কুমারখালীতে সংঘর্ষ ও অনুপ্রবেশকারী নিয়ে বিএনপির দু’পক্ষের পাল্টাপাল্টি অভিযোগ - কুষ্টিয়া জিলাইভ | truth alone triumphs

কুমারখালীতে সংঘর্ষ ও অনুপ্রবেশকারী নিয়ে বিএনপির দু’পক্ষের পাল্টাপাল্টি অভিযোগ

লেখক: প্রতিবেদক ঢাকা
প্রকাশ: আগস্ট ৩১, ২০২৪

কুমারখালী প্রতিনিধি ॥ আমরা ১৫ বছর ধরে হামলা মামলার শিকার হলাম। এখনও আদালতে মামলা চলছে। আবার এখনও বিভিন্নভাবে অন্যায় অত্যাচারের শিকার হব। ওরা (প্রতিপক্ষ) দীর্ঘদিন ধরে আওয়ামী লীগের সঙ্গে মিশে বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা, পদ পদবী নিছে। আবার এখন অনুপ্রবেশকারীদের নিয়ে হামলা-ভাঙচুর করছে। আমি সঠিক বিচার চাই। গতকাল শুক্রবার (৩০ আগষ্ট) দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে আক্ষেপ করে কথা গুলো বলছিলেন কুষ্টিয়ার মো. বায়োজিদ মন্ডল।

তিনি কুমারখালীর শিলাইদহ ইউনিয়ন যুবদলের আহবায়ক কমিটির সদস্য সচিব। শিলাইদহ বাজার এলাকায় ইউনিয়ন বিএনপির দলীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ইউনিয়ন প্রজন্ম দলের সভাপতি কোরবান আলী বলেন, ফেসবুকে দেখা যাচ্ছে। প্রতিপক্ষররা বলছেন, আমি আওয়ামী লীগ করি। আমি ১৬ বছর ধরে বিএনপির সঙ্গে দল করে হামলা মামলা খেয়েছি। আমি আওয়ামী লীগ নয়, বিএনপিকে ভালবাসি। জন্মগত বিএনপি।

এই বিএনপি জামাত করার কারণে আমার বাপ ২০০৬ সালে হত্যার শিকার হয়েছে। পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, বিএনপির প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে শনিবার মাজগ্রামের চেয়ারম্যান মোড়ে সাবেক এমপি সৈয়দ মেহেদী আহমেদ রুমির একটি প্রস্তুতিমূলক সভা হওয়ার কথা রয়েছে। এ উপলক্ষ্যে গত বুধবার একটি শোডাউন করেন কুমারখালী ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোঃ আজাদ আলী, শিলাইদহ ইউনিয়ন যুবদলের সদস্য সচিব বায়োজিদ মন্ডল ও ইউনিয়ন প্রজন্ম দলের সভাপতি কোরবান আলী। তারা সন্ধায় মাজগ্রাম চেয়ারম্যান মোড়ে পৌছালে শিলাইদহ ইউনিয়ন বিএনপির সহ সভাপতি মোতালেব হোসেনের সমর্থকদের সঙ্গে বাগ্ বিতণ্ডা হয়।

একপর্যায়ে তারা দেশীয় ও আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। এতে উভয়পক্ষের অন্তত সাত জন আহত হয়ে বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এছাড়াও সংঘর্ষের সময় বেশ কিছু বাড়ি ও দোকানপাটে ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। এদিকে ঘটনার তিন দিন পার হলেও থানায় লিখিত অভিযোগ বা মামলা করেননি কোনো পক্ষ। তবে দলে অনুপ্রবেশকারী ও হামলা নিয়ে একে অপরের বিরুদ্ধ পাল্টাপাল্টি অভিযোগ তুলছেন। একে অপরকে আওয়ামী লীগের অনুপ্রবেশকারী বানিয়ে বিভিন্ন মাধ্যমে বিষাদগার করছেন। শিলাইদহ ইউনিয়ন বিএনপির সহ সভাপতি মোতালেব হোসেন বলেন, আজাদ আলী, বায়োজিদ ও কোরবান এতোদিন আওয়ামী লীগের সঙ্গে মিলেমিশে ছিলেন। সরকার বদল হওয়ায় সেদিন আওয়ামী লীগের লোকজনসহ দেশীয় ও আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে অতর্কিত হামলা চালিয়েছে।

এতে তাঁর পাঁচজন আহত হয়ে চিকিৎসাধীন। তিনি থানায় মামলা করবেন। আর কুমারখালী ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আজাদ আলী বলেন, ওরা ( মোতালেব গ্রুপ) এতোদিন ধরে আওয়ামী লীগের বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা পদ পদবী নিয়েছে। আবার এখন আওয়ামী লীগ দিয়ে বিএনপির ওপর হামলা চালিয়েছে। তবে তিনি সেদিন শোডাউন ও সংঘর্ষে ছিলেন না বলে দাবি করেছেন। তারও দুজন আহত। কুমারখালী থানার ওসি মো. আকিবুল ইসলাম জানান, এখন পর্যন্ত কোনো পক্ষই লিখিত অভিযোগ করেননি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।