নিজ সংবাদ ॥ ঘটনার সূত্র পাত গত মাসের ১১ তারিখ সকাল সাড়ে ৬টার দিকে মাংস কিনতে গিয়ে দুপক্ষের কর্মী রশিদ ও জামালের মধ্যে কথা কাটাকাটি ও হাতাহাতি হয়। কুষ্টিয়া সদর উপজেলা ইবি থানার উজানগ্রাম ইউনিয়নের বিত্তিপাড়া গ্রামে অধিপত্ত বিস্তার নিয়ে দুপক্ষের বিরোধ অনেক পুরনো। একপক্ষে নেতৃত্ব দেন উজানগ্রাম ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু বক্কার সিদ্দীক এবং অপরপক্ষে বিত্তিপাড়া ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুল হোসেন সাবেক মেম্বার। গ্রামের ঈদগাহ কমিটি নিয়ে এই দুপক্ষের মতানৈক্য চলছিল। এর মধ্যে ঈদের নামাজের পর বসে একটি কমিটি গঠনের প্রস্তাব ছিল। কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পলাশ কান্তি নাথ ‘ঘটনাস্থলের কয়েকটি ভিডিও দেখে মনে করেছিলেন, এই সংঘর্ষ পূর্বপরিকল্পিত। ঈদগাহে আসার পথে বাক্কার গ্র“পের লোকদের উপর হামলা করেন দেশীয় অস্ত্র ও লাঠি শোটা দিয়ে। সংঘর্ষে বাক্কার গ্র“পের যোয়াদ মন্ডল, আব্দুল্লাহ, শাহীন ও বাবু এবং হোসেন মেম্বার গ্র“পের রাজা ও মিন্টু আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে যোয়াদ মন্ডলের অবস্থা গুরুতর। তাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করা হয়েছে।আহত সবাই হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। গুরুতর অহত ব্যাক্তিকে ঢাকা পাঠানো হয়েছে উন্নত চিকিৎসার জন্য। পরবর্তীতে আবু বক্কার সিদ্দিকের সমর্থকরা গত (২৪ এপ্রিল) তারিখে সন্ধার সময় শহীদ তেল পাম্পের সামনে থেকে আবুল হোসেন মেম্বারের সমর্থিতরা আবার সংঘর্ষে জড়িয়ে পরে। মারাত্মক জখম হন এতে উভয় পক্ষের মধ্যে মামলা হয়।পরে উভয় পক্ষ জামিনে পায়। গত ১৭ ই মে শুক্রবার দুপুরের দিকে আবু বক্কর প্যানেলের সমর্থক আজিব মন্ডলের ছেলে সিএন জি চালক নাসের (৩৭) কে মাঠে ধানের জমিতে পানি নিতে গেলে এলো পাথারী ভাবে হোসেন মেম্বরের গ্র“পের লোকের হাতে ধারালো অস্ত্রের আঘাতে জখম করেন। গতকাল ১৮ ই মে শনিবার সকল ১১ টার দিকে ব্র্যাক নাসর্রী সংলগ্ন ব্রীজ কাছাকাছি স্থান থেকে মৃত জিয়ারত মন্ডলের ছেলে রিয়াজুল(৪২) কে কুপিয়ে জখম করেছে প্রতিপক্ষ আবুল হোসেন মেম্বারের গ্র“পের লোকজন। স্থানীয় এলাকার জনগণ বলেন দীর্ঘ এই রেশারেশিতে আমরা নিম্ন আয়ের মানুষেরা খুব কষ্টে আছি, তারা বলেন দুই গ্রুপের দুই এলাকা দখলে রয়েছে আবু বক্কার সিদ্দিক সমর্থিতরা বাজার দখলে আর আবুল হোসেন সাবেক মেম্বারদের সমর্থিতদের মাঠ দখলে। বর্তমানে গ্রামে দফায় দফায় সংঘর্ষের যে রুপ তা যে কোন সময় বড় ধরনের সংঘর্ষ ঘটতে পারে বলে মনে করছেন এলাকাবাসী। এমন অবস্থার পরিবর্তন চান। তারা বলেন আমরা বাড়ি ঘরে দাড়াতে পারছি না, বাইরে কোথায় গেলেও আতঙ্কে থাকি কখন কি হয় বাড়ি থেকেই বা কি সংবাদ আসে। আমরা প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্মকতার দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মামুন রহমান বলেন, সংঘর্ষে লিপ্তথাকা বেশ কয়জনকে আটক করা হয়েছে। প্রতিটা ঘটনার মামলা হয়েছে, সংঘর্ষে জড়িত থাকা বাকিদের ধরতে অভিযান চলছে। গ্রামে পুলিশ মোতায়ন রয়েছে।
