রঞ্জুউর রহমান ॥ কুষ্টিয়ায় নিয়োগে ঘুষ বাণিজ্য ও প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত আনসাদের ডিউটি না দিয়ে হুমকি ও দুনীর্তির প্রতিবাদে মানববন্ধনগতকাল রবিবার ১৯মে সকাল এগারোটাই কুষ্টিয়া ডিসি অফিস চত্বরে, কুষ্টিয়া সদর উপজেলা আনসার ও ভিডিপি কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান এর নির্বাচনী ডিউটিতে আনসার নিয়োগে ঘুষ বাণিজ্য ও প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত আনসাদের ডিউটি না দিয়ে হুমকি ও দুনীর্তির প্রতিবাদে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধনে উপস্থিত ভুক্তভোগী আনসার ও ভিডিপি সদস্যরা বলেন, গত ৭ মে সমাপ্ত কুষ্টিয়া সদর উপজেলা নির্বাচনে আনসার নিয়োগের জন্য আমরা গত ২২-০৪-২৪ বটতৈল আনসার ক্যাম্পে প্রথম আমাদের বাছাই অনুষ্ঠিত হয়, এ দিন যারা আমরা আনসার ভিডিপি সদস্য যোগ্য বিবেচিত হয় এবং যাদের আনসার স্মার্ট কার্ড আছে তাদের কাগজপত্র জমা দেই মোস্তাফিজ স্যার এর কাছে। এরপর ২৫-০৪-২৪ আবারও সাছাই অনুষ্ঠিত হয় ও কাগজপত্র জমা নেন স্যার। দুইদিন বাছাইয়ের সময় ১০০ থেকে ১৫০ জন আনসার ও ভিডিপি সদস্য হাজির ছিল। কিন্তু ডিউটি করেন ২০৪০ জন আনসার এবং ৭-৫-২৪ তারিখে ডিউটির জন্য আমাদের কুষ্টিয়া মডেল খানায় আসতে বলেন মোস্তাফিজ স্যার। আমরা ধানায় আসলে আমাদের কাছে মোস্তাফিজ স্যার আমাদের প্রত্যেকের কাছ থেকে ১৫০০/ টাকা করে দিতে বলেন এবং জানান টাকা না দিলে আমাদের ডিউটি হবে না। যারা টাকা দেবে শুধু তাদেরই ডিউটি হবে। আমরা টাকা দিতে না পারায় আমাদের ডিউটি দেন নি আর যারা টাকা দিয়েছে তাদের নির্বাচনে ডিউটি দিয়েছেন।এছাড়াও মোস্তাফিজুর রহমান স্যার আমাদের ডিউটি না দিয়ে, ঘুষ নিয়ে তার নিজ উপজেলা দৌলতপুর ও ভেড়ামারা থেকে লোক এনে সদর থানায় ভোটের ডিউটি করিয়েছেন। আরো অপ্রশিক্ষিত আনসারদের পিসি এপিসি করে হাতে শর্টগান অস্ত্র তুলে দেন। স্যার নির্বাচনী ডিউটির জন্য আমরা দুইদিনের বাছাইতে টিকে সকল কাগজপত্র জমা দেই এবং মোস্তাফিজ স্যারের নির্দেশে নির্বাচনের আগের দিন থানায় ডিউটির জন্য হাজির হই। এরপর স্যার এর চাহিদামত ঘুষের টাকা দিতে না পারায় সারাদিন খানায় বসিয়ে রেখে ডিউটি না দিয়ে চরম খারাপ ব্যবহার ও হুমকি দিয়ে তাড়িয়ে দেয়। এখ আবার মামলা ও আমাদের আনসার সদস্যপদ বাতিল করার হুমকি দিচ্ছেন।
