নিজ সংবাদ ॥ কুষ্টিয়া পৌরসভার শিক্ষা খাতের আয় ও ব্যয় নিয়ে ধোঁয়াশার সৃষ্টি হয়েছে। অথচ পৌরসভার শিক্ষা খাতের আয় ও ব্যয়ের তথ্য অপারগতা প্রকাশ করেছেন খোদ পৌর মেয়র আনোয়ার আলী। যার ফলে পৌরসভার শিক্ষা খাতের আয় ও ব্যয় নিয়ে সংশয় এবং শঙ্কার দেখা দিয়েছে। বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের খুলনা বিভাগের কুষ্টিয়া জেলার সদর উপজেলার একটি গুরুত্বপূর্ণ শহর ।
কুষ্টিয়া বাংলাদেশের প্রাচীনতম এবং দ্বিতীয় বৃহত্তম পৌরসভা। কুষ্টিয়া শহরের আয়তন ৬৬ বর্গকিঃমিঃ এবং জনসংখ্যা ৪,১৮,৩১২ জন এটি ২১ টি ওয়ার্ড বিভক্ত যা কুষ্টিয়াকে বাংলাদেশের ১৩তম বৃহত্তম ও খুলনা বিভাগের ২য় বৃহত্তম শহর মর্যাদা দিয়েছে। কুষ্টিয়া জেলার সাক্ষরতার হার ৬৮.৮৮%।
কুষ্টিয়া জেলা যশোর শিক্ষা বোর্ডের অধীনে। মাধ্যমিক পরীক্ষায় কুষ্টিয়া জেলা যশোর বোর্ডে বিভিন্ন বছরে ১ম ও ২য় স্থানে থাকে। এছাড়া কুষ্টিয়া জিলা স্কুল থেকে অনেক শিক্ষার্থী মেধা বৃত্তি পেয়ে থাকে। কুষ্টিয়া পৌরসভার অধীনে অনেক মেধাবী শিক্ষার্থী রয়েছে যাদের পরিবার অনেক নিম্ন আয়ের। পরিবারকে আর্থিক সহযোগিতা করতে গিয়ে অনেক মেধাবী শিক্ষার্থীরা নিরুপায় হয়ে লেখাপড়া থেকে বঞ্চিত হয়ে যাচ্ছে।
সারাদেশে প্রধানমন্ত্রী শিক্ষার হার এবং মান বৃদ্ধি করা লক্ষে বিভিন্ন প্রকল্প গ্রহণ করেছে আরো অনেক আগে। তদ্রুপ বাংলাদেশের প্রত্যেকটা পৌরসভা, উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায় শিক্ষার মান উন্নয়নে নিয়মিত বরাদ্দ দেওয়া হয় সরকারের পক্ষ থেকে।
সরেজমিনে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, পৌরসভার বসবাসরত পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠির শিক্ষার মান উন্নয়নে পৌরসভার পক্ষ থেকে কোন প্রকার ভূমিকা চোখে না পড়লেও পৌরসভার শিক্ষাখাতে নিয়মিত সরকার থেকে অর্থ বরাদ্দ আসে। কিন্তু সেই বরাদ্দ ঠিক কিভাবে ব্যয় করা হয় তা স্পষ্ট নয় পৌরবাসীদের কাছে। এছাড়াও শিক্ষার মান উন্নয়নের পৌরসভার ভূমিকা নিয়েও ক্ষোভ রয়েছে পৌরসভার পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর মাঝে।
এদিকে গত রবিবার (৭ জুলাই) পৌরসভার জেনারেল শাখার বড় বাবু সরোয়ার’র কাছে শিক্ষা খাতের বিষয়ে তথ্য চাইলে তিনি তা দিতে অপারগতা প্রকাশ করেন। কেন দিতে পারবেন না জানতে চাইলে তিনি তার কোন সদুত্তর দিতে পারেনি।
যার ফলে এই সংবাদের প্রতিবেদক শিক্ষা খাতের আয়-ব্যয়ের হিসাব চেয়ে পৌর মেয়র বরাবর তথ্য আবেদন ফর্মে আবেদন করেন। কিন্তু সেই আবেদন পত্রটি হাতে নিয়ে পুরোপুরি পড়ার পর রিসিভ করতে পারবো মর্মে আবেদন পত্রটি প্রতিবেদককে ফিরিয়ে দেন জেনারেল শাখার বড় বাবু সরোয়ার এবং বলেন, এ ধরনের আবেদন আমি রিসিভ করতে পারি না, আমি এখানে চাকরি করি, আমাকে কিছু নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। আমি এই আদেশের বাইরে যেতে পারবো না। আপনারা সরাসরি মেয়রের সাথে কথা বলুন।
পরবর্তিতে আবেদন পত্রটি কুষ্টিয়া পৌরসভার মেয়র আনোয়ার আলীর নিকট জমা দিতে গেলে তিনি সাংবাদিকদের প্রায় ১ (এক) ঘন্টা বসিয়ে রাখার পর বলেন, এটা পৌরসভার অফিসিয়াল বিষয়, এটা আমি দিতে পারবো না।
