কুষ্টিয়ায় ওয়ার্ড যুবলীগের অফিসে মাদক ব্যবসার অভিযোগ - কুষ্টিয়া জিলাইভ | truth alone triumphs

কুষ্টিয়ায় ওয়ার্ড যুবলীগের অফিসে মাদক ব্যবসার অভিযোগ

লেখক: প্রতিবেদক ঢাকা
প্রকাশ: ডিসেম্বর ১৫, ২০২৩
কুষ্টিয়ায় ওয়ার্ড যুবলীগের অফিসে মাদক ব্যবসার অভিযোগ

কুষ্টিয়ায় যুবলীগের ১৪নং ওয়ার্ড যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক হাফিজুল ইসলাম হাফিজের ব্যক্তিগত অফিসের আড়ালে মাদক ব্যবসার অভিযোগ উঠেছে। ওই অফিসে বসে সংগঠনের কয়েকজন নেতা নিয়মিত মাদক সেবন করেন বলেও অভিযোগ।

কুষ্টিয়ায় ওয়ার্ড যুবলীগের অফিসে মাদক ব্যবসার অভিযোগ

কুষ্টিয়ায় ওয়ার্ড যুবলীগের অফিসে মাদক ব্যবসার অভিযোগ

কুষ্টিয়ায় ওয়ার্ড যুবলীগের অফিসে মাদক ব্যবসার অভিযোগ

ওয়ার্ড যুবলীগের সহ-সভাপতি মেহেদি হাসান মানিকের ফেনসিডিল হাতে ধরা ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। এছাড়া গত বুধবার ওই অফিস থেকে ১৮ বোতল ফেনসিডিলসহ ৩ জনকে আটক করেছে জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ।

কুষ্টিয়া পৌর ১৪নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর (প্যানেল মেয়র-১) শাহিন উদ্দিন জানান, শহরের জুগিয়াা সবজি ফার্ম এলাকায় ওয়ার্ড যুবলীগের কার্যালয়ের আড়ালে মাদকের ব্যবসা চলে দীর্ঘদিন ধরে। এর প্রতিবাদ করতে গিয়ে একাধিকবার হামলার শিকার হয়েছেন স্থানীয়রা।

এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, ১৪নং ওয়ার্ডের যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক হাফিজুল ইসলাম হাফিজ, সহ-সভাপতি মেহেদী হাসান মানিক (৪০) ও মাসুম মালিথা (৫০) মিলে দীর্ঘ দিন ধরে জুগিয়া সরদার পাড়া এলাকা সহ আশে পাশের এলাকায় মাদকের সিন্ডিকেট পরিচালনা করে আসছে। এলাকাবাসী বিভিন্ন সময় নিষেধ করলেও তাতে কোন কাজ হয়নি। আবার রাজনৈতিক দলের নেতা হওয়ার কারণে অনেকেই তাদের বিরুদ্ধে মুখ খুলতে সাহস পান না।

গত বুধবার দুপুরের দিকে গোপন খবর পেয়ে গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল ওই অফিসে অভিযান চালায়। এ সময় সেখান থেকে ১৮ বোতল ফেনসিডিল, হাসুয়া, হাতুড়িসহ দেশীয় অস্ত্র পাওয়া গেছে। মাদকবিক্রির দায়ে পুলিশ আসমত আলী বিসুর পুত্র ওয়ার্ড যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক হাফিজুল ইসলাম হাফিজ (৪০), শহরের পূর্ব মজমপুরের মৃত অলিউল্লাহর পুত্র সাদিকুর রহমান জিল্লু (৩৫) এবং মৃত আবুল কাশেমের পুত্র রাজু আহম্মেদকে (৩৫) প্রেফতার করে। এদিকে ওয়ার্ড যুবলীগের সহ-সভাপতি মেহেদি হাসান মানিকের ফেনসিডিল হাতে ধরা ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। মানিক এই মাদক ব্যবসার অন্যতম হোতা বলে জানা গেছে।

কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) পলাশ কান্তি নাথ বলেন, ‘যুবলীগ নেতাসহ ৩ জনকে মাদকসহ আটক করা হয়েছে। এছাড়া কয়েকটি হাতুড়ি ও কাঁচি পাওয়া গেছে। মাদক রাখার অপরাধে মামলা দায়ের করা হয়েছে ধৃতদের বিরুদ্ধে। কয়েক মাস আগে মাদক বিক্রির সময় এলাকার লোকজন তাকে ধাওয়া দেন। এ সময় হাফিজুলের অনুগতরা কয়েকজনকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে আহত করে।

পরে এলাকাবাসী ধাওয়া দিয়ে হাফিজুলকে গণধোলাই দিলে হাসপাতালে ভর্তি হয়। এরপর সে হাসপাতাল থেকে সুস্থ হয়ে ফিরে আবার মাদক ব্যবসা শুরু করে। কুষ্টিয়া জেলা যুবলীগের সভাপতি রবিউল ইসলাম বলেন, মাদকের বিষয়ে কোন আপোষ নেই। দলের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। হাফিজুলের বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময় মাদক ব্যবসার অভিযোগ রয়েছে বলেও জানান তিনি।