কুমারখালী প্রতিনিধি ॥ গত ৫ আগষ্ট সরকার পতনের পর দোকানে ভাঙচুর করে প্রায় ৯০ লাখ টাকার গার্মেন্টস মালামাল লুটপাট করেছে দুর্বৃত্তরা। আবার গত বুধবার সন্ধায় জোরপূর্বক দখলের উদ্দেশ্যে তালা ভেঙে নতুন করে ১০ টি তালা লাগিয়েছে মজিদ পেশকার। এমন হলে বাঁচব কি করে? গতকাল বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) দুপুরে আক্ষেপ করে মুঠোফোনে কথা গুলো বলছিলেন কুষ্টিয়ার কুমারখালী পৌরসভার সোনাবন্ধু সড়কস্থ সোনানী হস্তশিল্প নামক দোকানেটির প্রোফাইটর মো. জসিম উদ্দিন।
তিনি পৌরসভার এক নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি। তিনি বলেন, ২০১৭ সালে ২০ লাখ টাকা দিয়ে সিরাজুন্নাহার নামে একজনের কাছ থেকে এক দশমিক ৬১ শতাংশ জমি কিনে দোকান করেছেন। ক্রয়ের পরে উক্ত জমির পজিশন দাবি করে নন্দলালপুর ইউনিয়নের পুরাতন চড়াইকোল এলাকার আব্দুল মজিদ পেশকার আদালতে মামলা করেন। মামলাটি চলমান রয়েছে। মামলা চলমান অবস্থায় জোরপূর্বক দখলের উদ্দেশ্যে গত বুধবার সন্ধায় মজিদ পেশকার দোকানের তালা ভেঙে ১০ টি নতুন তালা লাগিয়েছে।
তিনি গত বুধবার রাতে তার স্ত্রী সোনালী আক্তার বাদী হয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন। এদিকে সোনালী হস্তশিল্প নামক দোকানের তালা ভাঙার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। ভিডিওতে দেখা যায়, মজিদ পেশকার দাঁড়িয়ে আছে। একজন অজ্ঞাত ব্যক্তি হাতুড়ি দিয়ে তালা ভাঙছে। আর গতকাল বৃহস্পতিবার সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, দোকানের সাটারে আঘাতের চিহৃ। বেশকিছু তালা লাগানো রয়েছে।
এসময় নাম প্রকাশ না করা শর্তে একজন দোকানী বলেন, কুমারখালীর বড় দোকান গুলোর একটি সোনালী হস্ত শিল্প। দোকানের জমি নিয়ে ঝামেলা আছে। গত বুধবার মজিদ পেশকার পুরাতন তালা ভেঙে নতুন করে তালা লাগিয়েছে। আর ৫ আগষ্ট ব্যাপক লুটপাট করেছে দুর্বৃত্তরা। তবে এবিষয়ে কোনো কথা বলতে রাজি হননি অভিযুক্ত আব্দুল মজিদ পেশকার।
কুমারখালী পৌর বনিক সমিতির সভাপতি কে আলম টমে বলেন, আওয়ামী লীগ পন্থী হওয়ায় ৫ আগষ্ট দুর্বৃত্তরা দোকানটিতে ব্যাপক ভাঙচুর ও লুটপাট করেছে। তবে দোকানটির জমি ও পজিশন মালিকানা নিয়ে আইনী জটিলতা রয়েছে।
তালা ভাঙার খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ( ওসি) আকিবুল ইসলাম। তিনি বলেন, তদন্ত সাপক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
