কুষ্টিয়ার তিনটি আসনে নৌকার ভরাডুবি, সদর আসনে ব্যাপক ভোট কারচুপির অভিযোগ - কুষ্টিয়া জিলাইভ | truth alone triumphs

কুষ্টিয়ার তিনটি আসনে নৌকার ভরাডুবি, সদর আসনে ব্যাপক ভোট কারচুপির অভিযোগ

লেখক: প্রতিবেদক ঢাকা
প্রকাশ: জানুয়ারি ৮, ২০২৪

নিজ সংবাদ ॥ কুষ্টিয়া জেলার ৪টি সংসদীয় আসনের ৫টি পৌরসভা এবং ৬৬ টি ইউনিয়নের ৫৭৮টি ভোট কেন্দ্রের ৩৮২৩টি ভোট কক্ষ সর্বমোট ১৬ লাখ ৪৩ হাজার ৯১২ জন ভোটারের ভোট গ্রহণের জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে। যার মধ্যে ৮ লাখ ২২ হাজার ৫১৬ জন পুরুষ, ৮ লাখ ২১ হাজার ৩৮৮ জন মহিলা এবং ৮ জন হিজড়া ভোটার আছে। বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের ঘোষিত তফসিল মোতাবেক ৭ জানুয়ারী সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত একটানা বিরতিহীন ভাবে ভোট গ্রহণ করা হয়। কুষ্টিয়ার ৪টি সংসদীয় আসনের বিপরীতে ৫৭৮ কেন্দ্র রয়েছে।

কুষ্টিয়ার তিনটি আসনে নৌকার ভরাডুবি, সদর আসনে ব্যাপক ভোট কারচুপির অভিযোগ

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কুষ্টিয়া-১ (দৌলতপুর) আসন থেকে বর্তমান এমপি আ. কা. ম সরোয়ার জাহান বাদশা নৌকা প্রতীক নিয়ে লড়ছেন। এ আসনে তার দুই শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী নিজ দলের স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক এমপি আফাজ উদ্দিনের পুত্র নাজমূল হুদা পটল ও সাবেক এমপি উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি রেজাউল হক চৌধুরী। এখানে মূল লড়াই হয়েছে নাজমুল হুদা ও রেজাউল হকের মধ্যে। নির্বাচনের ফলাফল অনুযায়ী আওয়ামী লীগের নৌকা এখানে তৃতীয় স্থানে রয়েছে।

কুষ্টিয়া-১ (দৌলতপুর) আসনে আবারো স্বতন্ত্র প্রতিকে বেসরকারী ভাবে নির্বাচিত হয়েছেন সাবেক সংসদ সদস্য ও উপজেলা আ.লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি আলহাজ্ব রেজাউল হক চৌধুরী। এর আগে দ্বশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তৎকালীন উপজেলা আ.লীগের সভাপতি ও আ.লীগ মনোনিত প্রার্থী বর্ষিয়ান নেতা আফাজ উদ্দীন আহমেদ কে পরাজিত করে প্রথম বারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন তিনি। এবারো উপজেলা আ.লীগের সভাপতি নৌকা প্রতিকের প্রার্থী ও বর্তমান এমপি আ. কা. ম. সরওয়ার জাহান বাদশাহ্ কে দ্বিগুন ভোটের ব্যাবধানে হারিয়ে দ্বিতীয় বারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন তিনি। এদিকে নৌকার পরাজয় নিশ্চিত দেখে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে লাইভে বক্তব্য রাখেন বর্তমান সংসদ সদস্য আ.কা.ম সরওয়ার জাহান বাদশাহ। এছাড়া বিচ্ছিন্ন কিছু ঘটনা ছাড়া শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। কেন্দ্রে ভোটারদের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মত। কড়া নিরাপত্তার মধ্যদিয়ে শেষ হয়েছে কুষ্টিয়া-১ দৌলতপুর আসনে ১৪টি ইউনিয়নের ১২৯টি কেন্দ্রে ভোট গ্রহন। ৭ জানুয়ারি রোববার সকাল ৮টা থেকে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোট গ্রহণ শুরু হয় এবং তা চলে বিকেল ৪টা। দৌলতপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও সহকারী রিটার্নিং অফিসার মো. ওবায়দুল্লাহ জানান, দৌলতপুরে শান্তিপূর্ণভাবে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। কোথাও কোন অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। শতকরা ৭৫ ভাগ ভোট পোল হয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন। দৌলতপুরে মোট ভোটার ৩ লাখ ৮০ হাজার ২৮৭জন। এরমধ্যে পুরুষ ভোটার ১ লাখ ৯১ হাজার ২২৩ জন এবং মহিলা ভোটার ১ লাখ ৮৯ হাজার ৬৪জন। এর মধ্যে আসনটিতে ১৪টি ইউনিয়নের ১২৯টি কেন্দ্রে মোট ভোট পোল হয়েছে ২ লক্ষ ৪ হাজার ৯৪৫। এর মধ্যে ৪ হাজার ২০২ টি ভোট বাতিল হয়েছে। এ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থীসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের ১০জন প্রার্থী নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। এরমধ্যে দৌলতপুর আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি ট্রাক প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক এমপি আলহাজ্ব রেজাউল হক চৌধুরী, ৮৯ হাজার ২৭৪ ভোট পেয়ে বেসরকারী ভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। দৌলতপুর আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ও আওয়ামী লীগ দলীয় সাবেক এমপি প্রয়াত আফাজ উদ্দিন আহমেদের বড় ছেলে ঈগল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী নাজমুল হুদা পটল, ৫৩ হাজার ১০৫ ভোট পেয়ে দ্বিতীয় হয়েছেন। আওয়ামী মনোনিত নৌকার প্রার্থী দৌলতপুর আওয়ামী লীগের সভাপতি আওয়ামী লীগ দলীয় নৌকার প্রার্থী বর্তমান এমপি আ. কা. ম. সরওয়ার জাহান বাদশাহ, ৪৮ হাজার ৯৬১ তৃতীয় হয়েছেন। এছাড়াও কেটলি প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ফিরোজ আল মামুন, ৮০৯৯, জাসদ সমর্থিত মশাল প্রতীকের প্রার্থী শরিফুল কবীর স্বপন, ২৬৫৮, লাঙ্গল প্রতীক নিয়ে জাতীয় পার্টির প্রার্থী সাবেক মন্ত্রী প্রয়াত কোরবান আলীর ছেলে শাহরিয়ার জামিল জুয়েল, ১৩১৩, সোনালী আঁশ প্রতীকের তৃণমুল বিএনপির প্রার্থী আনিছুর রহমান, ৬০৭, ওয়াকার্স পার্টির প্রার্থী হাতুড়ি প্রতীকের কমরেড মজিবর রহমান, ৫৮১, ডাব প্রতীকের বাংলাদেশ কংগ্রেসের প্রার্থী সেলিম রেজা, ২৭৪, ছড়ি প্রতীকের বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোটের প্রার্থী সাজেদুল ইসলাম, ৮৪ ভোট পেয়েছেন।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কুষ্টিয়া-২ ( ভেড়ামারা-মিরপুর) আসনে জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনু ১৪ দল থেকে নৌকা প্রতীক নিয়ে লড়েছেন। এখানে ৭জন প্রার্থীর মধ্যে ইনুর শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী মিরপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক ও সদ্য পদত্যাগী উপজেলা চেয়ারম্যান কামারুল আরেফিন। এই আসন থেকে ট্রাক প্রতীক নিয়ে কামারুল জয় লাভ করেছেন।

