কুমারখালী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনঃ নানা প্রতিশ্রুতি নিয়ে ভোটারদের দ্বারে দ্বারে প্রার্থীরা - কুষ্টিয়া জিলাইভ | truth alone triumphs

কুমারখালী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনঃ নানা প্রতিশ্রুতি নিয়ে ভোটারদের দ্বারে দ্বারে প্রার্থীরা

লেখক: প্রতিবেদক ঢাকা
প্রকাশ: মে ১৩, ২০২৪

মোশারফ হোসেন ॥ কুষ্টিয়া কুমারখালীতে  ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন কড়া নাড়ছে।  প্রার্থীরা নানা প্রতিশ্রুতি নিয়ে ছুটছেন ভোটারদের দ্বারে দ্বারে। বিজয় ছিনিয়ে আনতে মরিয়া হয়ে গণসংযোগ ও প্রচারের মাধ্যমে নির্বাচনী মাঠকে সরগরম করে তুলেছেন প্রার্থী ও তাদের কর্মী-সমর্থকরা। তবে নানা হিসাব নিকাশ ভোটারদের । অধিকাংশ ভোটারদের মধ্যে নেই ভোটের আমেজ। কুমারখালী শহরের বাসিন্দা, শরিকুল ইসলাম নামে এক যুবক বলেন, উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামীলীগের  মধ্যে দুই জন প্রার্থী হাওয়ায়। অন্য দলের মানুষের মধ্যে ভোট নিয়ে তেমন আগ্রহ নেই। ভোটারদের মধ্যে ভোট দেওয়ার প্রবণতা  দিন দিন কমছে। এদিকে নির্বাচন উপলক্ষে উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখার ঘোষণা উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুল মান্নান খানের। তিনি আনারস মার্কা প্রতীকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন এবার। তিনি বলেন , উপজেলাতে যে উন্নয়নযজ্ঞ চলছে, পুনরায় নির্বাচিত হলে সে ধারা অব্যাহত থাকবে বলে উপজেলা বাসী কে প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন তিনি।আমাদের উন্নয়নের  কাজ থেমে নেই। এই চলমান কাজ শেষ করতে পারলে উপজেলা আধুনিক নগরীতে পরিণত হবে। এই ধারা অব্যাহত রাখার জন্য তিনি সবার কাছে ভোটপ্রার্থনা করেন। গতকাল রবিবার বিকেলে  কুমারখালী উপজেলার সদকী ইউনিয়নে  গণসংযোগকালে তিনি এ প্রতিশ্রুতি দেন। আর এক  চেয়ারম্যান প্রার্থী সাবেক এমপি সুলতানা তরুনের ছেলে, গোলাম মোর্শেদ পিটার বলেন, আমি নির্বাচিত হলে উপজেলার  মসজিদ, মাদ্রাসা, মন্দির, এতিমখানা সহ  বসবাস উপযোগী শান্তির নগরীতে পরিণত হবে এই উপজেলা। এর জন্য প্রয়োজন আমূল পরিবর্তনের। দরকার ব্যাপক সংস্কারের। প্রয়োজন সমন্বিত উদ্যোগের। প্রয়োজন সৎ, যোগ্য নেতৃত্ব। এই জন্য মটরসাইকেল মার্কায় ভোট দিয়ে আমাকে জয়যুক্ত করুন। প্রার্থীরা নিজের জয়কে ছিনিয়ে নেওয়ার জন্যে  প্রতীক পাওয়ার পর থেকেই সকাল থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত প্রতিটি জনপদ ও ভোটারের বাড়ি বাড়ি চষে বেড়াচ্ছেন।বিন্দুমাত্র সময় নষ্ট করার ফুরসত নেই প্রার্থী ও কর্মীদের হাতে। নাওয়া-খাওয়া ছেড়ে নিজের পরিবারসহ কর্মীদের নিয়ে ছুটছেন সবাই ভোটারদের দ্বারে দ্বারে আর দিচ্ছেন হাজারও রকমের প্রতিশ্রুতি।উপজেলার সর্বত্রই জনসাধারণদের মাঝে সকাল থেকে সন্ধ্যারাত পর্যন্ত চলছে বিভিন্ন প্রার্থীদের নিয়ে আলোচনা। কুমারখালী উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে আব্দুল মান্নান খান  (আনারস) মার্কা প্রতিক, গোলাম মুর্শেদ পিটার (মটরসাইকেল) প্রতীক পেয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। ভাইস চেয়ারম্যান পদে রাসেল হোসেন (টিউবওয়েল) আবুল কালাম (টিয়া পাখি) মোঃ আমিরুল ইসলাম তুষার (মাইক) , মোঃ জিয়াদুল ইসলাম মিলন (চশমা) মোহাম্মদ আলী (তালা) প্রতীক পেয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে মোছাঃ মুক্তা খাতুন (কলস)  মৌসুমী আক্তার (ফুটবল) মেরিনা আক্তার মিনা (পদ্মফুল) মার্কা পেয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। কুমারখালী উপজেলায় ভোটার সংখ্যা ২ লাখ ৮৬ হাজার ৮ শ ২৯ জন। মহিলা ভোটার রয়েছে ১ লাখ ৪১ হাজার ৮ শ’ ৩১ জন ও পুরুষ ভোটার রয়েছে ১ লাখ ৪৪ হাজার ৯ শ’ ৯৫ জন। মোটা ১ শ’ টি কেন্দ্রে ৭৫৫ টি বুথে আগামি ২১ মে (মঙ্গলবার) ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। কুমারখালী সহকারী রিটার্নিং অফিসার আলমগীর হোসেন জানান, ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অবাধ সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করতে আমরা বাধ্য ?। এখন পর্যন্ত কোন অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। ছোটখাটো অভিযোগ পেয়েছি সেই গুলো তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।  এবার উপজেলাতে প্রায় একশোটি কেন্দ্র ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। সবাইকে নির্বাচনী বিধি মোতাবেক চলতে বলা হয়েছে নির্বাচন কমিশন থেকে। এর বাইরে গেলেই আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।