নিজ সংবাদ ॥ কুষ্টিয়া কুমারখালী উত্তর মূলগ্রাম, হিজলাকর, এনায়েতপুর ও গোবিন্দপুর মৌজার বালিমহল থেকে অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলনের অভিযোগ উঠেছে সদকী ইউনিয়নের পাথরবাড়িয়া গ্রামের মাসুদ রানা নামে এক প্রভাবশালী ব্যক্তির বিরুদ্ধে। তিনি এবং তার লোকজন সরকারের কাছ থেকে ইজারাদা না নিয়ে বালু উত্তোলন করছে বলে অভিযোগ দীর্ঘদিনের। সেই সঙ্গে অবৈধ রশিদ বানিয়ে বালু ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন অমান্য করে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করছে তারা। এই বিষয়ে মাসুদ রানা বলেন, এটা সম্পূর্ণ মিথ্যা বানোয়াট । আমি বালু উত্তোলনের মধ্য জড়িত না। আমি পহেলা বৈশাখ থেকে বালু উত্তোলন করবো। জানা যায়, এস, এম রফিকুল ইসলাম, পিতা- মোঃ মসলেম উদ্দিন শেখ, সাং- সেরকান্দি, পোষ্ট- কুমারখালী, থানা- কুমারখালী, জেলা- কুষ্টিয়া। বালি মহলের বাংলা ১৪৩০ (১ বৈশাখ হইতে ৩০ চৈত্র) বঙ্গাব্দে দরদাতা হিসাবে মনোনীত হয়। জামানত বাবদ (সাত চল্লিশ লক্ষ আটাশি হাজার দুইশত) টাকাসহ পরবর্তী বিভিন্ন সময়ে (বিরাশি লক্ষ বিশ হাজার) টাকা সর্বমোট (এক কোটি ত্রিশ লক্ষ আট হাজার দুইশত) টাকা পরিশোধ করে। গত ১০- ৪-২৩ ইংরেজি তারিখে স্মারক নং০৫.৪৪.৫০০০.০০৫,৫৫.০০১.২৩-৪২৮ (৪) পত্রের শর্ত মতে (দুই কোটি উনচল্লিশ লক্ষ একচল্লিশ হাজার) টাকা পরিশোধ করার নির্দেশ থাকে। উক্ত টাকা পরিশোধ করিতে ব্যর্থ হইলে জামানতের (সাত চল্লিশ লক্ষ আটাশি হাজার দুইশত) টাকা বাজেয়াপ্ত হওয়ার কথা উল্লেখ থাকে। জেলা প্রশাসকের মৌখিখ নির্দেশের পরেও টাকা দিয়ে ব্যাথ হলে। ইজারাদার রফিকুল ইসলাম কে আর বালু উত্তোলন করতে নিষেধ করে জেলা প্রশাসক। এর পর মাসুদ রানা কৌশলে রাতের আঁধারে বালু ও মাটি কেটে বিক্রি করছে। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সদকী ইউনিয়নের জিলাপি তলা ও যদুবয়রা ইউনিয়ন থেকে অবৈধভাবে ড্রাম ট্রাক, ট্রাক্টর, বাটা হাম্বাসহ বিভিন্ন বালু গাড়ির মাধ্যমে বালু উত্তোলন করে আসছে মাসুদ রানা ও তাঁর লোকজন। প্রতিদিন রাত ৯ টা থেকে শুরু করে সারা রাত বালু ও মাটি কেটে বিক্রি হচ্ছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যক্তি বলেন, রাতের আঁধারে বালুর গাড়ি চলাচল করছে। যখন তখন বালুর গাড়ির কারণে আমাদের চলাচলের চরম সমস্যা হচ্ছে। বালুর গাড়ি গুলো যখন ইচ্ছা তখন, চলাচল না’ করতে পারে। সেই দিকে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নজর দেওয়া জরুরি। এই বিষয়ে সাবেক ইজারাদার এস ,এম রফিক বলেন, রাতের অন্ধকারে প্রতিদিন বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। যা সম্পূর্ণ অবৈধ এই বিষয়ে অনেক অভিযোগ দেওয়ার পরেও কোন ব্যবস্থা কেউ নেইনি। এতে করে সরকার লাখ লাখ টাকা রাজস্ব হারাচ্ছে। এ বিষয়ে কুষ্টিয়া অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক রাজস্ব মোছাঃ নাসরিন বানু জানান, কুমারখালী উপজেলা ইউএনও এবং এসিল্যান্ড ও পুলিশ কে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। তবে আমরা এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবো। উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আমিরুল আরাফাত বলেন, অবশ্যই এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আমরা চেষ্টা করবো যাতে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন কেউ যেন না করতে পারে। কুমারখালী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাহবুবুল হক এর সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