কুষ্টিয়া-২ আসন দুইটি উপজেলা, দুইটি পৌরসভা এবং ১৯টি ইউনিয়নের সমন্বয়ে গঠিত। এই আসনে ১৬১টি ভোট কেন্দ্রের ১ হাজার ৪৫টি ভোট কক্ষে ভোট গ্রহন করা হবে। মিরপুর-ভেড়ামারা আসনে মোট ভোটার সংখ্যা ৪ লাখ ৫১ হাজার ৯৩৬ জন। এই আসনে মোট ভোট দিয়েছেন ২ লাখ ২০ হাজার ২৩৭ জন ভোটার। যার মধ্যে ২ লাখ ১৪ হাজার ২৫২ টি ভোট বৈধ এবং ৫ হাজার ৯৮৫ টি ভোট অবৈধ বলে জানিয়েছেন জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা।

নির্বাচনের ফলাফল বিপর্যয় হলেও জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনু হেরে যাওয়ায় খুশি আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীরা। দলীয় সুত্রে জানা যায়, কুষ্টিয়া-২(মিরপুর-ভেড়ামারা) আসনে ২০০৮ সালের আগের প্রায় সব সংসদ নির্বাচনেই মশাল নিয়ে হেরেছেন জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনু। এরপর মহাজোটের প্রার্থী হিসেবে টানা তিনবার এ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন তিনি। আওয়ামীলীগ নেতাকর্মীদের অভিযোগ, ভোটে ইনু নৌকা নিয়ে বারবার নির্বাচিত হলেও তাঁদের সঙ্গে কোনো সম্পর্ক রাখেন না। উল্টো দলটির নেতার্মীরা আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের ওপর জুলুম করেন। তাই এবারের নির্বাচনে দলীয়ভাবেই সিদ্ধান্ত নিয়ে তাঁর বিপক্ষে ভোট করেছেন নেতাকর্মীরা। যে কোরণে তিনি নৌকা প্রতীক নিয়েও পরাজিত হয়েছেন।

কুষ্টিয়া-২ (মিরপুর ও ভেড়ামারা) আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য ও জাসদের হাসানুল হক ইনু পেয়েছেন ৯২ হাজার ৪৪৫ ভোট। ১ লাখ ১৫ হাজার ৭৯৯ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী ট্রাক প্রতীকের কামারুল আরেফিন। তিনি মিরপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান। রোববার কোনো অনাকাঙ্খিত ঘটনা ছাড়াই সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত এই আসনে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। এরপর মোট ১৬১ কেন্দ্রের ভোট গণনা শেষে রাত ৯টার দিকে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক মো. এহেতেশাম রেজা বেসরকারিভাবে এ ফলাফল ঘোষণা করেন। এই আসনে মোট ভোটার সংখ্যা ৪ লাখ ৫১ হাজার ৯৩৬ জন।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কুষ্টিয়ার তিনটি আসন থেকে থেকে আওয়ামীলীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থীরা হেরে গেলেও কুষ্টিয়া-৩ (সদর) আসনে বিজয়ী হয়েছে হেভিওয়েট প্রার্থী বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ। তবে স্বতন্ত্র প্রার্থী কুষ্টিয়ার মেয়র পুত্র পারভেজ আনোয়ার তণুর অভিযোগ ব্যাপক কারচুপি করে আমার বিজয় ছিনিয়ে নিয়েছেন হানিফ। রবিবার দুপুর দেড়টায় কুষ্টিয়া শহরের আড়ুয়াপাড়ার নিজ বাড়িতে সংবাদ সম্মেলন করে কেন্দ্র দখলে নিয়ে ভোট কারচুপির অভিযোগ করেন তিনি। এসময় তিনি দাবী করেন হানিফ তার পোলিং এজেন্ট ও কর্মীদের ভয়ভীতি দেখিয়ে মারধর করে কেন্দ্র থেকে বের করে দেয় এবং কেন্দ্র দখলে নিয়ে নৌকায় সিল মারেন। এমন পরিস্থিতিতে ভোট গ্রহণ স্থগিত করে পুনরায় নির্বাচন করার দাবি জানান স্বতন্ত্র প্রার্থী পারভেজ আনোয়ার।
কুষ্টিয়া-৩ (সদর) আসনে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মাহবুব উল আলম হানিফ বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। রবিবার (৭ জানুয়ারি) রাত সাড়ে ৯টার দিকে কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসক ও জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা এহতেশাম রেজা মাহবুব উল আলম হানিফকে বেসরকারিভাবে বিজয়ী ঘোষণা করেন। জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তার সূত্রে জানা যায়, এ আসনে ১৪০টি ভোট কেন্দ্রে ভোটার সংখ্যা ৪ লাখ ১৫ হাজার ৯৪ জন। যার মধ্যে ২ লাখ ৫ হাজার ১৫৫ জন পুরুষ ভোটার এবং ২ লাখ ৯ হাজার ৯৩৬ জন মহিলা ভোটার আছে । এছাড়াও এই উপজেলায় আরো ৩ জন হিজড়া ভোটারও আছে। এই আসনে মোট ভোট দিয়েছেন ১ লাখ ৭৫ হাজার ৫৩৩ জন ভোটার। যার মধ্যে ১ লাখ ৭১ হাজার ১৫৭ টি ভোট বৈধ এবং ৪ হাজার ৩৭৬ টি ভোট অবৈধ বলে জানিয়েছেন জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা। এরমধ্যে নৌকা প্রতীক নিয়ে মাহবুব উল আলম হানিফ পেয়েছেন ১লক্ষ ২৭হাজার ৮০৩ ভোট। আর তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বীদের মধ্যে ঈগল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী পারভেজ আনোয়ার তণু ৪২ হাজার ১শত ৮১ ভোট। মাহবুব উল আলম হানিফ কুষ্টিয়া-৩ সদর আসনে তৃতীয়বারের মতো এমপি নির্বাচিত হলেন।

