চোখের পলকে উধাও ছিনতাইকারীরা কুষ্টিয়ায় অভিনব পন্থায় ছিনতাই - কুষ্টিয়া জিলাইভ | truth alone triumphs

চোখের পলকে উধাও ছিনতাইকারীরা কুষ্টিয়ায় অভিনব পন্থায় ছিনতাই

লেখক: প্রতিবেদক ঢাকা
প্রকাশ: এপ্রিল ৩, ২০২৪

কুষ্টিয়ায় দিন-দুপুরে শহরের প্রাণকেন্দ্র মজমপুর ও এনএস রোডে অভিনব কায়দায় ঘটছে ছিনতাইয়ের ঘটনা। চোখের পলকে উধাও হয়ে যাচ্ছে ছিনতাইকারীরা। সিসিটিভি ফুটেজ হাতে থাকার পরেও পুলিশের ধরা ছোঁয়ার বাইরে থেকে যাচ্ছে অপরাধীরা। কোন ব্যবস্থা নেই। শহরের বিভিন্ন এলাকা থেকে অভিনব কায়দায় ছিনতাই হয়েছে ব্যবসায়ীদের কয়েক লাখ টাকার মালামাল। সম্পূর্ণ পরিকল্পিত ভাবে ফাঁদে ফেলে চোখের পলকে উধাও হয়ে যাচ্ছে পণ্য সহ ছিনতাই কারীরা। একই কায়দায় একাধিক ছিনতাইয়ের ঘটনায় এখন পর্যন্ত কাউকে আটক করতে পারেনি পুলিশ। এমন ছিনতাই এর ঘটনায় উদ্বেগ জানিয়েছেন ব্যবসায়ী মহল। দৌলতপুর উপজেলার কালিদাসপুর এলাকার গার্মেন্টস ব্যবসায়ী হাসান আলী জানান, গত ২১ মার্চ বৃহস্পতিবার সকাল এগারোটার দিকে শহরের পাঁচ রাস্তার মোড়স্থ সুন্দরবন কুরিয়ার সার্ভিসে সাড়ে তিন লাখ টাকার গার্মেন্টস পণ্য আসে তার। পরে সেখান থেকে রিক্সাযোগে মজমপুর যাওয়ার পথে আগাইউসুফ মার্কেটের সামনে পৌছালে রিক্সায়ালা বলেন রিক্সায় সমস্যা হয়েছে। এর পর সে রিক্সা থেকে নেমে দাঁড়ায় এর মাঝে অপরিচিত একজন ব্যক্তি এসে আমাকে ধাক্কা দিয়ে তার মোবাইল ফেলে দেয় এবং সে আমাকে বলে আপনাকে চেনা চেনা লাগছে। এই কথার ফাঁকে রিক্সাওয়ালা আমার পণ্য নিয়ে উধাও হয়ে যায়। এরপর দ্রুত কুষ্টিয়া মডেল থানায় গিয়ে একটি অভিযোগ দায়ের করি এবং পরদিন ডিবি পুলিশের কাছেও অভিযোগ দিয়েছি। কিন্তু এখন পর্যন্ত কোন সন্ধান দিতে পারেনি পুলিশ। তিনি বলেন, দৌলতপুর উপজেলার কালিদাসপুর ক্যম্প বাঁজারে সুই সুতা ফ্যাশান হাউজ নামে আমার একটি দোকান আছে। সামান্য পুজি নিয়ে ব্যবসা করি। ঈদের আগে এতো টাকার মালামাল ছিনতাই হওয়ায় আমার অবস্থা খুবই খারাপ। এদিকে মজমপুর আগা ইউসুফ মার্কেটের আরেকজন মোবাইল ব্যবসায়ী জানায়, তার প্রতিবেশী এক ভাইয়ের মোবাইলের এক্সেসোরিজ কুরিয়ার থেকে নিয়ে মজমপুর গেটে আসার পরে একই ভাবে ছিনতাই চক্রের ফাদে পড়েন তিনি। ৪০ হাজার টাকার মালামাল সহ রিক্সাওয়ালা উধাও হয়ে যায়।  সেগুলোও এখনো উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। এছাড়াও কুষ্টিয়া বাটার ফ্লাই মোড় এলাকার ওলি টেলিকমের মালিক ওলি শেখ জানান, গত ২০ আগষ্ট ২০২২ ইং তারিখে সুন্দরবন কুরিয়ার সার্ভিস আমার সাত লাখ টাকার মোবাইল সরঞ্জাম আসে। ঐ দিন সকাল এগারোটার সময় সুন্দরবন কুরিয়ার সার্ভিস থেকে রিক্সাযোগে মোবাইল সরঞ্জাম নিয়ে আসার পথে মৌবনের সামনে থেকে রিক্সাওয়ালা পণ্য নিয়ে চোখের পলকে সটকে পড়েন। পরে সিসি টিভি ক্যামেরায় দেখা যায় আগে থেকেই সেখানে অবস্থান করছিলো ছিনতাইকারী চক্রের দুই সদস্য। তারা এসে আমাকে ধাক্কা দেয় এরপর কথা বলার সুযোগে আমাকে ব্যস্ত রাখে। সেই সুযোগে রিক্সাওয়ালা আমার মালামাল নিয়ে উধাও হয়ে যায়। এবিষয়ে আমি কুষ্টিয়া মডেল থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করি। কিন্তু প্রায় দুই বছর অতিবাহিত হতে চলেছে এখনো এর কোন সুরহা করতে পারেনি পুলিশ। সিসি ক্যামেরায় ছিনতাইকারীদের দেখার পরেও কি কারণে তাদের ধরতে পারছে না পুলিশ। এবিষয়ে কুষ্টিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শেখ মোহাম্মদ সোহেল রানা জানান, এরা স্থানীয় না, বাইরে থেকে আসে, ছিনতাই করে পালিয়ে যায়। তবে আমরা সিসি ফুটেজ দেখে তাদের ধরতে তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছি। খুব দ্রুত এইসব অপরাধীদের আইনের আওতায় আনা হবে।