নিজ সংবাদ ॥ প্রতি শীতেই গ্রাম বাংলার ঘরে ঘরে শুরু হয় পিঠা পুলির উৎসব। বাঙালির হাজার বছরের ঐতিহ্যবাহী সংস্কৃতির সঙ্গে মিশে আছে পিঠা। আর সেই ঐতিহ্যকে ধরে রাখতেই কুষ্টিয়া কুনাউ (কুষ্টিয়া নারী উদ্যোক্তা) সংগঠনটি প্রতিবছর পিঠা উৎসবের আয়োজন করে থাকে। প্রতি বছরের মতো কুষ্টিয়ায় এবারও কুনাউ এর উদ্যোগে পিঠা উৎসবের আয়োজন করা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) বিকেল ৪ টায় কুষ্টিয়া পাবলিক লাইব্রেরীর মাঠে ৪ দিনের পিঠা উৎসবের উদ্বোধন করা হয়েছে। কুনাউ এর এডমিন জ্যোতি আক্তার এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কুষ্টিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শিহাবুর রহমান, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, কুষ্টিয়া সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের নির্বাহী সদস্য আব্দুর রাজ্জাক বাচ্চু, সংগঠনটির উপদেষ্টা মোঃ গোলাম ফারুক, উপদেষ্টা সদস্য জীবন হাসান বাবু, এডমিন খাইরুল বাশার তৌহিদ।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে আব্দুর রাজ্জাক বাচ্চু বলেন, বর্তমানে মেয়েরা ঘরে বসে থাকে না, তাদের মেধা আছে তারাও মেধা দিয়ে সারা পৃথিবীকে জয় করেছে। কুষ্টিয়া নারী উদ্যোক্ত সংগঠনটিও অনেক এগিয়েছে, তারা সবাই উদ্যোক্তা, এই অনুষ্ঠানে পিঠা সহ বিভিন্ন রকমের স্টল বসেছে, প্রতিটি স্টলেই তাদের নিজেদের প্রডাক্ট রয়েছে। এই সংগঠনের অগ্রযাত্রাকে অনুসরণ করে প্রতিটি মেয়েরই উদ্যোক্তা হয়ে স্বাবলম্বী হওয়া উচিত বলে আমি মনে করি। প্রাণের টানে ছুটে আসা সর্বস্তরের মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে মুখরিত হয়ে ওঠেছে উৎসবস্থল। শীতের পিঠা-পুলিসহ নানা বৈচিত্র্যময় পিঠার পসরা সাজিয়ে উৎসবে আগত দর্শনার্থীদের মনোযোগ কেড়েছে পিঠা উৎসবে অংশ নেয় স্টলগুলো। সেই পসরায় মুগ্ধ হয়ে স্টলে স্টলে পিঠা খেতে ভিড় জমিয়েছেন সকল বয়সের মানুষ। পিঠা ছড়াও থ্রি পিস, বিভিন্ন ধরনের খাবার, নকশি কাঁথাসহ মেয়েদের পার্স ব্যাগের ইস্টল বসেছে। মেলাই মোট ৩৮ টি বিভিন্ন পণ্য সামগ্রীর সমাহার দেখা যায়। তিন দিনব্যাপী এ উৎসবের অংশ হিসেবে প্রতিদিন সকাল থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত পিঠা উৎসব চলবে। পাশাপাশি উৎসবস্থলের মঞ্চে অনুষ্ঠিত হচ্ছে নাচ, গান, আবৃত্তিসহ নানা ধরনের সাংস্কৃতিক কার্যক্রম। এতে বিভিন্ন শিল্পীদের পাশাপাশি অংশ নিচ্ছেন সময়ের সম্ভাবনাময় ও প্রতিশ্রুতিশীল শিল্পীরা। আগামী সোমবার শেষ হবে এ অনুষ্ঠান।
