নিজ সংবাদ ॥ দীর্ঘদিন ধরেই কুষ্টিয়া রেজিস্ট্রি অফিসে চলছে ঘুষ বাণিজ্য। ভুক্তভোগীদের অভিযোগ সব কিছু ঠিক ঠাক ঠাকলেও নেয়া হয় ঘুষের টাকা। বিষয়টি এক কর্মচারীর বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দিলে ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানান সাব রেজিস্ট্রার। সাময়িক ব্যবস্থা নয় স্থায়ীভাবে হয়রানি বন্ধে পদক্ষেপ চান নাগরিক সমাজ।কুষ্টিয়া সাব রেজিস্ট্রি অফিস। ঘুষ ছাড়া হয়না কোনো কাজই। ৫ আগস্টের আগে স্বৈরাচারের একটি সময় সমিতির নামে সিন্ডিকেট করে হাতিয়ে নিতেন একটি চক্র মোটা অংকের টাকা। এ নিয়ে ভুক্তভোগীদের দীর্ঘদিনের অভিযোগ শেষে আবাসন ঘটলেও অফিসের কর্মচারীদের থেকে রেহাই পাইনি এখনো সাধারণ মানুষ।ভুক্তভোগীরা জানান ২/১ বার অভিযান চললেও বন্ধ হয়নি ঘুষ বাণিজ্য। প্রকাশ্যে দলিলের পাতা গুণে গুণে ঘুষ নেন সংশ্লিষ্টরা।
না দিলে হতে হয় সীমাহীন হয়রানির শিকার। অফিসের মধ্যে থেকে টাকা নেওয়ার একটি ভিডিও ফুটেজ রাসেল মল্লিককে দেখালেও মানতে নারাজ সাব-রেজিস্ট্রিার। সাংবাদিকদের সাথে এক দুই মিনিট কথা কাটাকাটি ও লাঞ্ছিত করেন, এসময় আশে পাশের অনেক লোকজন উপস্থিত হয়। অফিসের ভিতর দরজা বন্ধ করে জমির কাগজ পত্র নিয়ে কাজ করার কথা ও মিরপুরে থাকাকালিন তার বিরুদ্ধ অভিযোগের বিষয়টি সবার সামনে তুলে ধরলে পরে একটি সময় অবশ্য টাকা নেওয়ার ভিডিও ফুটেজের বিষয়টি নিয়ে ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানান সাব-রেজিস্টার রাসেল মল্লিক।
রেজিস্ট্রি অফিসের এক কর্মচারী জানান,ব্রিটিশ সরকার আমল থেকেই সরকারি ফ্রি সাথে ২০ থেকে ৫০ টাকা বকশিশ নেই এটা ঘুষ না।নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন জানান, সাব-রেজিস্ট্রিারও ঘুষ খান তবে সিস্টেম মোতাবেক। কোন দলিল লেখক জমি রেজিস্ট্রি করতে যায়,তাহলে সাব-রেজিস্ট্রিার সরাসরি তার সাথে সবকিছু ডিল করে রাখেন। তার একজন গোপন লোক আছে তার মাধ্যমে টাকা নিয়ে থাকেন। আপনারা সাংবাদিক লেগে থাকেন দেখবেন সব পেয়ে যাবেন আর রাসেল মল্লিক মিরপুরের জমি রেজিস্ট্রি দায়িত্বে থাকাকালীন কি কি করেছে অনলাইনে নিউজ সার্চ দিলে পেয়ে যাবেন।এ বিষয় নিয়ে সাংবাদিক মহলে সাংবাদিকদের সাথে সাব-রেজিস্ট্রিার রাসেল মল্লিকের এমন ব্যবহার করাই সৃষ্টি হয়েছে নানা গুঞ্জন।
