কুষ্টিয়া জেলা বিজেপি’র কর্মীসভা অনুষ্ঠিত - কুষ্টিয়া জিলাইভ | truth alone triumphs

কুষ্টিয়া জেলা বিজেপি’র কর্মীসভা অনুষ্ঠিত

লেখক: প্রতিবেদক ঢাকা
প্রকাশ: জানুয়ারি ৮, ২০২৫

কুষ্টিয়া জেলা ‘বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি-বিজেপি’ ও অঙ্গ সংগঠনের উদ্যোগে কর্মীসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। কর্মীসভা শেষে কুষ্টিয়ায় জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহিদ পরিবারের সাথে সাক্ষাৎ ও তাঁদের কবর জিয়ারত করা হয়। গতকাল মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) বেলা সাড়ে ১২ টার দিকে কুষ্টিয়া জেলা শিল্পকলা একাডেমি ভবনের ৩০১ নম্বর মিলনায়তনে এ কর্মীসভা অনুষ্ঠিত হয়। বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি-বিজেপি’র কুষ্টিয়া জেলা শাখার আহ্বায়ক ইমরান উদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব কে, এম জাহিদের পরিচালনায় সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জাতীয় যুব সংগতি’র আহ্বায়ক হারুন-অর-রশিদ। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ জাতীয় যুব সংহতি’র কার্যনির্বাহী সদস্য মোহাম্মদ আশরাফুল হোসেন। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন কুষ্টিয়া জেলা ‘বাংলাদেশ জাতীয় যুব সংহতি’র আহ্বায়ক ইমরান হোসেন দোল ও সদস্য সচিব আশরাফ, বাংলাদেশ জাতীয় ছাত্র সমাজের আহ্বায়ক সাদিক ও সদস্য সচিব আমির হামজা মানিক সহ দলটি ও এর অন্যান্য অঙ্গসংগঠনের অন্যান্য নেতা-কর্মীবৃন্দ।

সভায় কে, এম জাহিদ তাঁর বক্তব্যে বলেন, “মানব সম্পদ সহ অসংখ্য প্রাকৃতিক সম্পদে সমৃদ্ধ আমাদের বাংলাদেশ। কিন্তু স্বাধীনতার ৫২ বছরেও আমরা আসলে সঠিক নেতৃত্ব পাইনি। যে নেতৃত্ব আমাদের সমৃদ্ধির স্বাদ এনে দেবে, যে নেতৃত্ব আগামীর পথচলাকে দৃশ্যমান করে দেবে। বর্তমান দেশে একজন উদীয়মান নেতা সৃষ্টি হয়েছে। এটা দেশবাসীর জন্য সৌভাগ্যের ব্যাপার যে আন্দালিব রহমান পার্থ’র মতো একজন যোগ্য নেতা আগামী বাংলাদেশের নেতৃত্ব দিতে যাচ্ছে। গুণমত মান বিচার করলে তিনি শ্রেষ্ঠ নেতা হিসাবে বিবেচিত হবেন। আপনারা সকলে তাঁকে সহযোগিতা করে তাঁর নেতৃত্বকে সুপ্রতিষ্ঠিত করবেন, ইনশাআল্লাহ। সভায় প্রধান অতিথির তাঁর বক্তব্যে বলেন, “ভোলার পরে কুষ্টিয়া হবে বিজেপি’র সবচেয়ে বড়ো ঘাঁটি। কুষ্টিয়ার মানুষ আঠারো কোটি মানুষের প্রাণের স্পন্দন, তরুণ এবং যুব সমাজের আইকন ব্যারিস্টার আন্দালিব রহমান পার্থ’র নেতৃত্বাধীন বিজেপিতে যোগ দিয়ে কুষ্টিয়ায় বিজেপি’র দুর্গ গড়ে তুলবেন। রাজনীতি করতে হলে সুশৃঙ্খল, সুদ, ঘুষ মুক্ত জীবনযাপন করতে হবে। অন্যের বাড়ি দখল করার রাজনীতি করা যাবে না। এজন্য আপনাকে স্বচ্ছ ধারার রাজনীতর সাথে সম্পৃক্ত থাকতে হবে।

দেশের জনগণ এবং ছাত্রদের অধিকার আদায়ের কথা বলিষ্ঠ কণ্ঠে উচ্চারণ করতে হবে। যার উদাহরণ বিজেপি’র চেয়ারম্যান। এমপি-মন্ত্রী হওয়ার চেয়ে জনগণের অধিকার আদায়ের কথা বলা জরুরি। ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা সরকারের যে সকল এমপি-মন্ত্রী ছিলো তারা কিন্তু এক রাতের ব্যবধানে দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেছে। এতো জনপ্রিয়তা, এতো অর্থ, এতো দাম্ভিকতা তবুও কেউ গণভবনে সাহায্য করতে এগিয়ে আসেনি। কারণ তাদের জনসম্পৃক্ততা ছিলো না। যদি কেউ গণভবনে বাঁচাতে এগিয়ে আসতো তাহলে বুঝতাম তারা ১৭ বছরে মানুষের অধিকারের পক্ষে কথা বলেছে। শুধু একটি পরিবারকে অর্থনৈতিকভাবে সমৃদ্ধ করতে, অনৈতিক সুবিধা দিতে লুটপাট করে দেশকে তলাবিহীন ঝুড়িতে পরিণত করেছে। পেশীশক্তি দিয়ে, টাকা দিয়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সভাপতি, মসজিদ-মাদ্রাসার সভাপতি হতে হবে এই ধরনের মানসিকতা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। যোগ্যতা, নৈতিকতা ও আদর্শ দিয়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও সামাজিক সংগঠনের পদে যেতে হবে। সভায় সভাপতি তাঁর বক্তব্যে বলেন, “বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি-বিজেপি’র হাতকে শক্তিশালী করতে ব্যারিস্টার আন্দালিব রহমান পার্থের দিকনির্দেশনায় আমরা এগিয়ে যাবো। আপনাদের প্রত্যেকটি পদক্ষেপ বিজেপিকে আরেক ধাপ এগিয়ে নিয়ে যাবে।