খোকসাতে তিনদিন ব্যাপী ঐতিহ্যবাহী গ্রামীন যাত্রাপালা অনুষ্ঠিত - কুষ্টিয়া জিলাইভ | truth alone triumphs

খোকসাতে তিনদিন ব্যাপী ঐতিহ্যবাহী গ্রামীন যাত্রাপালা অনুষ্ঠিত

লেখক: প্রতিবেদক ঢাকা
প্রকাশ: অক্টোবর ১৪, ২০২৩
খোকসাতে তিনদিন ব্যাপী ঐতিহ্যবাহী গ্রামীন যাত্রাপালা অনুষ্ঠিত

হারানো ঐতিহ্যকে ধরে রাখতে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্যদিয়ে কুষ্টিয়ার খোকসাতে অনুষ্ঠিত হয়ে গেল তিনদিন ব্যাপী ঐতিহ্যবাহী গ্রামীণ যাত্রাপালা।

খোকসাতে তিনদিন ব্যাপী ঐতিহ্যবাহী গ্রামীন যাত্রাপালা অনুষ্ঠিত

খোকসাতে তিনদিন ব্যাপী ঐতিহ্যবাহী গ্রামীন যাত্রাপালা অনুষ্ঠিত

খোকসাতে তিনদিন ব্যাপী ঐতিহ্যবাহী গ্রামীন যাত্রাপালা অনুষ্ঠিত

এক সময় পাড়া-মহল্লায় আয়োজন করা হতো গ্রামবাংলার জনপ্রিয় ও ঐতিহ্যবাহী যাত্রাপালার। যাত্রাপালা দেখার জন্য গ্রাম থেকে গ্রামে ছুটে যেতেন সব বয়সের মানুষ। কিন্তু অশ্লীল নৃত্য, অপসাংস্কৃতি আর কালের বিবর্তনে হারিয়ে যেতে বসেছে যাত্রাপালার সেই ঐতিহ্য। যাত্রাপালার সেই ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনতে খোকসা উপজেলার সাংস্কৃতিক সংগঠন   উসাস বাৎসরিক  তিন দিনব্যাপি যাত্রা উৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে।

google news

গুগোল নিউজে আমাদের ফলো করুন

(৪৩ তম) প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ চত্বরে এই যাত্রাপালার আয়োজন করে উপজেলা সাংস্কৃতিক সংস্থা ( উসাস)। গভীর রাত পর্যন্ত ঐতিহ্যবাহী এ যাত্রাপালা দেখতে ভিড় করেন নানাবয়সি হাজার হাজার দর্শক।

“যাত্রাপালার প্রথম দিনে মঞ্চায়িত হয় যাত্রাপালা মানবী দেবী, দ্বিতীয় দিন মঞ্চায়িত হয় দেবী সুলতানা, তৃতীয় দিন মঞ্চায়িত হয় অশ্রু দিয়ে লেখা।এর মাধ্যমে সমাজে  মানুষের মধ্যে বিভেদের কারণ, অত্যাচারের বিভিন্ন দৃশ্যসহ যাত্রাপালার শেষ অংশে এসব দ্বন্দ্ব নিরশনের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেছেন শিল্পিরা। এই যাত্রাপালার মাধ্যমে সমাজের মানুষের জীবনযাত্রা ও বিভিন্ন ধরনের কুসংস্কারের বিরুদ্ধে কীভাবে রুখে দাঁড়াতে হয় তা এই যাত্রাপালার মাধ্যমে ফুঁটিয়ে তুলেছেন যাত্রা শিল্পিরা।

খোকসা উপজেলা সাংস্কৃতির সংস্থা (উসাস) এর সাধারণ সম্পাদক মোঃ হাবিবুর রহমান বলেন, প্রধান বাহন হিসেবে যাত্রাপালাকে ধরা হয়। কিছু মানুষের কারণে এই যাত্রাপালায় অশ্লীলতা ঢুকে যাওয়ার কারণে এই যাত্রাপালা হারিয়ে যাচ্ছে । আমরা প্রতিবছর উসাস এর আয়োজনে যাত্রা পালা করে থাকি। এবার ৪৩ তম যাত্রা উৎসব অনুষ্ঠিত হলো। এখানে যাত্রা পালা দেখতে অসংখ্য দর্শক আসে। যাত্রা মরে যায়নি যাত্রা বাঙালির সবার মধ্যে রয়েছে।

যাত্রা দেখতে আসা জসিম উদ্দিন বলেন,যাত্রা পালা অনেক ছোট কাল থেকে শুনে আসছি এবং দেখি এই যাত্রা পালা হারিয়ে যাওয়া পথে। যাত্রা পালার মাধ্যমে অনেক অজানা তথ্য পাওয়া যায়। যাত্রা পালা আজ হারিয়ে যেতে বসেছে এটা কে বাঁচাতে রাখতে হবে সবার সহযোগিতায় করা প্রয়োজন।

যাত্রা শিল্পী পূরবী সরকার বলেন , এখন যাত্রা পালার অবস্থা ভালো নেই দাদা। এই পেশাতে এসে জীবন জীবিকা নির্বাহ করা চলেই না এবং মানসম্মান নিয়ে চলা যায় না। আগে যে যাত্রা ছিল খুবই ভালো মাঝে এই যাত্রাটা খারাপ হয়ে গেছে। পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের নিয়ে একসঙ্গে যাত্রাপালা দেখতে পারে না। এখন আমরা যাত্রা করছি সমাজকে বোঝানো হচ্ছে যাত্রা কখনো খারাপ হয় না কিছু মানুষ এই যাত্রাকে খারাপ করেছে।

খোকসা উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা রিপন বিশ্বাস জানান, যাত্রার এই সমৃদ্ধিকে ধরে রাখার জন্য আমরা এই আয়োজনটি করেছি। যাত্রা বিলুপ্তির পথে চলে যাচ্ছে। যাত্রার যে আবেদন সেই আবেদন জনগণের মাঝে তুলে ধরার জন্য এই আয়োজন, ভবিষ্যতে এই ধরনের আয়োজন অব্যহত থাকবে।

আরও পড়ুন: