খোকসা উপজেলা বাংলাদেশের কুষ্টিয়া জেলার একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশাসনিক এলাকা। এর আয়তন ১০৬.৭০ বর্গ কিলোমিটার। ভৌগোলিকভাবে এটি ২৩°৪৪´ থেকে ২৩°৫৩´ উত্তর অক্ষাংশ এবং ৮৯°১৫´ থেকে ৮৯°২২´ পূর্ব দ্রাঘিমাংশের মধ্যে অবস্থিত।
সীমানা:
জনসংখ্যা ও ধর্ম
২০০১ সালের আদমশুমারি অনুযায়ী খোকসা উপজেলার মোট জনসংখ্যা ছিল ১,১৪,১৮৮ জন।
ধর্মভিত্তিক বণ্টন:
প্রাকৃতিক জলাশয়
খোকসা উপজেলার প্রধান নদী হলো গড়াই নদী, যা এখানকার কৃষি ও মৎস্য খাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
প্রশাসন
খোকসা থানা ১৯৮৩ সালে পূর্ণাঙ্গ উপজেলায় রূপান্তরিত হয়। এটি বর্তমানে একটি সুসংগঠিত প্রশাসনিক কাঠামো দ্বারা পরিচালিত হচ্ছে।
প্রত্নতত্ত্ব ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান
প্রাচীন নিদর্শন ও প্রত্নসম্পদ:
গুরুত্বপূর্ণ ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান:
শিক্ষা
সার্বিক শিক্ষার হার: ৩৯.৭%
উল্লেখযোগ্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান:
সংস্কৃতি ও গণমাধ্যম
পত্র–পত্রিকা:
সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান:
অর্থনীতি ও কৃষি
আয়ের প্রধান উৎস:
ভূমি মালিকানা:
প্রধান ফসল:
বিলুপ্ত/প্রায় বিলুপ্ত ফসল:
প্রধান ফল:
মৎস্য ও পশুপালন
এ উপজেলায় ছোট-বড় বহু মৎস্য খামার, হাঁস–মুরগির খামার ও হ্যাচারি রয়েছে, যা এখানকার অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখে।
যোগাযোগ ব্যবস্থা
বিলুপ্ত বাহন: পাল্কি, গরুর গাড়ি, ঘোড়ার গাড়ি
শিল্প ও কুটিরশিল্প
শিল্প ও কলকারখানা:
কুটিরশিল্প:
হাটবাজার ও মেলা
বিখ্যাত হাট:
প্রসিদ্ধ মেলা:
প্রধান রপ্তানিপণ্য: পাট ও আখ
বিদ্যুৎ ও পানীয়জল
বিদ্যুৎ:
সবক’টি ওয়ার্ড ও ইউনিয়ন পল্লিবিদ্যুতের আওতায়, তবে কেবল ২২.৫৫% পরিবার বিদ্যুৎ ব্যবহার করতে পারছে।
পানীয়জলের উৎস:
স্যানিটেশন ব্যবস্থা
স্বাস্থ্যসেবা
খোকসা উপজেলা একটি ঐতিহ্যবাহী ও সংস্কৃতিতে সমৃদ্ধ জনপদ। প্রাচীন নিদর্শন, ধর্মীয় সম্প্রীতি, কৃষিনির্ভর অর্থনীতি ও শিক্ষার বিকাশ—সব মিলিয়ে খোকসা কুষ্টিয়া জেলার অন্যতম সম্ভাবনাময় এলাকা হিসেবে বিবেচিত। উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা ও প্রশাসনিক অবকাঠামো আরও সুযোগ তৈরি করছে এ উপজেলার সার্বিক উন্নয়নে।
