বিশেষ প্রতিনিধি ॥ কুষ্টিয়া পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের হাউজিং ই-ব্লকের চাঁদাগাড়া এলাকায় সরকারি জায়গা দখলের অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় কিছু দাঁড়ি টুপি পরিহিত মুসল্লিদের বিরুদ্ধে। এদিকে জাতীয় গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষ কুষ্টিয়ার হাউজিং এস্টেটের ই ব্লকে অবৈধভাবে দখল ও ওয়াল নির্মাণ প্রসঙ্গে কঠোর বার্তা দিয়ে উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী ছোটন চৌধুরী স্বাক্ষরিত একটি চিঠি গতকাল বুধবার (১৯ নভেম্বর) ঐ মসজিদ কর্তৃপক্ষ বরাবর প্রেরণ করেছে। ঐ চিঠিতে বলা হয়েছে উক্ত জমি বরাদ্দ না হওয়া পর্যন্ত অবৈধভাবে নির্মাণ কাজ করা থেকে বিরত থাকার নির্দেশ দেওয়া হলো।
অন্যথায় সরকারী সম্পত্তি জবরদখল ও অন্যায় ভাবে নির্মাণ কাজ করায় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। গতকাল বুধবার দুপুরে সরেজমিনে দেখা যায়, জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের সাইনবোর্ড দেয়া জায়গা দখল করে নিচ্ছে একদল দাঁড়ি টুপিওয়ালা মসজিদের কয়েকজন। সেই থাকে ১৫ থেকে ২০ জন নির্মাণ শ্রমিক ওয়াল দিতে কাজ করছে। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, দীর্ঘদিন ধরে পড়ে থাকা জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের জমির একটি অংশে সম্প্রতি বেড়া ও প্রাচীর নির্মাণ করা হচ্ছে, যা নিয়ে এলাকায় উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে। অভিযোগ রয়েছে, হাউজিং ই-ব্লকের একটি মসজিদ পরিচালনা কমিটির সদস্যদের নাম ব্যবহার করে এলাকায় কিছু অসাধু মাটি খেকো ব্যক্তি সরকারি জায়গায় প্রাচীর তুলে দখল করছেন। এতে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়ে এলাকাবাসী বলেন, মসজিদ তার নির্ধারিত জায়গায় রয়েছে।
মসজিদের বাইরে যে খোলা জায়গাগুলো রয়েছে, সেগুলো উন্মুক্ত রাখা উচিত। সরকারি জায়গা ব্যক্তি বা কোনো প্রতিষ্ঠান দখল করতে পারে না। অন্যদিকে খান কনস্ট্রাকশনের মালিক সবুজ খান অভিযোগ করেন, তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের অংশ বিশেষ ভেঙে ফেলা হয়েছে। তিনি দাবি করেন, সম্পূর্ণ অবৈধভাবে আমার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভেঙে দিয়ে এলাকার কিছু লোক মসজিদের নাম ব্যবহার করে সরকারি জায়গা দখলের চেষ্টা করেছে।
এ বিষয়ে জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের উপ-সহকারী প্রকৌশলী হামিদুর রহমান জানান, জায়গাটি গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের মালিকানাধীন। সেখানে আমাদের সাইনবোর্ডও স্থাপন করা আছে। তবুও যদি কেউ বেড়া, প্রাচীর বা কোনো নির্মাণকাজ করে, সেটি সম্পূর্ণ অবৈধ। ইতোমধ্যে আমরা একটা নোটিশ দিয়েছি কাজ বন্ধ করার জন্য। তারপরও যদি কেউ কাজ চলমান রাখে, তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। স্থানীয়রা দ্রুত প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন, যাতে সরকারি সম্পত্তি দখল বন্ধ হয় এবং এলাকায় শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় থাকে।
