কুমারখালী প্রতিনিধি ॥ কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে চালককে মারধর করে সেতুর ওপর থেকে গড়াই নদীতে ফেলে দিয়ে মটরচালিত ভ্যান গাড়ি ছিনতাইয়ের অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) রাতে কুমারখালী-পান্টি সড়কের শহীদ গোলাম কিবরিয়া সেতুতে এ ঘটনা ঘটে। গতকাল রোববার (১৫ ডিসেম্বর) সকাল ৭ টার দিকে ওই চালককে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন স্থানীয়রা। তবে গতকাল রোববার (১৫ ডিসেম্বর) সন্ধা ৬ টা পর্যন্ত জ্ঞান ফিরেনি চালকের। ওই চালকের নাম মো. আজগর আলী (৪০)। তিনি উপজেলার যদুবয়রা ইউনিয়নের কেশবপুর গ্রামের আছির উদ্দিন শেখের ছেলে। সন্ধায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে দেখা যায়, পুরুষ ওয়ার্ডের ২ নম্বর বেডে শুয়ে আছেন চালক আজগর। তাঁর শরীরে স্যালাইন পুস করা হয়েছে। মুখে আঘাতের চিহৃ। তাকে ঘিরে দাঁড়িয়ে ও বসে আছেন স্বজনরা। এসময় স্ত্রী কাকলী খাতুন বলেন, গত শনিবার রাত ১১ টা থেকে আজগরের ফোনটি বন্ধ পাওয়া যাচ্ছিল। অনেক খোঁজাখুঁজি করেও তাকে পাওয়া যায়নি। পরে আজ রোববার সকালে ৭ টার দিকে স্থানীয়রা গড়াই নদীর কুল থেকে অজ্ঞান অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেছে। তবে এখনও জ্ঞান ফিরেনি।
শরীরে আঘাতের চিহৃ রয়েছে। তার ভাষ্য, আজগরকে মারধর করে নদীতে ফেলে দিয়ে উপার্জনের অবলম্বন ভ্যানটি ছিনিয়ে নিয়েছেন অজ্ঞাতরা। থানায় মামলা করা হবে। ভ্যানচালক অর্জনের বরাত দিয়ে ভিকটিমের ভাই আকমল হোসাইন বলেন, শনিবার রাত সোয়া আটটার দিকে জয়বাংলা বাজার থেকে অজ্ঞাত এক নারী ও এক পুরুষ যাত্রী নিয়ে কুমারখালীর দিকে রওয়ানা দেন আজগর। পথে সেতুর ওপর দাঁড়িয়ে যাত্রীদের সঙ্গে সিগারেট টানে আজগর। সেসময় অর্জনও একটা সিগারেট টানে বাড়ি চলে যান। তবে আজগরকেও আর পাওয়া যায়নি। এরপর সকালে সেতুর নিচে পাওয়া যায় তাকে। সেতু এলাকার চা বিক্রেতা তুহিন বিশ্বাস বলেন, সকাল ৭ টার দিকে নদীর কুল থেকে এক ব্যক্তিকে অজ্ঞান অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতাল ভর্তি করা হয়েছে। তার মুখে আঘাতে চিহৃ এবং জামা-কাপড় ছেঁড়াফাটা ছিল। কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সোলায়মান শেখ বলেন, চালকের এখনও জ্ঞান ফিরেনি। সেজন্য আসল ঘটনা জানা যায়নি। তবে লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
