কুষ্টিয়ায় নিজ অফিস থেকে মাদক ও দেশী অস্ত্রসহ স্থানীয় যুবলীগ নেতা আটক - কুষ্টিয়া জিলাইভ | truth alone triumphs

কুষ্টিয়ায় নিজ অফিস থেকে মাদক ও দেশী অস্ত্রসহ স্থানীয় যুবলীগ নেতা আটক

লেখক: প্রতিবেদক ঢাকা
প্রকাশ: ডিসেম্বর ১৩, ২০২৩
কুষ্টিয়ায় নিজ অফিস থেকে মাদক ও দেশী অস্ত্রসহ স্থানীয় যুবলীগ নেতা আটক

নিজ সংবাদ ॥ বুধবার (১৩ ডিসেম্বর) দুপুর আনুমানিক দেড়টার দিকে কুষ্টিয়া পৌরসভার ১৪ নং ওয়ার্ডের সবজি ফার্মপাড়া থেকে ১৪ বোতল ফেনসিডিল, ২টা কাঠের তৈরি লাঠি, ২ টা কাঠের তৈরি হাতুড়ী এবং ২ টা বড় হাসুয়া সহ তিন জনকে আটক করেছে কুষ্টিয়া ডিবি পুলিশ।

কুষ্টিয়ায় নিজ অফিস থেকে মাদক ও দেশী অস্ত্রসহ স্থানীয় যুবলীগ নেতা আটক

কুষ্টিয়ায় নিজ অফিস থেকে মাদক ও দেশী অস্ত্রসহ স্থানীয় যুবলীগ নেতা আটক

কুষ্টিয়ায় নিজ অফিস থেকে মাদক ও দেশী অস্ত্রসহ স্থানীয় যুবলীগ নেতা আটক

আটককৃতরা হলেন, কুষ্টিয়া পৌরসভার ১৪ নং ওয়ার্ড যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক হাফিজুল ইসলাম হাফিজ (৪০)। সে কুষ্টিয়া পৌরসভার ১৪ নং ওয়ার্ডের আসমত আলী বিসু প্রমানিকের ছেলে। আটককৃত অপর দুই জন হলেন, কুষ্টিয়া পৌরসভার পূর্ব মজমপুরের মৃত অলিউল্লাহর পুত্র সাদিকুর রহমান জিল্লু (৩৫) এবং মৃত আবুল কাশেম’র পুত্র রাজু আহম্মেদ (৩৫)।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ঘটনা স্থলে উপস্থিত সাংবাদিকদের সাথে যুবলীগের নামধারী নেতা কর্মিরা পুলিশের উপস্থিতিতে খারাপ আচরণ করেন। ঘটনার সময় সাংবাদিকদের অফিসের ভিতরে প্রবেশ করতে দেওয়া হয় নাই। তবে শুনেছি বিপুল পরিমান ফেনসিডিল ছিলো অফিসের মধ্যে। এছাড়াও অফিসের ভিতর থেকে দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করে নিয়ে গেছে পুলিশ।

তবে স্থানীয় দৈনিক পত্রিকার কয়েকজন প্রতিনিধি সেখানে ছবি ও ভিডিও ধারণ করতে গেলে তাদের বাঁধা দেন কয়েকজন যুবক এবং তা দেখা গেছে এষড়নধষ ঘবংি ফেসবুক পেজ গোপনে লইভে। সেই লাইভে দেখা যায় লাইভকারি একাধিকবার জব্দকৃত মালামাল দেখতে চাচ্ছেন, তবে কেউ তা দেখাচ্ছেন না। সেখানে কয়েকজন স্থানীয় পত্রিকার রিপোর্টারকে ছবি ও ভিডিও ধারণ করতে বাধাগ্রস্ত করা হচ্ছে। যেই গাড়িতে উদ্ধারকৃত আলামত ও আসামিদের আনা হয় সেই গাড়ির নম্বর ঢাকা মেট্রো-চ ৫৩-১২২২।

জানা যায়, জুগিয়া সবজি ফার্মপাড়া এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে ১৪নং ওয়ার্ড যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক হাফিজুর রহমানের একটি অফিস রয়েছে। যদিও এলাকাবাসী বলছেন এই অফিস ওয়ার্ড যুবলীগের কর্যালয় বলে চললেও এখানে দীর্ঘদিন ধরে মাদকের ব্যবসা চলে। এর আগেও এখানে ওয়ার্ড কাউন্সিলরের লোকজনের সাথে হাফিজুরের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। ওয়ার্ড কাউন্সিলর মাদক ব্যবসা বন্ধ করতে বলায় এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে বলে এলাকাবাসী সুত্রে জানা গেছে।

কুষ্টিয়া পৌর ১৪নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর (প্যানেল মেয়র-১) শাহিন উদ্দিন জানান, ওয়ার্ড যুবলীগের কার্যালয়ের আড়ালে ওই অফিসে মাদকের ব্যবসা চলে দীর্ঘদিন ধরে। নিষেধ করায় ইতিপূর্বে একবার সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, ১৪ নং ওয়ার্ডের যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক হাফিজুল ইসলাম হাফিজ, সদর উদ্দিনের পুত্র মেহেদী হাসান মানিক (৪০) যিনি ১৪ ওয়ার্ড যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক এবং মৃত আনারুল মালিথার পুত্র মাসুম মালিথা (৫০) তিনি ১৪ ওয়ার্ড যুবলীগের সহ-সভাপতি। এই তিন জন মিলে দীর্ঘ দিন ধরে জুগিয়া সরদার পাড়া এলাকা সহ আশে পাশের এলাকায় মাদকের সিন্ডিকেট পরিচালনা করে আসছে । এলাকাবাসী বিভিন্ন সময় নিষেধ করলেও তাতে কোন কাজ হয়নি। আবার দলীয় পদ পদবী থাকার কারণে অনেকেই তাদের বিরুদ্ধে মুখ খুলতে সাহস পান না।

কুষ্টিয়া জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক জিয়াউল ইসলাম স্বপন এর মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, জুগিয়া ওই এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বিরোধ চলে আসছে। যুবলীগের কার্যালয়ে অনেকেই আসেন। এখন দেখতে হবে তাকে ফাঁসানো হচ্ছে কিনা। যদি সে সত্যিকারের অপরাধী হয়ে থাকে তবে তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এই বিষয়ে জানতে চাইলে কুষ্টিয়া জেলা যুবলীগের সভাপতি রবিউল ইসলাম, মাদকের বিষয়ে কোন আপোষ বা সুপারিশ নাই। কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এই বিষয়ে জানতে কেন্দ্রীয় যুবলীগের যুগ্ম সম্পাদক সুব্রত পাল’র মুঠো ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন রিসিভ না করায় যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
জানতে চাইলে কেন্দ্রীয় যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সোহাগ বলেন, কেউ মাদক ব্যবসার সাথে জড়িত থাকলে তাকে ছাড় দেওয়া হবে না। যুবলীগে এই ধরণের ব্যক্তি কোন জায়গা নেই। সংগঠনের নিয়ম অনুযায়ী তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।