কুষ্টিয়া-৪ ( খোকসা-কুমারখালী) আসনে বর্তমান এমপি সেলিম আলতাফ জর্জ নৌকা নিয়ে লড়ছেন। ৬ প্রার্থীর মধ্যে জর্জের মুল প্রতিদ্বন্দ্বী সাবেক এমপি জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য আব্দুর রউফ। নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুর রউফ বিশাল ব্যবধানে বিজয়ী হয়েছেন। রবিবার সন্ধ্যায় উপজেলা মিলনায়তনে সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা নির্বাচনের ফল প্রকাশ করেন। আব্দুর রউফ ৯৮ হাজার ৪১ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামীলীগের মনোনীত সেলিম আলতাফ জর্জ নৌকা প্রতীকে ৮০ হাজার ১১১ ভোট পেয়েছেন। নির্বাচনে এমপি পদে আটজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। কুষ্টিয়া-৪ আসনের ভোটার সংখ্যা ৩ লাখ ৯৬ হাজার ৫ শ’৯৫ জন । এর মধ্যে পুরুষ রয়েছে ১ লাখ ৯৯ হাজার ৭ শ’ ৩৩ মহিলা ভোটার রয়েছে ১ লাখ ৯৬ হাজার ৮ শ’৬০ জন এবং তৃতীয় লিঙ্গ রয়েছে ২ জন। ভোট কেন্দ্রের সংখ্যা রয়েছে ১৪৮টি। এর মধ্যে কুমারখালীতে ৯৮ টি খোকসাতে রয়েছে ৫০ টি। এই আসনে মোট ভোট দিয়েছেন ১ লাখ ৮৫ হাজার ২৯৫ জন ভোটার। যার মধ্যে ১ লাখ ৮১ হাজার ৪০৬ টি ভোট বৈধ এবং ৩ হাজার ৮৮৯ টি ভোট অবৈধ বলে জানিয়েছেন জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা। ২০১৪ সালে কুষ্টিয়া-৪ আসনের সংসদ নির্বাচনে আব্দুর রউফ এমপি হয়েছিলেন। সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা মোঃ মাহবুবুল হক রবিবার রাত ৮ টার সময় বেসরকারি ভাবে আব্দুর রউফ কে বেসরকারি ভাবে বিজয়ী ঘোষণা করেন।