কুমারখালী পৌরসভার ১ নং ওয়ার্ডের ফায়ার সার্ভিস স্টেশন সংলগ্ন এলাকা কুষ্টিয়া – রাজবাড়ী মহা সড়কে বছরের পর’ বছর ধরে বিভিন্ন ধরনের বর্জ্যের সাথে প্রতিদিন হাজার- হাজার পরিত্যাক্ত পলিথিন পড়ছে মহাসড়কের পাশে ফসলী জমিতে। এতে করে ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে ।

সেই সঙ্গে পৌর এলাকার বর্জ্যরে দুর্গন্ধের কারণে মহাসড়কের পাশে থাকা বিভিন্ন ধরনের গাছগুলো মরে গেছে। দুর্গন্ধে মানুষের চলাচল করতে হয় নাক ধরে নতুবা” নিঃশ্বাস বন্ধ করে। পথচারী ও এলাকাবাসীর অভিযোগ, কুষ্টিয়া কুমারখালী পৌরসভার ১ নং ওয়ার্ডের দুর্গাপুর গ্রাম। কুষ্টিয়া-রাজবাড়ী মহাসড়কের পাশে পৌরসভার ময়লার স্তুপ প্রচন্ড দুর্গন্ধে অতিষ্ঠ পথচারী এতে রোগ জীবানু ও মশা-মাছি বেড়ে চরম বিপাকে এলাকাবাসী ও পথচারিরা। সিএনজি চালক শাহিন আলম বলেন, দূর্গাপুর গ্রামের মাদারতলা নামক স্থানে এই রাস্তা দিয়ে হেটে বা যানবাহনে চলাচল করতে হয় নাক ধরে। দীর্ঘদিন যাবত বিভিন্ন গৃহস্থলীর বর্জ্য, গরু মরা, কুকুর মরা, ছাগল মরা, বাজারের মুরগি বর্জ্য এখানে রাখা হয়। এতে যেমন পরিবেশ দূষিত হচ্ছে পাশাপাশি রোগজীবাণু ছড়াচ্ছে। সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হচ্ছে শিশুরা। পথচারী আকমল হোসেন জানান, রাস্তায় ময়লা রাখার কারণে একদিকে রাস্তা নষ্ট হচ্ছে অন্যদিকে মানুষ চলাচল তো দূরের কথা যানবাহন চলাটাই তো কষ্টকর। ময়লার স্তরের পাশেই রয়েছে ফায়ার স্টেশন ও মানুষের বসবাসের স্থান। ময়লার দুর্গন্ধে অতিষ্ঠ হয়ে গেছে পথচারীরা । এলাকার মানুষের অভিযোগ, দরজা-জানালা খোলা তো দূরের কথা, দরজা বন্ধ রেখে থামানো যাচ্ছে না দুর্গন্ধ। দিন- দিন এই পথ দিয়ে মানুষ চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। দ্রুত পৌর মেয়র ব্যবস্থা না নিলে মানুষের ভোগান্তি আর শেষ থাকবে না বলে মনে করেন তারা। পৌরসভায় বর্জ্য নিষ্কাশনে অব্যবস্থাপনার ফলে যত্রতত্র ময়লা-আবর্জনায় পরিবেশ দূষিত হয়ে পড়ছে। পৌর শহরের ব্যবসায়ী ও বাসাবাড়ির নিত্যদিনের ময়লা-আবর্জনা ফেলায় পরিবেশ দূষণ ও নোংরা হচ্ছে। এ সব বর্জ্য অপসারণের কোনো ব্যবস্থা না থাকায় গন্ধে অতিষ্ঠ পথচারী ও এলাকাবাসী। পৌরসভার ১ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর এস,এম শাহিনুর রহমান শাহীন’র সাথে যোগাযোগ করা হলে তাকে পাওয়া যায়নি। কুমারখালী পৌরসভার বর্জ্য ব্যবস্থাপক পরিদর্শক জাহিদুল ইসলাম বলেন, শুধু পৌরসভার বর্জ্য নয় অন্য যায়গা থেকে এই বর্জ্য রাতের আঁধারে রাখা হচ্ছে এতে করে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। এই বিষয়ে জানতে কুমারখালী পৌরসভার মেয়র সামসুজ্জামান অরুণের মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন দিয়েও তাকে পাওয়া যায়নি।
