মিলন, খোকসা ॥ কুষ্টিয়ার খোকসা উপজেলায় সার বিক্রির রেজিস্টারে গরমিল পাওয়ায় এক সার ডিলারকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। গতকাল সোমবার (২২ ডিসেম্বর) দুপুরে উপজেলার জানিপুর বাজারে বিসিআইসি’র সার ডিলার গণেশ রায়ের দোকানে অভিযান চালায় ভ্রাম্যমাণ আদালত। অভিযানে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা কৃষি বিভাগের কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে গঠিত একটি দল অংশ নেয়। অভিযানকালে ওই ডিলারের দৈনিক সার বিক্রির রেজিস্টার যাচাই করে একাধিক অসঙ্গতি পাওয়া যায়। বিক্রয় রেজিস্টারে গরমিলের প্রমাণ পাওয়ায় কৃষি বিপণন আইন, ২০১৮-এর ১৯(ডি) ধারায় তাকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোছাঃ তাসমিন জাহান এ দণ্ডাদেশ দেন। এ সময় উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল নোমান উপস্থিত ছিলেন। এদিকে চলতি শীতকালীন পেঁয়াজ ও রবি ফসল আবাদ মৌসুমের শুরুতেই খোকসা উপজেলায় চরম সার সংকট দেখা দিয়েছে। পর্যাপ্ত সার না পেয়ে অনেক কৃষক দ্বিগুণ দামে কালোবাজার থেকে সার কিনতে বাধ্য হচ্ছেন। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে স্থানীয় নেতা রিপন হোসেন ও কৃষকরা খোকসা কৃষি অফিস শরণাপন্ন হলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাহমুদুল হাসানের নির্দেশনায় অভিযান শুরু হয়েছে।
সার সংকটে নামমাত্র সার ব্যবহার করেই পেঁয়াজসহ রবি ফসল আবাদ করছেন, কৃষক যা ফলনে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্টরা। উপজেলা কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে খোকসায় ২ হাজার ৮৮০ হেক্টর জমিতে পেঁয়াজ আবাদ লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এ লক্ষ্যে চলতি ডিসেম্বর মাসে বিসিআইসি ও বিএডিসি’র আওতায় ২৩ জন ডিলারের বিপরীতে মোট ৬২৫ মেট্রিক টন সার বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। তবে বরাদ্দ থাকলেও ডিলারদের গুদামে সার না পাওয়ার অভিযোগ করেছেন কৃষকরা।
