খোকসা প্রতিনিধি ॥ কুষ্টিয়ার খোকসায় রহিমা খাতুন (২৭) নামের এক গৃহবধূ কে গুলি করে হত্যা চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। খোকসা উপজেলার জয়ন্তীহাজরা ইউনিয়নের উথলি গ্রামের আসলাম সেখের ছেলে হাবিব সেখ (৩৫) বিরুদ্ধে। জানা যায় দুই সন্তানের জননীকে গুলি করার অভিযোগ উঠেছে তার স্বামীর বিরুদ্ধে। স্ত্রী রহিমা খাতুন খোকসা উপজেলার আমবাড়িয়া ইউনিয়নে মৃত সামছুদ্দিন মন্ডলের একমাত্র মেয়ে। জানা যায় গত ১০ বছর আগে কুষ্টিয়া খোকসা উপজেলার জয়ন্তীহাজরা ইউনিয়নের উথলি গ্রামে আসলাম সেখের ছেলে হাবিব সেখের সাথে প্রেম ঘটিত কারনে বিবাহ সম্পুর্ন হয়। হাবিব পেশায় একজন মুদির দোকানদার। বিবাহের পর সুখী সংসারে সুমাইয়া (৭) বছরের মেয়ে ও নোমান নামের ( ৫) বছরের এক ছেলে সন্তান রয়েছে। মেয়ের চাচা শহিদুল ইসলাম বলেন, দীর্ঘদিন যাবৎ পারিবারিক কলহ হয়ে আসছিল আমার মেয়ের সাথে। গুলি করার কথা আমাদেরকে কেউ জানায়নি। আমরা দুই দিন পর পারা প্রতিবেশির কাছ থেকে শুনতে পায় যে মেয়েকে গুলি করা হয়েছে। কথাটা শুনার পর আমি আমার জামাইয়ের ফোনে ফোন দিলে বন্ধ পাওয়া যায়। তখন তরিঘরি করে জামাই বাড়ি যেয়ে কাউকে পায়নি। ঐই ভাবেই খোকসা থানায় গেলে মেয়ের বিষয়ে ওসি স্যার আমার কাছে সব কথা বলে।গত ২৯/৫/২০২৪ বুধবার রাতে মেয়েকে গুলি করা হয়। মেয়ে এখন ঢাকা মেডিকেল কলেজের ২০৩ নাম্বার ওয়ার্ড এর দুই নম্বর বেডে রয়েছে। আমার মেয়ের কাছ থেকে চল্লিশ লক্ষ টাকা নিয়েছে। বাকি কিছু সম্পত্তি রয়েছে সেগুলো বিক্রির জন্য সব সময় ওর উপর নির্যাতন করে। তবে তদন্ত করে এর সুষ্ঠু বিচারের দাবি করেন ভুক্তভোগী পরিবার। কথা হয় উথলি গ্রামে আব্দুল আজিজ এর সাথে তিনি বলেন ঘটনাটি ঘটেছে আমার বাড়ির পাশের রাস্তার উপর। রাত তখন আনুমানিক ১১ টা। হঠাৎ গুলির শব্দ। দৌড়ে এসে দেখি একটি মহিলার গুলি লেগেছে। মহিলাটি আমার বাড়ির পাশে হাবিবের স্ত্রী। সেখানে হাবিবের মা ও বাবা উপস্থিত ছিল।তখন তড়িঘড়ি করে একটি অটো নিয়ে পাংশা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ নিয়ে যায়। পাংশা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে ফরিদপুর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে রেফার্ড করে।ওই হাসপাতাল থেকে ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে পুনরায় রোগীকে রেফার্ড করে। এখন ঢাকা মেডিকেল কলেজে চিকিৎসাধীন রয়েছে। তবে এই বিষয়ে আমাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য খোকসা থানা পুলিশ রবিবার রাতে আমাকে থানায় নিয়ে যায়। সবকিছু জিজ্ঞাসা করে গতকাল সোমবার আমাকে ছেড়ে দিয়েছে । তবে কে বা কাহারা গুলি করেছে তা আমি জানিনা। তবে হাবিবের বাড়িতে গেলে বাড়ির পাশের মানুষ ও আত্মীয়-স্বজন পরিবারের দুই সন্তানের সাথে দেখা হয়। তার মা বাবা ও হাবিব কাউকেই পাওয়া যায়নি। কথা হয় হাবিবার সাত বছরের মেয়ে সুমাইয়ার সাথে কানতে কানতে বলে রাতে আমি শুয়ে ছিলাম। হঠাৎ করে আব্বু এসে দরজা ভেঙে মাকে মারধোর করে। তারপর দুজন মিলে চলে যায় আর এখন পর্যন্ত ফিরে আসেনি। আম্মু এখন কোথায় আছে আমি জানিনা। এ বিষয়ে খোকসা থানার অফিসার ইনচার্জ আননূর যায়েদ এর মুঠো ফোনে কথা হলে তিনি বলেন সন্ধ্যার সময় আসেন।
