কুষ্টিয়া জেলা পরিষদের বরাদ্দকৃত দোকানঘর দখল করল আ’লীগ নেতা - কুষ্টিয়া জিলাইভ | truth alone triumphs

কুষ্টিয়া জেলা পরিষদের বরাদ্দকৃত দোকানঘর দখল করল আ’লীগ নেতা

লেখক: প্রতিবেদক ঢাকা
প্রকাশ: অক্টোবর ২, ২০২৪

নিজ সংবাদ ॥ কুষ্টিয়া-ঝিনাইদহ মহাসড়কের বটতৈল সাবস্টেশন সংলগ্ন কুষ্টিয়া জেলা পরিষদের মালিকানাধীন আবুল কালাম আজাদের নামে বরাদ্দকৃত ৩ নম্বর দোকানঘর দখল নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে ২০নং ওয়ার্ড মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জলি খাতুন ও তার স্বামী একই ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাবেক সহ-সভাপতি আবু সাইদের বিরুদ্ধে। অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, কুষ্টিয়া-ঝিনাইদহ মহাসড়কের বটতৈল সাবস্টেশন সংলগ্ন শালঘর মধুয়ায় জেলা পরিষদের মালিকানাধীন বরাদ্দকৃত যাহার স্মারক জেপ/কুষ্টিয়া/ ২১/১১৯, ৩ নম্বর দোকানঘর আবুল কালাম আজাদের নামে বরাদ্দ হয়।

বরাদ্দের পর থেকেই আজাদ দোকানঘরটি ভাড়া দিয়ে আসছিলেন। হঠাৎ করেই ২০নং ওয়ার্ড মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জলি খাতুন ও তার স্বামী ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাবেক সহ-সভাপতি আবু সাইদ এবং আওয়ামী লীগ নেতা জাহিদুল ইসলাম প্রভাব খাটিয়ে ক্ষমতার দাপটে জোরপূর্বক দোকানঘরটি দখল ও চাঁদার দাবি করছেন। এ নিয়ে ব্যবসায়ী ও সাধারণ মানুষের মধ্যে প্রচণ্ড ক্ষোভ ও বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানের মুখে আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পরও এই আওয়ামী লীগ নেতাদের ক্ষমতার দাপট নিয়ে চলছে আলোচনা-সমালোচনাও।

ভুক্তভোগী আবুল কালাম আজাদ বলেন, জেলা পরিষদের মালিকানাধীন এই দোকানঘরটি আমি বরাদ্দ পায়। দোকানঘরটি ওয়ার্কশপের ব্যবসার জন্য সদর উপজেলার হরিপুরের সবুজ মালিথার কাছে ভাড়া দিয়ে আসছি। হঠাৎ করেই ২০নং ওয়ার্ড মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জলি ও তার স্বামী ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাবেক সহ-সভাপতি আবু সাইদ এবং আওয়ামী লীগ নেতা জাহিদুলের নজর পড়ে। এরপর থেকে তারা ক্ষমতার দাপটে জোরপূর্বক দোকানঘরটি দখল ও চাঁদার দাবি করে আসছে। এই নিয়ে আমি তাদের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দিয়েছি। আমি এদের বিচার চাই।

এ বিষয়ে ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাবেক সহ-সভাপতি আবু সাইদ বলেন, এখানে অনেকেরই দোকানঘর আছে। সবাইকে খবর দেওয়া হয়েছিল অনেকেই এসেছিলেন। যারা আসেননি আমি তাদের দোকানঘর গুলো নিয়েছি। এখানে যাদের বরাদ্দকৃত দোকানঘর আছে তাদের জেলা পরিষদে যোগাযোগ করতে বলেছি। এর চেয়ে বেশি কিছু বলতে পারবো না। এ বিষয়ে ২০নং ওয়ার্ড মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জলি খাতুনের সঙ্গে মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলে তার মোবাইলফোনটি বন্ধ পাওয়া গেছে। এ ব্যাপারে কুষ্টিয়ার ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক শারমিন আখতার বলেন, লিখিত অভিযোগ পেলেই তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।