কুমারখালীর ৮ ঝুঁকিপূর্ণ ভোট কেন্দ্র সহ সকল ভোট কেন্দ্রই গুরুত্বপূর্ণ - কুষ্টিয়া জিলাইভ | truth alone triumphs

কুমারখালীর ৮ ঝুঁকিপূর্ণ ভোট কেন্দ্র সহ সকল ভোট কেন্দ্রই গুরুত্বপূর্ণ

লেখক: প্রতিবেদক ঢাকা
প্রকাশ: জানুয়ারি ৩, ২০২৪

কুষ্টিয়া-৪ (কুমারখালী-খোকসা) আসন কুমারখালী ও খোকসা দুইটি উপজেলা নিয়ে গঠিত। আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি এবং বাংলাদেশ জামায়েত ইসলামী সহ সমমাননা রাজনৈতিক দল গুলো নির্বাচনে অংশ গ্রহন না করায় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এবং তাদের দলীয় স্বতন্ত্র প্রার্থীদের মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের পূর্বাভাস পাওয়া যাচ্ছে।

কুমারখালীর ৮ ঝুঁকিপূর্ণ ভোট কেন্দ্র সহ সকল ভোট কেন্দ্রই গুরুত্বপূর্ণ

এই আসনে নির্বাচনী প্রতিদ্বন্দ্বীতায় এগিয়ে রয়েছেন আওয়ামী লীগ মনোনিত নৌকা প্রতীকে প্রার্থী সেলিম আলতাফ জর্জ এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসাবে ট্রাক প্রতীক নিয়ে লড়বেন সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান, জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও সাবেক সাংসদ আবদুর রউফ।

ধারনা করা হচ্ছে এই দুই জনের যে কেউ নির্বাচনে জয় লাভ করতে পারে। তবে ধারণা করা হয়, বিএনপি এবং বাংলাদেশ জামায়েত ইসলামী সহ সমমাননা রাজনৈতিক দল গুলো নির্বাচনে অংশ গ্রহন না করার ফলে ঐ সকল দলের সমর্থকদের ভোট ট্রাক প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী আবদুর রউফ’র ব্যালটে পড়বে। এছাড়াও আবদুর রউফ দীর্ঘ দিন ধরে রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত থাকার কারণে আওয়ামী লীগের কর্মি সমর্থকদের উল্লেখযোগ্য ভোটও তিনি পাবেন। যার প্রতিফলন দেখা গেছে ভোটের মাঠে। জেলা এবং উপজেলা আওয়ামী লীগের একাধিক নেতা কর্মি শুরু থেকে প্রকাশ্যে আবদুর রউফ’র নির্বাচনী সভা সমাবেশে যোগদান করছেন এবং তার পক্ষে হয়ে সাধারণ ভোটারদের দ্বারে দ্বারে গিয়ে ট্রাক প্রতীকে ভোট দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছেন। এদিকে দুই হেভিওয়েট প্রার্থীর বাড়ী একই উপজেলায় হওয়ার কারণে খোকসা উপজেলার তুলনায় কুমারখালী উপজেলায় ভোটের উত্তাপ বেশী দেখা যাচ্ছে। ইতিমধ্যে কুমারখালীর বিভিন্ন ইউনিয়নে বেশ কিছু হামলা এবং মামলার ঘটনা ঘটেছে।

