খোকসায় ইউপি চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে আবদুর রউফ এর নির্বাচনী অফিস ভাংচুরের অভিযোগ - কুষ্টিয়া জিলাইভ | truth alone triumphs

খোকসায় ইউপি চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে আবদুর রউফ এর নির্বাচনী অফিস ভাংচুরের অভিযোগ

লেখক: প্রতিবেদক ঢাকা
প্রকাশ: ডিসেম্বর ২৪, ২০২৩
খোকসায় ইউপি চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে আবদুর রউফ এর নির্বাচনী অফিস ভাংচুরের অভিযোগ

শনিবার (২৩ ডিসেম্বর) সন্ধা আনুমানিক ৭টা দিকে কুষ্টিয়ার খোকসা উপজেলার জানিপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মজিবর রহমান মজিদ এর নেতৃত্বে ৩০ থেকে ৪০ জনের লাঠিয়াল বাহিনী রাম দা সহ একতারপুরে স্বতন্ত্র প্রার্থী আবদুর রউফ’র ট্রাক মার্কা প্রতীকের নির্বাচনী অফিসে হামলা করে ভাংচুরের অভিযোগ উঠেছে।

খোকসায় ইউপি চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে আবদুর রউফ এর নির্বাচনী অফিস ভাংচুরের অভিযোগ

খোকসায় ইউপি চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে আবদুর রউফ এর নির্বাচনী অফিস ভাংচুরের অভিযোগ

খোকসায় ইউপি চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে আবদুর রউফ এর নির্বাচনী অফিস ভাংচুরের অভিযোগ

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সন্ধ্যা আনুমানিক ৭টার দিকে জানিপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মজিবর রহমান মজিদ এর নেতৃত্বে জানিপুর ইউনিয়নের বিহারিয়া এলাকার মৃত ওয়াহেদ মোল্লার ছেলে শরিফুল ইসলাম (৪৫), আমীর সরদারের পুত্র আকাশ (২৫), মৃত সামসুদ্দিন সরদারের পুত্র সোনাই সরদার (৪৫), বনগ্রাম এলাকার মাহাতাব মন্ডলের ছেলে মাছুদ মন্ডল (৪০), মৃত তৈয়ব বিশ্বাসের ছেলে আবু ওবায়দা শফি (৪৫), বলাই মন্ডলের ছেলে ধনি মন্ডল (৩৪) এবং বহরমপুর এলাকার নুরুল বিশ্বাসের ছেলে খায়রুল (৩৫), মোয়াজ্জেমের ছেলে রাসেল বিশ্বাস (৪০), নজির মোল্লার ছেলে লুলু মোল্লা (৩৫), ইউনুস বিশ্বাসের ছেলে রাকিবুল হাসান শাওন (৩৫) সহ আনুমানিক ৩০ থেকে ৪০ জনের লাঠিয়াল বাহিনী রাম দা সহ আবদুর রউফ’র ট্রাক মার্কা প্রতীকের নির্বাচনী অফিসে সন্ত্রাসী হামলা চালায় এবং অফিসের চেয়ারসহ অনান্য আসবাব সামগ্রী ভাংচুর করে।

সেই সাথে অফিস থেকে গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র নিয়ে যায়। এই বিষয়ে জানিপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান হবিবর রহমান হবির কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ঘটনার সময় আমরা খোকসা বাসষ্টান্ডে একটা প্রোগ্রামে ছিলাম। খবর পাওয়ার পর ঘটনা স্থলে এসে দেখি অত্র এলাকার দোকান পাট সব বন্ধ এবং ট্রাক মার্কা প্রতীকের নির্বাচনী অফিসের চেয়ার ভেঙ্গে ফেলে রেখে গেছে। হিন্দু অধ্যুষিত এলাকা হওয়ার কারণে ভয়ে কেউ কোন কথা বলছে না। তবে এখানে সিসিটিভি ক্যামেরা আছে। ফুটেজ দেখলেই হামলাকারীদের সনাক্ত করা যাবে। এই বিষয়ে জানতে চাইলে জানিপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মজিবর রহমান মজিদ বলেন, বিষয়টি আমি শুনেছি। তবে ঐ সময় আমি জানিপুর ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডে উঠান বৈঠকে ছিলাম।

এই বিষয়ে জানতে চাইলে খোকসা থানার অফিসার ইনচার্জ আননূর যায়েদ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, আমরা ইতিমধ্যে ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম। এখনও কোন অভিযোগ পাই নাই। অভিযোগ পেলে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এই বিষয়ে জানতে চাইলে খোকসা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইরুফা সুলতানা বলেন, ঘটনাস্থলে নির্বাচনী আচরণ বিধি অনুযায়ী দায়িত্বপ্রাপ্ত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেজ গিয়েছিলেন। এই বিষয়ে উনারা ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।