বিশেষ প্রতিনিধি ॥ কুষ্টিয়া জেলার খোকসা উপজেলার আমবাড়ীয়া ইউনিয়ন পরিষদের মহল্লাদার পদে নিয়োগের প্রক্রিয়ায় অনিয়মের অভিযোগ তুলেছে খোদ ইউনিয়ন পরিষদের সদস্যরা এ বিষয়ে ইউনিয়ন পরিষদের একাধিক সদস্য বলেন, গত ৪ আগস্ট যে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে তা আমাদের সাথে কোন আলাপ আলোচনা না করেই চেয়ারম্যান আকমল হোসেন তার নিজের পছন্দ মত ব্যক্তিকে অবৈধ ভাবে গোপনে নিয়োগ দেওয়ার জন্য সকল প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করেছে। তা ছাড়াও একজন ব্যক্তি নিয়োগ নেওয়ার জন্য আবেদন করেছেন নাম অমেরশ পিতা লক্ষন মাতা আরতি রানী। সে রাজবাড়ী জেলার পাংশা উপজেলা সেনগ্রামের বাসিন্দা। সে কৌশলে আমাদের ইউনিয়নের ভোটার হয়েছে তবে সে এখন ও সেন গ্রামের বাসিন্দা।
আমরা এই নিয়োগ প্রক্রিয়া বাতিল করে স্বচ্ছতার মাধ্যমে নতুনভাবে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের জন্য দাবি জানাচ্ছি। তাদের অভিযোগের ভিত্তিতে অনুসন্ধান করলে অমেরশ নামের ব্যক্তির কোন বাড়ি পাওয়া যায়নাই আমবাড়ীয়া ইউনিয়নে। নিয়োগের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের এবং ইউনিয়নের সকল জনগণ জানার কথা থাকলেও কোন ব্যক্তি নিয়োগের বিষয়ে কিছুই জানেনা বলে দাবি করছেন এলাকার সাধারন মানুষ। তাছাড়া সরকারি বিধি মোতাবেক, অবসরপ্রাপ্ত মহল্লাদারের পরিবারের লোকজন অগ্রাধিকার পাওয়ার কথা থাকলেও অবসরপ্রাপ্ত মহল্লাদার রবিউল ইসলাম কিছু জানেন না বলে দাবি করেন। তিনি আরো বলেন তার চাকরি এখনো ১৪ বছর থাকলেও কৌশলে তাকে চাকরিচুত করা হয়েছে। এ বিষয়ে আমবাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ আকমল হোসেন বলেন আমার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ মিথ্যা। আমি স্বচ্ছ প্রক্রিয়ায় মহল্লাদার নিয়োগ দেওয়ার চেষ্টা করছি।
নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ আছে নিয়োগের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ড ও ইউনিয়নের স্থায়ী বাসিন্দাদের নিকট হতে আবেদন পত্র গ্রহণ করা হবে। অমেরশ নামের এক ব্যক্তি নিয়োগের জন্য আবেদন করেছেন তার বাড়ি রাজবাড়ী জেলার পাংশা উপজেলায়। এবং সে পাংশা উপজেলার বাসিন্দা তার স্ত্রী, মা, বাবা, ভাই সকলেই পাংশা উপজেলার সেন গ্রামের ভোটার ও স্থায়ী বাসিন্দা তাহলে সে আবেদন করে কি করে এমন প্রশ্নের উত্তরে চেয়ারম্যান বলেন, তার পরিবারের সকলে পাংশার ভোটার হলেও সে আমার ইউনিয়নের ভোটার। তাই আবেদন করেছে। তবে গতকাল ৩০ ডিসেম্বর থেকে নতুন করে যে কেউ আবেদন করতে পারবে। ৭ দিন পরে পরিক্ষার নেওয়া হবে । এ বিষয়ে খোকসা উপজেলা নির্বাহী অফিসার দীপন্ত রায় দীপন বলেন, নিয়োগ প্রক্রিয়ায় যদি অনিয়ম থাকে তাহলে এলাকাবাসী ও ইউপি সদস্যরা যেভাবে চাইবে সেভাবে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হবে।
