কুষ্টিয়ায় বিএনপির সাংবাদিক সম্মেলন - কুষ্টিয়া জিলাইভ | truth alone triumphs

কুষ্টিয়ায় বিএনপির সাংবাদিক সম্মেলন

লেখক: প্রতিবেদক ঢাকা
প্রকাশ: জুন ১৬, ২০২৪

কেন্দ্রীয় কৃষক দলের সভাপতি বহিষ্কারের দাবি 

নিজ সংবাদ ॥ কুষ্টিয়ায় দলে বিভেদ সৃষ্টিকারী আন্দোলনে পলায়নকারী বিশ্বাস ঘাতক উচ্চভিলাশী ঘুষখোর, মাদক সেবন ও বিক্রয়ের আশ্রয় দাতা কেন্দ্রীয় কৃষক দলের সভাপতি কৃষিবীদ হাসান জাফির তুহিনকে দল থেকে বহিষ্কারের দাবিতে কুষ্টিয়া জেলার বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতা কর্মীদের পক্ষ থেকে সাংবাদিক সম্মেলন করা হয়েছে।

গতকাল শুক্রবার (১৫ জুন) বেলা ৫টার সময় কুষ্টিয়া শহরের পাঁচ রাস্তার মোড় হোটেল স্বপ্নে কুষ্টিয়া জেলা বিএনপি এবং অঙ্গ সংগঠনের ও সর্বস্তরের নেতা কর্মীবৃন্দের ব্যানারে এ সাংবাদিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সম্প্রতি কুষ্টিয়াতে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের ঘটে যাওয়া অভ্যন্তরীণ কোন্দলের কারনে এবং কিছু নিয়ম বহির্ভূত সিদ্ধান্ত গ্রহণের বিষয়ে প্রতিবাদ এবং অবগতির বিষয়ে সাংবাদিক সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পড়ে শোনান কুষ্টিয়া জেলা বিএনপির সর্বস্তরের নেতা কর্মীদের পক্ষে কুষ্টিয়া জেলা কৃষকদলের সাবেক সহসভাপতি মোঃ বাবলা আমিন চৌধুরী।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন, কুষ্টিয়া পৌর জাতীয়তাবদী কৃষক দলের সাবেক সিনিয়র সহসভাপতি মোজাফ্ফর মন্ডল, কুষ্টিয়া পৌর জাতীয়তাবদী কৃষক দলের সহসভাপতি মোঃ শহিদুল ইসলাম, কুষ্টিয়া পৌর জাতীয়তাবদী কৃষক দলের সাবেক সাধারন সম্পাদক এসআই স্বাধীন জোয়ার্দ্দারসহ দলের অন্যান্য নেতৃবৃন্দ। লিখিত বক্তব্যে কুষ্টিয়া জেলা কৃষকদলের সাবেক সহসভাপতি মোঃ বাবলা আমিন চৌধুরী বলেন, কুষ্টিয়া জেলায় বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের ঐতিহ্য বিদ্যমান। কিন্তু সম্প্রতি মোটা অংকের অর্থের বিনিময়ে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী কৃষক দলের কুষ্টিয়া জেলা শাখার একজন চিহ্নিত মাদক সেবনকারী ও কারবারীকে আহবায়ক করায় এবং জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলে মাদকাসক্তকে সাধারণ সম্পাদক করায় জেলা জুড়ে দলিয় নেতাকর্মী এবং সাধারণ মানুষের মধ্যে বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে।

যার ফলে, গত ৭ জুন জেলা কৃষক দলের কর্মি সভাকে কেন্দ্র করে কুষ্টিয়াতে বিএনপি ও অঙ্গ সহযোগি সংগঠনগুলি দ্বিধা বিভক্তি হয়ে পড়েছে। এক দিকে মাদক সেবনকারী কারবারী এবং অনুপ্রবেশকারী চক্র এবং ১৯৯৬ সালে দলের মনোয়ন না পেয়ে স-দল বলে দলের বিরুদ্ধে নির্বাচন করা একটি গ্র“প এবং দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বকে চ্যালেঞ্জ করা একটি চক্র এবং অন্যদিকে মাদক বিরোধী এবং দলের ত্যাগি নেতাকর্মী এবং সাবেক ছাত্র নেতাদের পক্ষের সমাবেশ ডাকায় আইন শৃঙ্খলা রক্ষায় প্রশাসন ১৪৪ ধারা জারী করে। সম্প্রতী কৃষক দলের কেন্দ্রীয় সভাপতি কৃষিবিদ হাসান জাফির তুহিন মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে দেশের বিভিন্ন জেলায় কমিটি দিচ্ছে বলে জানা যায়।

