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীবৃন্দ এসময় উপস্থিত ছিলেন। আলোচনা সভা শেষে মনমুগ্ধকর সংস্কৃতি অনুষ্ঠানের মাধ্যমে অনুষ্ঠানটি সমাপ্তি হয়। আলোচনা সভায় উপস্থিত বক্তারা বলেন,বিশ্বের বিভিন্ন দেশে অনেক শিশুই অবহেলায় রয়েছে।
ঠিকমত খাদ্য, বাসস্থান ও পড়াশোনার সুযোগ অনেকেই পায় না। তাদের কথা ভেবেই এমন থিম নির্বাচন। এই থিমের মূল বক্তব্য সব শিশুকেই তাদের মৌলিক অধিকারের সুযোগ করে দিতে হবে। তারা যেন তাদের সুস্থ জীবনযাপন করতে পারে, তা সুনিশ্চিত করতে হবে। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপস্) পলাশ কান্তি নাথ বলেন, আজকের শিশু আগামী দিনের ভবিষ্যৎ। দেশের প্রত্যেক শিশুকে সুশিক্ষিত করার দায়িত্ব আমাদের সকলের। আমরা সবাই যদি নিজ নিজ অবস্থান থেকে শিশুর অধিকার নিয়ে কাজ করলে একটা উন্নত দেশ, উন্নত বিশ্ব ও উন্নত জীবন ব্যবস্থা গঠন করা সম্ভব।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) এবং উন্নয়ন ও মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনা মোঃ মিজানুর রহমান বলেন, ছোট্ট ছোট্ট খুদেরাই পৃথিবীর ভবিষ্যৎ। তারাই আগামীদিনের পৃথিবীর গড়ে তুলতে চলেছে। প্রত্যেকটি জাতির একটা ভীশণ থাকে জাতির সেই ভীশন অর্জনে শিশুর বড় হয়ে ওঠাকে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেওয়া উচিত। শিশুরা কীভাবে বেড়ে উঠছে তার উপর নির্ভর করছে দেশের ভবিষ্যত চেহারা।
আজ আমরা আমাদের শিশুদের যেভাবে তৈরি করা হবে ভবিষ্যতে তারা ঠিক সেভাবে তৈরি হবে । ফ্যামিলি, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান,সমাজ,এই তিন স্তর থেকে শিশুর অধিকার নিশ্চিত করতে পারলে আগামীদিনে সুস্থ, জ্ঞানসম্পন্ন,মানবতা সম্পন্ন এবং মানবিক মর্যাদা সম্পন্ন একটি সুশিক্ষিত জাতি গঠন করা সম্ভব। শিশুর অধিকার নিশ্চিতকরণের প্রথম ধাপ আসতে হবে ফ্যামিলি থেকে এবং শিক্ষা হবে শিশুর জন্য আনন্দদায়ক।তাই জাতিসংঘের বিশেষ সংগঠন ইউনিসেফ বছরভর বিশ্ব জুড়ে শিশুদের জন্য নানা জায়গায় কাজ করে থাকে।
