কুমারখালীর ভোটারদের প্রকাশ্যে হুমকি দিলেন পৌর মেয়র সামসুজ্জামান অরুন
বুধবার (১৩ ডিসেম্বর) কুমারখালীতে কয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ কর্তৃক সন্ত্রাস ও নৈরাজ্যের প্রতিবাদে শান্তি সমাবেশ আয়োজন করা হয়। ঐ সমাবেশে বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় তাঁতি লীগের সহ-সভাপতি এ্যাড. নিজামুল হক চুন্নুর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কুষ্টিয়া-৪ আসনের সংসদ সদস্য ও বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ প্রেসিডিয়াম সদস্য সেলিম আলতাফ জর্জ।

কুমারখালীর ভোটারদের প্রকাশ্যে হুমকি দিলেন পৌর মেয়র সামসুজ্জামান অরুন
এছাড়াও বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন, সেলিম আলতাফ জর্জের চাচা ও কুমারখালী পৌরসভার মেয়র সামসুজ্জামান অরুন। বিশেষ অতিথির বক্তব্য কালে সামসুজ্জামান অরুন সেলিম আলতাফ জর্জকে ভোট না দিলে ৭ তারিখের পর ভোটারদের সাথে দূর্ব্যবহার করার কথা জানান। তিনি বলেন ঐ ৭ তারিখের পরে আপনাদের সাথে আমাদের দূর্ব্যবহার করা না লাগে, আপনারা যদি বাড়ী থেকে বারাইতে না পারেন, আমরাই কিন্তু কষ্ট পাবো।
এছাড়াও তার বক্তব্যে প্রাধান মন্ত্রী চাপে আছেন বলেও তিনি বলেন। ঐ বক্তব্যে তিনি বলেন, এত বড় চাপের মুখেও যখন শেখ হাসিনা নির্বাচন করতেছে, তার নির্বাচনের একটা ছক আছে। কুষ্টিয়ার কুমারখালীর সাবেক সংসদ সদস্য আবদুর রউফ এর সমর্থকদের উদ্দেশ্যে তিরস্কার করে বলেন, যতই বিরোধিতা করেন, যতই বাড়ী বসে থাকেন, যতই রউফ সাহেব রউফ সাহেব করেন, দিন শেষে কিন্তু এমপি আমরাই হবো।
এদিকে তার এই বক্তব্যের পরে সাধারণ ভোটারদের মাঝে তিব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। তারা সংশয় প্রকাশ করে বলেন, আমরা ভোট দিতে পারবো কিনা জানিনা। আর ভোট দিতে পারলেও নিজেদের ইচ্ছামত ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবো কিনা বলতে পারিনা । কারণ আমাদের যে ভাবে প্রকাশ্যে হুমকি ধামকি দেওয়া হচ্ছে তাতে মনে হয় না নিজের পছন্দের প্রার্থিকে ভোট দিতে পারবো। অবশ্য ২৮ নভেম্বর স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসাবে মনোনয়ন ফরম জমা দিয়ে আবদুর রউফ উপস্থিত সাংবাদিকদের বলেছিলেন, কুমারখালী-খোকসাতে ভোটারদের বিভিন্ন ভাবে হুমকি ধামকি দেওয়া হচ্ছে।
ভোটারদের হুমকি-ধামকির বিষয়ে জানতে কুমারখালী থানার অফিসার ইনচার্জ আকিবুল ইসলামের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এই বিষয়ে আমাকে কেউ কিছু জানাই নাই। জানালে তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
ভোটারদের হুমকি-ধামকির বিষয়ে জানতে জেলা নির্বাচন অফিসার মুহাম্মদ আবু আনছার বলেন, আমাদের ওখানে আচরণ বিধি দেখভালের বিষয়ে ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ আছে, তারপরে জুডিশিয়াল ইনকয়ারি কমিটি আছে, আমার মনে হয় আপনি তাদের একটু জানাতে পারেন। আর আমি বিষয়টা রির্টানিং অফিসারের নলেজে দিবো।
