কুষ্টিয়ায় ডায়াবেটিস সচেতনতা দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা - কুষ্টিয়া জিলাইভ | truth alone triumphs

কুষ্টিয়ায় ডায়াবেটিস সচেতনতা দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা

লেখক: প্রতিবেদক ঢাকা
প্রকাশ: ফেব্রুয়ারি ২৯, ২০২৪

নিজ সংবাদ \\ কুষ্টিয়ায় ডায়াবেটিস সচেতনতা দিবস ২০২৪ উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল বুধবার (২৮  ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০ টায় কুষ্টিয়া ডায়াবেটিস হাসপাতালে প্রাঙ্গণে ডায়াবেটিক সমিতি ও মুজিবুর রহমান মেমোরিয়াল ডায়াবেটিক হসপিটাল এর সহযোগিতায় আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।  উক্ত অনুষ্ঠানে কুষ্টিয়া ডায়াবেটিক সমিতির সভাপতি মতিউর রহমান লাল্টু এর সভাপতিত্বে, প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট কুষ্টিয়া মোঃ আব্দুল ওয়াদুদ এবং  প্রধান বক্তা হিসাবে বক্তব্য প্রদান করেন, প্রখ্যাত হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ও সার্জন প্রফেসর ডাঃ এস.আর.খান। এছাড়াও বিশেষ অতিথি ছিলেন,  প্রফেসর ও কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ  ডাঃ এস.এম মুসতানজীদ, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় কুষ্টিয়ার পাবলিক রিলেসন্স ডিজিশন এর পরিচালক ড. আমানুর আমান। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন, কুষ্টিয়া ডায়াবেটিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোঃ মোশফিকুর রহমান টরলিন। প্রধান বক্তার হিসাবে বক্তব্য প্রদান কালে ডাঃ এস.আর.খান বলেন, ডায়াবেটিস প্রধানত টাইপ-ওয়ান ও টাইপ-২, এই দুইভাবে আমরা ভাগ করি। আমাদের দেশে ৯৫ শতাংশ রোগী টাইপ-২ ধরনের। টাইপ-ওয়ান হচ্ছে যাদের শরীরে একেবারেই ইনসুলিন তৈরি হয় না। তাদের ইনসুলিন বা পুরোপুরি ওষুধের ওপর নির্ভর করতে হয়। সেজন্য সবসময় চিকিৎসকের পরামর্শে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। তবে টাইপ-২ ধরনের ক্ষেত্রে আগাম সতর্কতা অবলম্বন করে রাখলে ৭০ শতাংশ ক্ষেত্রে ডায়াবেটিস ঠেকিয়ে রাখা বা বিলম্বিত করা সম্ভব। ডায়াবেটিস রোগ প্রতিরোধ বিষয়ে আলোকপাত করে ডাঃ এস.আর.খান বলেন, প্রতিদিন এক ঘণ্টা হাঁটুন, জীবন যাপনে নিয়ন্ত্রণ আনুন, ধূমপান ও মদ্যপান ছেড়ে দিন, রক্তে চিনির মাত্রার ওপর নজর রাখুন, মিষ্টি পরিহার করুন এবং প্রতি মাসে একবার রক্তের সুগারের পরিমাণ পরীক্ষা করুন। অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ আব্দুল ওয়াদুদ বলেন, বিশ্বে প্রতি সাত সেকেন্ডে একজন করে ডায়াবেটিস রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। বর্তমানে বাংলাদেশের ডায়াবেটিস রোগীর সংখ্যা ৮৪ লক্ষের বেশি এবং বিশ্বে ডায়াবেটিস রোগীর সংখ্যা সাড়ে ৪২ কোটি। বিশে^ যেভাবে ডায়াবেটিস রোগীর সংখ্যা বাড়ছে আশঙ্কা আছে ২০৩৫ সালে মধ্যে এই সংখ্যা ৫৯ কোটিতে পৌঁছাবে। তাই আমাদের এই রোগ থেকে পরিত্রাণ পেতে হলে এখন থেকে পরিমিত খাদ্য অভ্যাস ও নিয়মতান্ত্রিক জীবন যাপনে অভ্যাস গড়তে তুলতে হবে।