সেই সাথে কৃষিবিদ হাসান জাফির তুহিন গত আন্দোলনে দলের সাথে বিশ্বাস ঘাতকতা করেছে বলেও সারা দেশের কৃষক দলের নেতা কর্মিরা মনে করে। সেই সাথে আমরা মনে করি যে, কুষ্টিয়া জেলায় একটি চক্র বিএনপির অভ্যন্তরে অচল অবস্থা সৃষ্টির পায়তারা করছে এবং অর্থের বিনিময়ে দলের অভ্যন্তরে কোন্দল সৃষ্টি করে বিএনপিকে দুর্বল করতে চাইছে। তার ধারাবাহিকতায় কুটিয়াতে বিএনপির তিন নেতা কেন্দ্রীয় কৃষক দলের সহ সাংগঠনিক এস.এম গোলাম কবির, কুষ্টিয়া জেলা কৃষক দলের সাবেক সাধারন সম্পদক মোঃ মোকারম হোসেন মোকা, সাবেক সহ-সভাপতি মোঃ বাবলা আমিন চৌধুরীকে বিনা কারনে বহিষ্কার করা হয়েছে। সাংবাদিক সম্মেলনে কুষ্টিয়া জেলা কৃষকদলের সাবেক সহসভাপতি মোঃ বাবলা আমিন চৌধুরী আরো বলেন, সম্প্রতি কুষ্টিয়াতে তিনজন বিএনপি নেতাকে জাতীয়তাবাদী কৃষক দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। তাদের একজন এস.এম গোলাম কবির।

তিনি দলের একজন ত্যাগী ও পরিক্ষীত নেতা, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার প্রতি আস্থাভাজন এবং বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন দেশ নায়ক তারেক রহমানের প্রতি আস্থাশিল। তিনি কুষ্টিয়ার রাজনীতিতে একজন পরিচ্ছন্ন জনপ্রিয় ব্যক্তি ও একজন সাবেক ছাত্রনেতা। যিনি সফলতার সাথে তার উপর অর্পিত দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৯৬/৯৯ সফলতার সাথে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের ইবি শাখার দায়িত্ব পালন করেন। ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে ডায়রী আন্দোলন নেতৃত্ব দেন এবং কারাবরন করেন। তিনি সফল ভাবে কুষ্টিয়া জেলা কৃষকদলের সভাপতির দায়িত্ব এবং কেন্দ্রীয় কৃষক দলের সহসংগাঠনিক সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন।

তার রাজনৈতিক সফলতায় ঈর্ষানীত হয়ে কতিপয় স্বার্থানেশী মহল তাকে বিতর্কীত করার অপচেষ্টায় লিপ্ত হয়েছে। আমরা কুষ্টিয়া জেলা বিএনপি ও অঙ্গ সহযোগি সংগঠনের পক্ষ থেকে কেন্দ্র কৃষক দল কর্তৃক অনিয়মতান্ত্রিক ও অগঠন তান্ত্রিক সিদ্ধান্তকে ঘৃণা ভরে প্রত্যক্ষান করছি এবং কেন্দ্রীয় কৃষক দলের সভাপতি কৃষিবীদ হাসান জাফির তুহিন দলের সাথে বিশ্বাস ঘাতকতা, আন্দোলনে ব্যর্থ, ঘুষ খোর দলের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টিকারী ব্যক্তি সম্পর্কে সকলকে সচেতন থাকার অনুরোধ করছি। এমতাবস্থায় আমরা কুষ্টিয়া বিএনপির সর্বস্তরের নেতা কর্মিদের পক্ষ থেকে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন তারেক রহমানের নিকট আমাদের দাবী উপস্থাপন করছি।

অবিলম্বে দলে বিভেদ সৃষ্টিকারী বিশ্বাসঘাতক, আন্দোলনে পলায়নকারী, রাজশাহীতে দলের চেয়ার পারসন, কারাগারে থাকা অবস্থায় এবং ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন বিদেশে থাকাবস্থায়, লাল গালিচা সংবর্ধনা গ্রহণকারী উচ্চ বিলাশী, ঘুষখোর কৃষিবিদ হাসান জাফির তুহিনের বহিষ্কার দাবী করছি।

কুষ্টিয়া জেলা বিএনপিতে আর্থের বিনিময়ে ছাত্রদল, যুবদল, কৃষকদল স্বেচ্ছাসেবকদদের বিভেদ সৃষ্টি করে দলকে যারা দুর্বল করছে তাদের বিরুদ্ধে অবিলম্বে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

সাবেক ছাত্রনেতা ব্যাতিত দলে অনুপ্রবেশকারী ভিন্ন দলের কর্মিদের প্রাধান্য দিয়ে কোন কমিটি না করা। সেই সাথে কে›ন্দ্রীয় বিএনপি এবং কুষ্টিয়া প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষন করতে চাই। কৃষিবীদ হাসান জাকির তুহিন দিশা, টাওয়ারে অবস্থান কালে কিছু গোপন বৈঠক করেন। ঐ সকল বৈঠকে দলেল অভ্যান্তরে কোন্দল সৃষ্টি ও ষড়যন্ত্রের বহিঃপ্রকাশ। বিষয়টির যথাযথ তদস্ত প্রয়োজন বলে আমরা মনে করি। উল্লেখ্য, কুষ্টিয়া জেলা কৃষকদলের সাবেক সাধারন সম্পদক মোঃ মোকারম হোসেন মোকা স্বাক্ষরিত লিখিত বক্তব্যটি পড়ে শোনান কুষ্টিয়া জেলা বিএনপির সর্বস্তরের নেতা কর্মীদের পক্ষে কুষ্টিয়া জেলা কৃষকদলের সাবেক সহসভাপতি মোঃ বাবলা আমিন চৌধুরী।