বিশেষ প্রতিনিধি ॥ কুষ্টিয়া জেলা বাস মিনিবাস কোচ ও মাইক্রোবাস শ্রমিক ইউনিয়ন-৭২ এর গুরুত্বপূর্ণ নথি চুরির অভিযোগ উঠেছে সদ্য সাবেক কমিটির বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় শ্রমিকদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ ও চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। সূত্র জানায়, সাবেক সভাপতি মাহাবুল আলম ও সাধারণ সম্পাদক আফজাল হোসেনের নির্দেশে সাবেক দপ্তর সম্পাদক আলফাজ এবং সাবেক সড়ক সম্পাদক ফারুক হোসেন গোপনে ইউনিয়ন অফিস থেকে গুরুত্বপূর্ণ নথি সরিয়ে নেন। এ খবর চারদিকে ছড়িয়ে পড়লে অ্যাডহক কমিটির সদস্যরা দ্রুত পদক্ষেপ নেন।
অ্যাডহক কমিটির আহ্বায়ক হাজী রবিউল আওয়াল জানান, “আমাদের কমিটি গঠনের পর থেকেই এই নথিগুলো আমাদের বুঝিয়ে দিচ্ছিল না। পরে জানতে পারি, তারা অফিস থেকে নথি সরিয়ে ফেলেছে। খবর পেয়ে আমরা তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তারা গত ৬ নভেম্বর নথিগুলো ফেরত দেয়।” তিনি আরও বলেন, “তারা কেন এই ঘৃণ্য কাজ করেছে এবং কোনো অসৎ উদ্দেশ্যে নথিগুলো নিজেদের কাছে রেখেছিল কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। আমরা বিষয়টি খুলনা বিভাগীয় ফেডারেল অফিসে অভিযোগ আকারে জানাব।”
জানা গেছে, গত জুন মাসে মাহাবুল ও আফজালের নেতৃত্বাধীন কমিটির মেয়াদ শেষ হয়। প্রায় চার মাস পর, গত ২৪ অক্টোবর সাধারণ সভার মাধ্যমে নতুন অ্যাডহক কমিটি গঠন করা হয়। কিন্তু কমিটি গঠনের পর সাবেক নেতারা দাপ্তরিক নথিপত্র বুঝিয়ে দিতে গড়িমসি করেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এদিকে ইউনিয়নের কয়েকজন সদস্য অভিযোগ করেছেন, সদ্য সাবেক সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক যৌথভাবে বেশ কিছু ভূয়া ভোটার তৈরি করেছেন। তাঁরা এই ভূয়া ভোটারদের বাদ দিয়ে প্রকৃত শ্রমিকদের ভোটার বানানোর দাবি জানান। অভিযোগ রয়েছে, সাবেক সাধারণ সম্পাদক আফজাল হোসেন বর্তমানে জেলা শ্রমিক লীগের সহ-সাধারণ সম্পাদক পদে থেকে আওয়ামী ঘরানার প্রভাব খাটিয়ে শ্রমিক ইউনিয়নের নিয়ন্ত্রণ ধরে রাখার চেষ্টা করছেন।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে সাবেক সভাপতি মাহাবুল আলমের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, “জেডিএল-এ নির্বাচন বিধি ও ভোটার তালিকা নিয়ে আপত্তি জানিয়ে আমাদের প্রতিপক্ষ অভিযোগ করেছিল। তাই আমরা নথিগুলো নিজেদের কাছে রেখেছিলাম।” তবে এ বিষয়ে শ্রমিক ইউনিয়নের বর্তমান কমিটি বলছে, এ ঘটনায় শ্রমিক সমাজে নেতিবাচক বার্তা গেছে। ভবিষ্যতে এমন অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা রোধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
