কুষ্টিয়ায় শেষ মুহূর্তে জমে উঠেছে কোরবানির পশুর হাট
শেষ মুহূর্তে কুষ্টিয়ার কোরবানির পশুর হাটগুলো জমে উঠেছে। প্রতিদিন হাজার হাজার পশু কেনা-বেচা চলছে জেলার ৬টি উপজেলার হাটে। হাটের বাইরেও চলছে কেনা-বেচা। এবার জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে পাওয়া তথ্যে দেখা গেছে, ঈদের বেচা-কেনার মান সন্তোষজনক। কেনা বা বেচা নিয়ে ক্রেতা বা বিক্রেতার কারো তেমন ক্ষোভ দেখতে পাওয়া যায়নি।

কুষ্টিয়ায় শেষ মুহূর্তে জমে উঠেছে কোরবানির পশুর হাট
তবে, একটি বিষয়ে বিক্রেতারা জানিয়েছেন- এবার জেলাতে বাইরে থেকে ক্রেতা কম এসেছে। বড় বড় গরুর একটি বড় অংশ ঢাকা ও চট্টগ্রামে গেছে। বাকি পশুগুলো স্থানীয়ভাবেই বেচা-কেনা হচ্ছে।
জেলা প্রাণী সম্পদ বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, এ বছর কোরবানির বাজারে বিক্রির জন্য প্রায় ১ লাখ গরু ও মহিষ, ৭০ হাজার ছাগল ও ভেড়া প্রস্তুত।
মঙ্গলবার সরেজমিনে জানা গেছে, মিরপুরের মধ্যে সবচেয়ে বড় পশুর হাট মিরপুর পশু হাট। কোরবানীর ঈদের আগের হাট হওয়ায় কোরবানির পশু কেনাবেচা বেশ ভালোই হয়েছে।
মঙ্গলবার মিরপুর পশু হাটে গরু নিয়ে আসা বীজনগর গ্রামের আব্বাস উদ্দীন বলেন, ছোট থেকে মাঝারি আকারের অর্থাৎ ৯০ হাজার টাকা থেকে ১ লাখ ২০ হাজার মূল্যের গরুর কদর বেশি। বেচাকেনাও হচ্ছে মাঝারি আকারের গরু সবচেয়ে বেশি। তবে বড় গরুর দাম নিয়ে ক্রেতার সাথে বচসাও চলে বেশি।
গরু ক্রেতা মশান গ্রামের রহিম শাহ বলেন, আমরা ৫ জন মিলে ১ লাখ টাকায় একটা গরু কিনেছি। প্রতি মণ মাংস ৩০ হাজার টাকা হিসেবে আনুমানিক একটা ওজন ধরে গরুটি কিনেছি। বাজেটের মধ্যে গরু কিনতে পেরে সন্তোষ প্রকাশ করেন তিনি।

কুষ্টিয়ায় শেষ মুহূর্তে জমে উঠেছে কোরবানির পশুর হাট
কুষ্টিয়া শহরের হাউজিং চাঁদাগাড়া এলাকায় কয়েকদিন ধরে প্রতিনদনই হাট বসছে। সেই হাট ঘুরে দেখা যায় হাটে গরুর সংখ্যা তুলনামুলক কম। বিশেষ করে সকালের দিকে
খামারীরা গরু হাটে নিয়ে আসলেও বিকেলের দিকে ব্যাপারীদের গরু বেশি চোখে পড়েছে। যার কারনে গরুর দামটাও একটু বেশি পরিলক্ষিত হয়েছে।
একইসাথে ব্যক্তি ও দলগতভাবে কোরবানির জন্য পছন্দের গরু কিনছেন স্থানীয়রা ক্রেতারা। তবে বরাবরের মতো বড় গরুর চেয়ে ছোট ও মাঝারি আকারের গরুর চাহিদা বেশি রয়েছে।
মিরপুর উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডা. এস এম মাহমুদুল হক বলেন, ‘এ বছর প্রান্তিক খামারিরা তাদের বিক্রয়যোগ্য সব পশু বিক্রি করতে পারবে কিনা সেই শঙ্কা আছে। অনেক খামারি ব্যাংক বা এনজিও থেকে ঋণও নিয়েছেন। এছাড়া প্রান্তিক খামারিরা নিজ বাড়িতে গরু পালন করেছেন। উপজেলায় এ বছর সাড়ে ২১ হাজার গরু, মহিষ এবং প্রায় সাড়ে ৪ হাজার ছাগল, ভেড়া আছে বিক্রয়যোগ্য।’
কুষ্টিয়া জেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা সিদ্দিকুর রহমান জানান, এ বছর কোরবানির জন্য কুষ্টিয়া জেলার ৬টি উপজেলায় বিক্রির জন্য যে পরিমাণ পশু প্রস্তুত ছিল, স্বাভাবিক সময়ে জেলার চাহিদা মেটাতে প্রয়োজন এর ৬৫ শতাংশ।
