কুষ্টিয়ায় স্বাস্থ্যঝুঁকিতে মাংসের বাজার - কুষ্টিয়া জিলাইভ | truth alone triumphs

কুষ্টিয়ায় স্বাস্থ্যঝুঁকিতে মাংসের বাজার

লেখক: প্রতিবেদক ঢাকা
প্রকাশ: মে ৩, ২০২৪

আমিন হাসান ॥ স্বাস্থ্য পরীক্ষা ছাড়াই অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে গরুর মাংস বিক্রি করতে হচ্ছে মাংস ব্যবসায়ীদের। লাম্পি স্কিন ডিজিজ(এল এসডি) রোগ আক্রান্ত গরুর মাংসে আছে কিনা তাও জানতে পারি না মাংস ব্যবসায়ীরা  । এমন ঘটনা ঘটেছে শহরের চিরচেনা সেই কুষ্টিয়া পৌর বাজারে। গত একবছর যাবত জারজীর্ণ অবস্থায় রয়েছে এই মাংসের বাজার। এসব মাংস খেয়ে স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে পড?তে পারেন সাধারণ কেতারা। তাই শক্তিশালী বাজার পর্যবেক্ষণ ব্যবস্থাপনা কমিটি গঠন ও প্রশাসনিক তদারকির দাবি জানান এই বাজারের ভুক্তভোগী মাংস ব্যবসায়ীরা। গতকাল বৃহস্পতিবার( ২ মে) ভোর সাড়ে পাঁচটার সময়   দৈনিক খবরওয়ালা পত্রিকার সাংবাদিকদের মাংস ব্যবসায়ীরা জানান,আমাদের অনেক অভিযোগী আছে আমরা গরু যখন জবাই করি তখন উচিত আগেই গরুকে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে নেয়ার কিন্তু এখানে প্রায়ই এক বছর কোন পশু চিকিৎসক নেই। এখানে একজনকে দায?িত্ব দেওয়া ছিল কিন্তু সেই ব্যক্তিকে পৌরসভা ৪০০০ টাকাও বেতন দিতে রাজি হননি সেই পশু ডাক্তার প্রায় ১২ কিলোমিটার দূর থেকে এখানে আসছেন বেতন না পাওয়ায় তিনি এক বছর আগেই চাকরি ছেড়ে দিয়েছেন। আর এই সুযোগে এখানে কিছু অসাধু মাংস ব্যবসায়ীরা অস্বাস্থ্য ও মৃত্যুশয্যায়ের শেষ মুহূর্তে থাকা গরু জবাই করে বিক্রি করেন যা আমাদের দেখতে অনেক খারাপ লাগে। গোপন সূত্রে জানা যায়,তদারকির অভাবে এক দিন আগে জবাই করা গরুর মাংসও বিক্রি করা হচ্ছে। স্বল্প মূল্যে বিক্রি করা হয় এসব মাংস। নেই কোনো মূল্যতালিকা। এ কারণে যার কাছে যেমন খুশি দাম হাঁকা হচ্ছে, সেই দামে করা হচ্ছে বিক্রি। অন্যদিকে সকালবেলায় জনসম্মুখে পশু জবাইয়ের কথা থাকলেও তা অনুসরণ করেন না মাংস ব্যবসায়ীরা। জবাই করা হয় ভোররাতে। এ কারণে ষাঁড়ের মাংস ভেবে গাভির মাংস কিনে প্রতারণার শিকার হচ্ছেন অনেক ক্রেতারা। তবে পৌরসভা খাজনা নিতে একটুও ভুল করেন না দোকান প্রতি ৭০ টাকা এবং গরু প্রতি ৭০ টাকা এই মোট ১৪০ টাকা খাজনা তুলেন গরু বেশি থাকলে আরো বাড?তি খাজনা দিতে হয়। অভিযোগ উঠেছে, মাংসের বাজারে যে সকল গরু জবাই করা হয় তার মলমত্র এবং খাওয়ার অযোগ্য বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ এখানে বাজারের ময়লা রাখা ডাস্টবিনের মধ্যে প্রায় তিন-চার দিন পড়ে থাকে। এমনকি ইচ্ছে মতো সেই দুর্গন্ধময় নোংরা পৌরসভার গাড়ি দিনের বেলায় বাজারের মধ্যে দিয়ে বহন করে এই  তীব্র দুর্গন্ধ কোন মানুষই সহ্য করতে পারে না মাংস ক্রয় করার জন্য যারা বাজারে আসেন তাদের মধ্যে অনেকেই অসুস্থ হয়ে পড়েন। অনেক ক্রেতারা  আমাদেরকে নানা রকম অভিযোগ দেয়। এ বিষয়ে পৌর বাজারের  মাংস ব্যবসায়ীদের একটাই দাবি,আমরা স্বচ্ছতার সাথে ব্যবসা করতে চাই, যাতে  কোন ক্রেতাই আমাদের প্রতি ভুল ধারণা না আনতে পারে। অবশ্যই যেন এখানে একজন পশু চিকিৎসক নিয়োগ দেয়া হয়।