কুমারখালী টিসিবির পণ্য বিতরণ অনিয়ম দুর্নীতির অভিযোগে জনগণের বিক্ষোভের মুখে প্রশাসন ও ঠিকাদার - কুষ্টিয়া জিলাইভ | truth alone triumphs

কুমারখালী টিসিবির পণ্য বিতরণ অনিয়ম দুর্নীতির অভিযোগে জনগণের বিক্ষোভের মুখে প্রশাসন ও ঠিকাদার 

লেখক: প্রতিবেদক ঢাকা
প্রকাশ: জানুয়ারি ১২, ২০২৫

রাকিব হোসেন ॥ কুষ্টিয়ার কুমারখালী পৌরসভায় টিসিবির ভোগ্য পণ্য বিতরণে অনিয়ম দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। গতকাল শনিবার (১১ জানুয়ারি) সকালে পৌরসভার ১,২ ও ৩ নং ওয়াডে টিসিবি বিতরণের পূর্বে সাধারণ জনতা অভিযোগ তুলে বিক্ষোভ করে টিসিবি পণ্য বিতরণ বন্ধ করে। অভিযোগে জানান, সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী দীর্ঘদিন পণ্য বিতরণ করা হচ্ছে না। এ বিষয়ে প্রশ্ন করলে ঠিকাদার ও প্রশাসন কর্মী উত্তর দিতে পারে না। বিএনপি নেতা আব্দুস সামাদ খান পাখির হস্তক্ষেপে সমাধানযোগ্য আশ্বাস পেয়ে টিসিবি পণ্য বিতরণ করা হয়। বিএনপি নেতা আব্দুস সামাদ খান পাখি জানান, সকালে ঘুমিয়ে ছিলাম হঠাৎ সাধারণ জনতা আমার বাসার দরজা টানাটানি শুরু করে। তাদের দাবি সরকারি টিসিবির ভোগ্য পণ্য দীর্ঘদিন অনিয়ম হয়ে আসছে।

সাধারণ মানুষ বুঝতে না পারায় দীর্ঘদিন টিসিবির পণ্য অনিয়মে বিতরণ করা হচ্ছে পণ্য বুঝে পেতে দাবি জানান তারা। আমি জনগণের প্রতিনিধি হিসেবে সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী বরাদ্দের কাগজ দেখাতে চাইলে ঠিকাদার কাগজ পাতি দেখাতে অক্ষম হয়ে স্থানীয় উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসের সহকারী কে দেকে আনে। তিনি বিভিন্ন ভাবে আমাকে বোঝানোর চেষ্টা করে। সাধারণ জনগণের দাবি হিসেবে তাকে প্রশ্ন করলে তিনি উত্তর দিতে অক্ষম হয়। ডিলারের নির্ধারিত দোকান, নির্ধারিত যানবাহন থাকতে হবে বিষয়ে জানলে তিনি উত্তর দিতে পারেনা। পরবর্তীতে কুমারখালী উপজেলা নির্বাহী অফিসারের প্রতিনিধি হিসেবে উপজেলা কৃষি অফিসের কর্মী এসে পরবর্তীতে টিসিবি বিতরণের সময় অভিযোগ অবসান হবে বলে আশ্বস্ত করেন। এবং লিখিত অভিযোগ দিতে বলেন।

বিক্ষোভকারীরা জানান, আগে আমরা চাল, ডাল, চিনি, আটা, পিয়াজ, ছোলা ইত্যাদি পেয়েছি তবে এখন সুধু চাল ও ডাল দেওয়া হয় তাও নিম্নমানের। সরকারের কাছে আমাদের দাবি আমাদের জন্য বরাদ্দকৃত পণ্য আমাদের মাঝে সঠিকভাবে বিতরণ করা হোক। অনিয়ম-দূরনীতির কারণে দীর্ঘদিন আমরা সঠিকভাবে পণ্য বুঝে পাচ্ছি না আমাদের পণ্য আমাদেরকে বুঝে দেওয়া হোক। আমাদের সারাদিন রোদের মধ্যে লাইনে দাঁড়িয়ে টিসিবিরর পণ্য তুলতে হয়। ঠিকাদারের নির্ধারিত দোকান ও যান বহন কোনোটিই। আবার ঠিকাদারেরও ঠিক নেই। আমরা চাই নিয়ম অনুসারে সকল কার্যক্রম পরিচালিত হোক বৈষম্যের অবসান হোক সোনার বাংলাদেশ গড়ুক।

কুমারখালী প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিস সহকারী শিমুল ইসলাম বলেন, আপনাদের দাবি অনুযায়ী উদ্ধতন কর্মকর্তার কাছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার লিখবেন। আশা করছি পরবর্তীতে অন্যান্য জেলার যে পণ্য বিতরণ হবে তা আমরাও পাবো। কুমারখালী উপজেলা কৃষি অফিসের কর্মী আরিফুল ইসলাম বলেন, আপনাদের দাবি অনুযায়ী পণ্য আপনারা পাচ্ছেন না আজ এটা সমাধান সম্ভব নয় তবে ইউএনও স্যারের সাথে কথা হয়েছে আশা করি পরবর্তীতে আপনারা পণ্যগুলো বুঝে পাবেন।