যদি প্রশাসনের দূঢ় তৎপরতায় তা সহিংসতার পর্যায়ে পৌঁছাতে পারেনি। তবে প্রতিদিনই কোন না কোন বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটেই চলেছে। আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কুষ্টিয়া-৪ (কুমারখালী-খোকসা) আসনের দুই উপজেলার ১৪৮ টি ভোট কেন্দ্রের ৯২০ টি ভোট কক্ষে ভোট গ্রহন করা হবে বলে জেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা গেছে। এই দুই উপজেলায় মোট ভোটার সংখ্যা ৩ লাখ ৯৬ হাজার ৫৯৫ জন। যার মধ্যে ১ লাখ ৯৯ হাজার ৭৩৩ জন পুরুষ ভোটার, ১ লাখ ৯৬ হাজার ৮৬০ জন মহিলা ভোটার এবং ২ জন হিজড়া ভোটার। কুমারখালী উপজেলার ১টি পৌরসভা ও ১১ টি ইউনিয়নের ৯৮ টি ভোট কেন্দ্রের ৬৪৩টি ভোট কক্ষে ভোটার ২ লাখ ৮২ হাজার ৬৪২ জন। যার মধ্যে ১ লাখ ৪২ হাজার ৪১৩ জন পুরুষ, ১ লাখ ৪০ হাজার মহিলা এবং ২ জন হিজড়া ভোটার। এই উপজেলার ৯৮টি ভোট কেন্দ্রের মধ্যে সাধারণ ভোট কেন্দ্রের সংখ্যা ৩৪টি, গুরুত্বপূর্ণ ভোট কেন্দ্রের সংখ্যা ৫৬টি এবং ঝঁকিপূর্ণ ভোট কেন্দ্রের সংখ্যা ৮টি।

ঝুঁকিপূর্ণ ৮টি ভোট কেন্দ্রে মোট ভোটার সংখ্যা ২৪ হাজার ১৪৩ জন। যার মধ্যে পুরুষ ভোটার ১১ হাজার ৮৫৫ জন, মহিলা ভোটার ১১ হাজার ৭৭৬ জন এবং অমুসলিম ভোটার ৫১২ জন। এর মধ্যে কুমারখালী আদর্শ মহিলা ডিগ্রী কলেজে ২ হাজার ৪৩৩ জন, তেবাড়িয়া সেরকান্দী মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ে ২ হাজার ৯০২ জন, তেবাড়িয়া সেরকান্দী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দক্ষিণমুখী নতুন ভবনে ২ হাজার ৮৫৭ জন, তেবাড়িয়া সেরকান্দী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ২য় তলায় ২ হাজার ৩২৩ জন, বানিয়াপাড়া সরকারী প্রথমিক বিদ্যালয়ে ৪ হাজার ২৩৬ জন, সুলতানপুর মাহাতাবিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ২হাজার ৩১৩ জন, খালিশাদহ প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৩ হাজার ৬৫৮ জন এবং সুলতানপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৩ হাজার ৪১১ জন ভোটার রয়েছে। এছাড়াও খোকসা উপজেলার ১টি পৌরসভা ও ৯টি ইউনিয়নের ৫০টি ভোট কেন্দ্রের ২৭৭টি কক্ষে ভোট গ্রহন করা হবে বলে জেলা নির্বাচন অসিফ সুত্রে জানা গেছে।

জেলা নির্বাচন অফিসের সূত্র মতে এই উপজেলায় মোট ১ লাখ ১৩ হাজার ৯৫৩ জন ভোটার আছে। যার মধ্যে ৫৭ হাজার ৩২০ জন পুরুষ এবং ৫৬ হাজার ৬৩৩ জন মহিলা ভোটার। খোকসা উপজেলার ৫০ টি ভোট কেন্দ্রের মধ্যে কোন ভোট ঝুঁকিপূর্ণ ভোট কেন্দ্র নেই বলে জানা গেছে। তবে এই উপজেলায় ১৭টি ভোট কেন্দ্রকে গুরুত্বপূর্ণ এবং ৩৩ টি ভোট কেন্দ্রকে সাধারণ কেন্দ্র হিসাবে দেখানো হয়েছে। এই আসনের প্রতিদ্বন্দ্বীতাকারী সকল প্রার্থী, প্রার্থীদের সমর্থক এবং সাধারণ ভোটাররা মনে করেন জেলা রিটার্নিং অফিসারের সাহসী ভূমিকায় এবং জেলা আইনশৃঙ্খলারক্ষাকারী কর্তৃপক্ষের দূঢ় পদক্ষেপে একটি অবাধ, নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।