কুষ্টিয়াতে শীত বাড়ার সাথে সাথে বাড়ছে গরম কাপড়ের চাহিদা - কুষ্টিয়া জিলাইভ | truth alone triumphs

কুষ্টিয়াতে শীত বাড়ার সাথে সাথে বাড়ছে গরম কাপড়ের চাহিদা

লেখক: প্রতিবেদক ঢাকা
প্রকাশ: ডিসেম্বর ২৯, ২০২৩

গত কয়েক দিন ধরে কুষ্টিয়া সহ সারাদেশে শীতের তীব্রতা বেড়েছে। আর সেই সঙ্গে বাড়ছে গরম কাপড়ের চাহিদা। কুষ্টিয়ায় শীত বাড়ার সাথে সাথে ফুটপাতের দোকান গুলোতে ক্রেতাদের উপচে পড়া ভীড় দেখা গেছে। এছাড়াও লাভলী টাওয়ার ও পরিমল টাওয়ার সহ শহরের বিভিন্ন ব্রান্ডের দোকান গুলোতে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক ক্রেতা লক্ষ করা গেছে।

কুষ্টিয়াতে শীত বাড়ার সাথে সাথে বাড়ছে গরম কাপড়ের চাহিদা

বৃহঃবার (২৮ ডিসেম্বর) সরেজমিনে, কুষ্টিয়ার বড় বড় শপিং মল থেকে শুরু করে ফুটপাতের দোকান সব খানেই ক্রেতাদের ভিড়। বিশেষ করে জেলার স্বল্প আয়ের মানুষেরা শীত নিবারণের জন্য গরম কাপড় কিনতে ফুটপাতের দোকানগুলো বেছে নিচ্ছেন।

নতুন শীতবস্ত্রের তুলনামূলক পুরানো শীতবস্ত্রের কম দাম হওয়ায় পুরানো কাপড়ের দোকানের দিকে ক্রেতারা বেশি ঝুঁকছেন। কুষ্টিয়া জেলার বিভিন্ন হাট-বাজারগুলোতে শীতের পোশাক আমদানি ও বেচাকেনা জমতে শুরু করেছে। তবে অন্যান্য জিনিসের দাম বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে বেড়েছে পোশাকের দামও। যা নিয়ে শীতবস্ত্র কিনতে আসা ক্রেতাদের রয়েছে নানান অভিযোগ। দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম কাপড়ের হাট পোড়াদহের ব্যবসায়ীরাও এই মৌসুমে শীতের কাপড় বিক্রি শুরু করেছেন।

কয়েকদিন ধরে বেচা-বিক্রি বেশ ভালো হচ্ছে বলেই তারা জানিয়েছেন। কুষ্টিয়া শহরস্থ এনএস রোডের পাবলিক লাইব্রেরি, কোর্টস্টেশন, কুষ্টিয়া হাইস্কুল সামনের ফুটপাত ও মার্কেট, বঙ্গবন্ধু সুপার মার্কেটের সামনে, বড় বাজার রেলগেটের ফুটপাতে এসব পুরোনো পোশাকের ক্রেতা ও বিক্রেতাদের চোখে পড়ছে সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত। এসব কাপড় ব্যবসায়ীরা ঢাকা ও চট্টগ্রাম সহ দেশের বিভিন্ন বড় বড় মোকাম থেকে থেকে শীতের কাপড় কিনে এনে বিক্রি করছেন। শপিং মল থেকে ফুটপাতের দোকান গুলোতে মূল্যে কম হওয়ার কারণে ফুটপাতের দোকান গুলোতে বেচাকেনা বেশ জমে উঠেছে। এসব দোকানগুলোতে ১০০ টাকা থেকে শুরু করে বিভিন্ন দামে মিলছে গরম কাপড়। কুষ্টিয়া ফায়ার সর্ভিসের সামনে শীতের কাপড় বিক্রি করেন হাবিব ও সুমন নামে দুই ব্যবসায়ী।

তারা জানান, ঢাকা ও চট্টগ্রাম থেকে গাট্টি ধরে এসব শীতের কাপড় নিয়ে আসেন তারা। গত বছরের তুলনায় এবারও গাট্টিপ্রতি বেশি টাকা গুনতে হচ্ছে। ফলে একটু দামও বেশি নিতে হচ্ছে। রহিম আলী নামে অপর বিক্রেতা জানান, ইতোমধ্যে বিভিন্ন স্থানে গরম কাপড়ের দোকানগুলো ক্রেতাদের ভিড়ে সরগরম হয়ে উঠেছে। সবাই স্বাচ্ছন্দে কিনছেন পছন্দের শীতের কাপড়। স্বল্প মূল্যের সোয়েটার, জ্যাকেট, মাফলার, কোর্ট, প্যান্ট ও কানটুপিসহ বিভিন্ন ধরনের শীতবস্ত্র মূল্য ক্রয় সীমার ভিতরে থাকার কারণে ক্রেতারাও খুশি। তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন, এ বছর এখনও তেমন শীতের তীব্রতা বাড়েনি। শীতের তীব্রতা বাড়লে গরম কাপড়ের ক্রেতা আরও বাড়বে।

ক্রেতা মোহাম্মদ সলিমুল জানান, গার্মেন্টের দোকানগুলোতে গরম কাপড়ের দাম বেশি। তাই নিম্নবিত্ত পরিবারের লোকেরা কম মূল্যের কাপড় কিনতে ফুটপাতের দোকান গুলোতে বেশি ভিড় জমান। ক্রেতা রিনা জানান, বড় বড় শপিং মলে দোকানে গরম পোশাকের দাম অনেক। আমাদের তো ভাই অত টাকা নাই। তাই কম টাকা দিয়ে কাপড় কিনতে ফুটপাতে দোকান গুলোতে আসি। আমার পরিবারে তিনটা ছেলে মেয়ে এখন যদি তাদের সবার জন্য গরম কাপড় কিনতে চাই তাহলে আমার অনেক টাকা খরচ হবে, কিন্তু টাকা পাবো কই। দামে মিললে কিনব, না হলে বাড়ি চলে যাব। গত বছর থেকে এই বছরের দামের পার্থক্য কেমন জানতে চাইলে তিনি জানান, গত বছর তুলনায় এই বছরে কাপড়ের দাম অনেক বেড়েছে।