বিশেষ প্রতিনিধি ॥ কুষ্টিয়া সদর উপজেলার বড় আইলচারা ইউনিয়নের খোর্দ্দ আইলচারা এলাকার শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখার দাবীতে জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা’র নিকট কেএনবি’র চেয়ারম্যান শিল্পপতি নাসির ও খোর্দ্দ আইলচারা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মোঃ মাসুদ আল-মামুনের বিরুদ্ধে স্মারক লিপি দিয়েছেন এলাকাবাসী।
গতকাল মঙ্গলবার (৩০ জুলাই) দুপুর ১টার দিকে ৩০ জন গ্রামবাসীর একটি দল ৩০০ জনের সাক্ষরিত একটি স্মারক লিপি কুষ্টিয়ার জেলা প্রশাসক এহতেশাম রেজা’র নিকট জমা দেন। এসময় জেলা প্রশাসক এহতেশাম রেজা মনোযোগ সহকারী গ্রামবাসীর কথা শুনেন এবং যথা উপযুক্ত ব্যাবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দেন। এরপর প্রতিনিধি দলটি কুষ্টিয়া সদর উপজেলা পরিষদের নির্বাহী কর্মকর্তা পার্থ প্রতিম শীলের নিকট স্মারকলিপির অনুলিপি জমা দেন।
এলাকাবাসীর অভিযোগের ভিত্তিতে জানা যায়, বর্তমানে খোর্দ্দ আইলচারা এলাকায় উত্তেজিত ও আতংকিত পরিবেশ বিরাজ করছে। অতি দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ না করিলে, যে কোনো সময়ে একটি রক্তক্ষয়ী সংঘাতময় পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে পারে।
কারন হিসেবে জানা যায়, খোর্দ্দ আইলচারা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের উন্নয়নের লক্ষ্যে এলাকার একটি সরকারি পুকুর প্রতি বছর বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের নামে ইজারা নেওয়া হয়। মৎস্য চাষের মাধ্যমে উপার্জিত অর্থ খোর্দ্দ আইলচারা মাধ্যমিক স্কুল ফান্ডে জমা করা হয়।
এরই ধারাবাহিকতায়, এ বছর বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মোঃ মাসুদ আল-মামুনের নামে ইজারা নেওয়া হয়। কিন্তু ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক এবং বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি কামরুজ্জামান নাসির মিলে ঐ পুকুরটি গত ৩১ শে জুন ও ১১ জুলাই মোট ২জনের নিকট মৌখিক ভাবে পুকুরটি ইজারা দেয়।
ইজারা গ্রহীতারা হলেন, শাহাজ উদ্দিন এবং মোঃ মনোয়ার হোসেন মনু। যার ফলশ্রুতিতে ইজারা গ্রহীতারা শাহাজ উদ্দিন এবং মোঃ মনোয়ার হোসেন মনু পুকুরের দখল নেওয়ার জন্য শক্তি প্রদর্শনের চেষ্টা করে এবং এলাকায় একটি সংঘাতময় পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। এই বিষয়ে এলাকার সচেতন মহল বিষয়টি স্থানীয় প্রশাসনকে অবগত করলে গত ২৬ জুলাই কুষ্টিয়া সদর থানায় এএসপি সদর সার্কেল এবং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা’র উপস্থিতিতে উভয় পক্ষ বিষয়টি মিমাংসার জন্য নির্বাহী কর্মকর্তা কুষ্টিয়া সদর উপজেলা’কে দায়িত্ব দেয়।
এরপর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা গত ২৯ জুলাই বিবাদমান সকল পক্ষকে হাজির হওয়ার নির্দেশ দান করলে মোঃ মনোয়ার হোসেন মনু ও ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মোঃ মাসুদ আল-মামুন হাজির না হওয়ায় বিষয়টি সুরাহা করা সম্ভব হয় না। এদিকে বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি কামরুজ্জামান নাসির ও ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মোঃ মাসুদ আল-মামুন এলাকার শান্তি-শৃঙ্খলা বিনষ্ট করার পায়তারা করছেন বলে এলাকাবাসীর অভিযোগ। অতি দ্রুত এই কুচক্রী মহলকে থামাতে না পারলে, যে কোন সময় এলাকায় একটি রক্তক্ষয়ী সংঘাতময় পরিস্থিতির উদ্ভব হতে পারে বলে এলাকাবাসী মনে করেন। এবিষয়ে স্থানীয় এলাকাবাসী জেলা প্রশাসকের হস্তক্ষেপ কামনা করে স্মারক লিপি প্রদান করে। যার অনুলিপি কুষ্টিয়া সদর উপজেলা পরিষদের নির্বাহী কর্মকর্তাকেও দেওয়া হয়েছে বলে জনা গেছে।
